এফপিসি ব্রিফিং
ক্যারোল থম্পসন ও’কোনেল, ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি, ব্যুরো অফ পপুলেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড মাইগ্রেশন
ট্রে হিকস, ইউএসএআইডির ব্যুরো ফর হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিসট্যান্স–এর অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটর
বুধবার, ১৯ আগস্ট, বেলা ১১টা
ওয়াশিংটন ডিসি
১৯ আগস্ট, ২০২০
ওয়াশিংটন ফরেইন প্রেস সেন্টার, ওয়াশিংটন, ডিসি
সঞ্চালক: ধন্যবাদ, বিশ্ব মানবিক সহায়তা দিবস ২০২০-এ ফরেইন প্রেস সেন্টারের এই টেলিকনফারেন্সে আমি সকলকে স্বাগতম জানাতে চাই। গ্রেগ যেমনটা উল্লেখ করেছেন, আমার নাম ডরিস রবিনসন এবং আজকের অধিবেশনে আমি সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছি।
আমি আমাদের ব্রিফারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। প্রথমে আমাদের সঙ্গে আছেন ক্যারোল থম্পসন ও’কোনেল। তিনি ব্যুরো অফ পপুলেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড মাইগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি। এবং আমাদের সঙ্গে আছেন ইউএসএআইডির ব্যুরো ফর হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিসট্যান্স-এর অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ট্রে হিকস। তাঁরা প্রত্যেকে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন। এরপর আমরা আপনাদের কাছ থেকে প্রশ্ন নেবো।
আর এরই সঙ্গে আমি ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি ও’কোনেলকে বলার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
মিস ও’কোনেল: অনেক ধন্যবাদ, ডরিস। বিশ্ব মানবিক সহায়তা দিবস ২০২০ পালনে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্যে সকলকে হ্যালো ও স্বাগতম। বিশ্বজুড়ে সংকটাপন্ন মানুষের জীবন রক্ষা ও দুর্দশা লাঘবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যেসব মানবিক সহায়তা কর্মী চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, সেক্রেটারি পম্পেওয়ের সঙ্গে শামিল হয়ে আমি সগর্বে তাঁদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাচ্ছি। এইসব ব্যক্তি তথা সকল মানবিক কর্মী, যারা নিজেদের চেয়ে অন্যদের জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন, যারা নিজেদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার প্রতি ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি উপেক্ষা করে অন্যের জীবন-রক্ষার কাজ অব্যাহত রেখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের অক্লান্ত অঙ্গীকারের স্বীকৃতি দেয়।
মানবিক সহায়তা কর্মীদের অবশ্যই নিরাপদ ও সুরক্ষিতভাবে নিজেদের কাজ করতে দিতে হবে। স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা কর্মীদের ওপর হামলা শুধু এইসব কর্মীদের জীবনকেই বিপন্ন করে না, বরং এইসব কর্মী যে সেবা ও জীবন রক্ষাকারী সহায়তা নিয়ে আসে, তা থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ লাখ লাখ মানুষকে হুমকিগ্রস্ত করে। দুর্ভাগ্যবশত, বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যেও মানবিক সহায়তা কর্মীদের ওপর হামলা বাড়ছে।
আজ আমরা সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত সকল পক্ষের প্রতি আমাদের সেই দীর্ঘ পুরনো আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করবো যে, তারা যেন আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা আইনের বিধিবিধান মান্য করেন এবং মানবিক সহায়তা কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করেন। নাইজার, উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়া এবং দক্ষিণ সুদানের ঘটনাসহ গত কয়েক সপ্তাহে মানবিক কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন।
জুনে বিশ্ব শরণার্থী দিবসে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংঘাত ও সংকটে প্রায় ৮ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে এবং এ কারণে দেশত্যাগে বাধ্য হওয়া মানুষের সংখ্যা উদ্বেজনকভাবে একই থাকছে। এসব ঘটনায় মানবিক সহায়তার চাহিদা বিপুল এবং কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবিক সংকট মোকাবেলায় আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ও আমাদের সহায়তার বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব গ্রহণের দীর্ঘ ঐতিহ্য আছে।
কূটনীতির স্তরে, ব্যুরো অফ পপুলেশন, রিফিউজি এবং মাইগ্রেশন বা সংক্ষেপে পিআরএম-এ আমার টিম জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব দেয় – এইসব মানবিক সহায়তা সংস্থা বিশ্বের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে জটিল এবং প্রায়শ সবচেয়ে বিপদজনক পরিস্থিতিতে, সবগুলো না হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, সম্মুখসারিতে থাকে। আমরা অপরাপর আন্তর্জাতিক ও বেসরকারি সংস্থার অংশীদারদের সঙ্গেও কাজ করি।
জীবন রক্ষাকারী সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সংঘাত চলাকালীন পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশে আমাদের অংশীদার ও জরুরি মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর অভিগম্যতা তৈরি করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। আমাদের এ নেতৃত্বের মূলে রয়েছে মানবিক কাজে জীবন উৎসর্গকারী বহু প্রজন্মের আমেরিকানের দৃঢ়মূল অঙ্গীকার।
আমাদের সহায়তার দিক বিবেচনায়, সংঘাতে বাস্তুচ্যুত লোকসহ লাখ লাখ মানুষের উপকারে খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশন সেবা দিতে আমাদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও অংশীদারদের সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক মানবিক সংকট মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ অর্থবছরে ৯.২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
প্রতি বছর অভিবাসন ও শরণার্থী সহায়তা হিসাবের মাধ্যমে ওই মানবিক সহায়তার ৩.৩ বিলিয়ন ডলার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে পিআরএম।
বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ মানবিক সহায়তা সংগঠনগুলোর সবচেয়ে বড় একক দাতা। গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা খাতে ৭০ বিলিয়ন ডলারের বেশি দিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী বিস্তারের পর থেকে জরুরি স্বাস্থ্য, মানবিক, অর্থনৈতিক এবং উন্নয়ন সহায়তা, বিশেষ করে মহামারী মোকাবেলায় সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে।
নতুন এবং চলমান আন্তর্জাতিক মানবিক সংকট মোকাবেলায় আমাদের অংশীদারদের কংগ্রেস থেকে এমআরএ অর্থায়নের পাশাপাশি ৫৩০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এই নেতৃত্ব ধরে রাখায় ভূমিকা রেখেছে পিআরএম।
আমাদের সহায়তার মধ্যে আছে বিপদজনক পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ঝুঁকিগ্রস্ত মানুষজনকে সাহসিকতার সঙ্গে সেবা দানকারী মানবিক কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদানকে সহায়তা দেওয়া। এর মূলে রয়েছে আমেরিকান জনগণের দৃঢ়মূল অঙ্গীকার ও আমাদের মূল্যবোধ, যা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সহায়তার বাইরে থাকা অসহায় ব্যক্তিদের সহায়তা প্রচেষ্টার চালিকাশক্তি। আপনারা এটি দেখতে পাবেন আমেরিকার নাগরিক, ধর্মীয়-বিশ্বাস ভিত্তিক সংগঠনগুলোসহ আমেরিকার প্রাণস্পন্দনপূর্ণ সুশীল সমাজ এবং আমেরিকার বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে দেওয়া সহায়তায়।
যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক ও মানবিক সহায়তা উভয় দিক থেকে আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবেলায় অনুঘটকের ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। আমাদের দীর্ঘদিনের নেতৃত্ব সম্ভব হয়েছে মানবিক সংস্থা ও তাদের নিঃস্বার্থ কর্মীদের মাধ্যমে। আমরা এইসব মানবিক সংস্থা ও তাদের পূর্বসূরীদের সম্মান জানাই।
এই সকালে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় আপনাদের আবারও ধন্যবাদ। এবার কথা বলবেন ইউএসএআইডির ব্যুরো ফর হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিসট্যান্স-এর অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ট্রে হিকস। তারপর আমরা প্রশ্ন নেবো। ট্রে।
জনাব হিকস: ধন্যবাদ, ক্যারোল। কলে থাকা সকলকে শুপ্রভাত, শুভ বিকেল ও শুভ সন্ধ্যা। সতের বছর আগে আজকের দিনটিতে বাগদাদে বোমা হামলায় প্রাণ হারান ২২ মানবিক সহায়তা কর্মী। বিশ্ব মানবিক সহায়তা দিবস তাঁদের এ আত্মদানকে স্মরণ করে থাকে এবং যেসকল মানবিক কর্মী অন্যদের সহায়তা করতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, তাদের সাহসিকতাকে স্বীকৃতি দেয়।
দুভার্গবশত, তখন থেকে মানবিক কর্মীদের ওপর হামলা কেবলই বেড়েছে। গত বছর ছিল নথিভূক্ত সবচেয়ে সহিংস বছর। এ সময় মৃত্যুবরণ করেছে, আহত হয়েছে অথবা অপহৃত হয়েছে কমপক্ষে ৪৮৩ জন ত্রাণকর্মী। শুধু গত মাসেই নাইজার, দক্ষিণ সুদান, ক্যামেরুন এবং নাইজারে দুস্থ লোকজনকে সহায়তার সময় ইউএসএইআইডির অংশীদারদের সঙ্গে কর্মরত কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
ত্রাণ কর্মীদের উদারতা, সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ এর আগে কখনই এতো স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়নি। লেবাননের বৈরুতে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণে সহকর্মীরা আহত এবং অফিস ধ্বংস হয়ে গেলেও তা অন্যদের জীবন রক্ষার কাজে মানবিক সহায়তা কর্মীদের নিরস্ত করতে পারেনি। এখন কোভিড-১৯ মহামারীতে বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
ক্যারোল যেমনটা উল্লেখ করেছেন, এই মহামারী মোকাবেলার বৈশ্বিক কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউএসএআইডি ৫০টি দেশে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫৫৮ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। আমরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কোভিড-১৯ এর বিস্তার কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়, তা যাতে মানুষ জানতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে ঝুঁকি যোগাযোগ এবং স্থানীয় সম্প্রদায় আউটরিচ কর্মসূচিকে আমরা সহায়তা দিচ্ছি। আমরা জরুরি খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যবিধি সরঞ্জাম এবং অন্যান্য জীবন-রক্ষাকারী সহায়তাও দিচ্ছি।
এই উদ্যোগের মূলে আছে দুস্থ মানুষকে সহায়তায় আমাদের দীর্ঘ ইতিহাস। আমেরিকান হিসেবে আমরা মানুষের জীবন রক্ষা করি এবং সংকটাপন্নের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেই। এটি আমাদের মূল্যবোধকে তুলে ধরে, আমাদের বৈশ্বিক নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এবং বিশ্বকে একটি নিরাপদ স্থান করে তোলে।
ক্যারোল উল্লেখ করেছেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা হিসেবে ৯.৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এই অর্থায়নের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, অথবা ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি এসেছে ইউএসএআইডির কাছ থেকে, বহু বিপর্যয়ে লাখ লাখ মানুষকে সহায়তা দেওয়ার কাজে।
আমাদের সাড়াপ্রদান প্রচেষ্টা সমন্বয় করতে ইউএসএআইডি বিশ্বজুড়ে উচ্চমার্গীয় ডিজাস্টার অ্যাসিসট্যান্স রেসপন্স টিম, বা ডিএআরটিএস মোতায়েন করে থাকে। এ মাসের আরো আগের দিকে বৈরুত বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা দিতে আমরা লেবাননে ডিএআরটি মোতায়েন করেছি। চলমান ইবোলা সংক্রমণ মোকাবেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে আমাদের একটি ডিএআরটি মোতায়েন করা আছে। এই টিম এমন কারিগরী দক্ষতা ও সহায়তা প্রদান করেছে, যা পূর্বের একটি সংক্রমণ দমনে সহায়ক হয়েছিল। এই উচ্চমার্গীয় দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা ভেনিজুয়েলা, সিরিয়া ও দক্ষিণ সুদানে চলমান সংঘাতেও সাড়া প্রদান করছেন।
আজকের সংকট আরো বড়, আরো জটিল এবং কখনও কখনও তা বছরের পর বছর জুড়ে চলছে, যা মানবিক সহায়তা কাজকে আরো দুরুহ করে তুলেছে। এ কারণে বিদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ে সাড়া প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা কাজে সমন্বয় ঘটাতে ৫ জুন ইউএসএআইডি তাদের মানবিক সহায়তা ব্যুরো গঠন করে। এই নতুন ব্যুরো ইউএসএআইডির মানবিক সহায়তাকে একটি ব্যুরোর মধ্যে সমন্বিত করে এবং এগিয়ে নেয়, যা মানুষের চাহিদা আরো ভালোভাবে পূরন করতে পারে এবং আরো বেশি মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তা দাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র জীবন রক্ষা ও দুর্দশা লাঘবে সবচেয়ে ঝুঁকিগ্রস্ত লোকজনের কাছে যাওয়া ত্রাণ কর্মীদের সহায়তা দিতে পেরে গর্বিত। বিশ্বজুড়ে এতো বিপুল সংখ্যক নিবেদিতপ্রাণ মানবিক সহায়তাকর্মীর সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি ব্যক্তিগতভাবে গর্বিত এবং এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাঁদের বিপুল সেবাকে স্বীকৃতি দিতে পারলে আমার ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।
সঞ্চালক: ধন্যবাদ, গ্রেগ। আমরা প্রশ্নের জন্য উন্মুক্ত করছি।
অপারেটর: ধন্যবাদ। লেডিজ অ্যান্ড জেন্টেলমেন, আপনারা যদি কোনো প্রশ্ন করতে চান, অনুগ্রহ করে আপনার টেলিফোনের কিপ্যাডে প্রথমে ১ এবং পরে ০ চাপুন। ১-০ কমান্ডের পুনরাবৃত্তি করে আপনারা যে কোসো মুহূর্তে আপনাদের প্রশ্ন প্রত্যাহার করতে পারেন। আপনি স্পিকার-ফোন ব্যবহার করলে নম্বর চাপার আগে হ্যান্ডসেট তুলে নিন। আবারও বলছি, আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, এ মুহূর্তে ১ এবং ০ চাপুন। আপনাদের প্রথম প্রশ্নের জন্য সময় দেওয়া হলো।
নর্থ প্রেস এজেন্সির হাদিল ওয়েইসের লাইন থেকে একটি প্রশ্ন আছে। অনুগ্রহ করে প্রশ্নটি করুন।
প্রশ্ন: হ্যাঁ, ধন্যবাদ। সিরিয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের আলোকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিরিয়া সরকারের চাহিদা পূরন করছে, তবে সরকার এই ত্রাণ সিরিয়ার অন্যান্য অংশে দিচ্ছে না। উত্তর-পূর্ব সিরিয়া, যা এসডিএফের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং আইসিস বন্দিরা ছাড়াও যেখানে লাখ লাখ শরণার্থীর অবস্থান, সেখানে এ ভাইরাসের বিস্তার ও অন্যান্য মানবিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মৌলিক সরঞ্জামের অভাব আছে। তাছাড়া উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় লাখ লাখ মানুষ পানি সংকটে ভুগছে, যা কোভিড-১৯ মহামারীর পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবাকে পঙ্গু করে ফেলেছে। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় ভাইরাস ও অন্যান্য মানবিক চাহিদার ব্যাপারে আপনাদের কোনো সাড়াপ্রদান পরিকল্পনা আছে?
জনাব হিকস: ওহ, দুঃখিত, আমি মিউট বাটন ঠিক করছিলাম। আপনি কিছু মনে না করলে আমি প্রথমে জবাব দিতে পারি। প্রথমত, দারুণ প্রশ্ন। সিরিয়ায় মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃস্থানীয় দাতা এবং এ সংকট শুরুর সময় থেকে আমরা সিরিয়া এবং এ অঞ্চলে ১১.৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি দিয়েছি। এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউএসএআইডি উভয়ের সহায়তা।
সবার আগে, আমরা গত ১১ জুলাই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটির খবরকে স্বাগতম জানাই, যা ১২ মাসের জন্য তুরস্ক থেকে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় সীমান্ত অতিক্রমকে পুনঃঅনুমোদন দিয়েছে। তবে আমরা একই সঙ্গে একজন ব্যক্তিরও সীমান্ত ডিঙিয়ে সিরিয়ায় যাওয়ার ক্ষতির নিন্দা জানাই, যা জাতিসংঘের আন্তঃসীমান্ত মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে ব্যয় ও জটিলতা বৃদ্ধি করবে। সীমান্ত অতিক্রম উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় বেসামরিক লোকদের মঙ্গলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি মানবিক সহায়তা, যেটার কথা আপনি উল্লেখ করেছেন, তা প্রদানে এবং সেই সঙ্গে সাড়া প্রদানের অন্যান্য অংশের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই আন্তঃসীমান্ত অভিগম্যতা থাকতে হবে।
সঞ্চালক: সহকারী সেক্রেটারি ও’কোনেল, আপনার কোনো মন্তব্য আছে?
মিস ও’কোনেল: না, এক্ষেত্রে নেই।
সঞ্চালক: ধন্যবাদ। ঠিক আছে, আমরা পরবর্তী প্রশ্ন নিতে পারি-
অপারেটর: আপনার পরবর্তী প্রশ্ন –
অপারেটর: আপনার পরের প্রশ্ন আসছে তুরান নিউজ এজেন্সির অ্যালেক্স আলিয়েভের লাইন থেকে। অনুগ্রহ করে প্রশ্ন করুন।
প্রশ্ন: হ্যাঁ, শুভ সকাল। এ জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। আমার নাম অ্যালেক্স রউফোগলু, আজারবাইজানের তুরান নিউজ এজেন্সি থেকে। আমার দুটি প্রশ্ন। ম্যাডাম অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি, আপনি আজ সকালে সেক্রেটারির বিবৃতির কথা উল্লেখ করেছেন। অনুগ্রহ করে আপনি কি আরো সুনির্দিষ্ট করে বলবেন, মহামারী কিভাবে সংঘাত এলাকায় মানবিক সহায়তার দৃশ্যপট বদলে দিচ্ছে এবং এ মুহূর্তে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানে এটি কী প্রভাব রাখছে?
এবং আমার দ্বিতীয় প্রশ্নটি মহামারীর সময় কারাগার ও শিবিরে বসবাসরতদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিভিন্ন সময়ে আজারবাইজান সরকার ও অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে তারা মানবিক কারণে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেয়। এটা করতে তারা শুধু যে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তাই নয়, বরং আমরা নতুন নতুন লোককে কারাবন্দি হতে দেখেছি। কাজেই আমার প্রশ্ন: সরকারগুলো যেহেতু ভাইরাসের ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ প্রচেষ্টার ওপর জোর দিচ্ছে, আপনারা কিভাবে এমন পদ্ধতিতে আপনাদের উদ্বেগ জানানোর চেষ্টা করছেন, যা ফলদায়ক হবে? আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মিস ও’কোনেল: ঠিক আছে। আমরা – আমি নিশ্চিত করতে চাই – প্রথম প্রশ্নটি হলো: কোভিড মহামারিতে সাড়াপ্রদান কি মানবিক সহায়তা প্রদানের ওপর প্রভাব ফেলছে?
প্রশ্ন: সঠিক। সংঘাত এলাকায়।
মিস ও’কোনেল: ঠিক আছে। আমি বলতে চাই, অবশ্যই, যে কোনো সংঘাত এলাকায় যে কোনো পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা প্রদান দারুণ জটিল ও অত্যন্ত বিপদজনক। তবে দুস্থ লোকেদের সত্যিকারভাবে মৌলিক চাহিদা, জীবন রক্ষাকারী রসদ, খাদ্য, পানি, আশ্রয় ইত্যাদি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মাধ্যমে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অনেক কাজ করছি – দৃষ্টান্তস্বরূপ – আমরা আইওএম-এর বৈশ্বিক কৌশলগত প্রস্তুতি ও সাড়াপ্রদান পরিকল্পনাকে সহায়তা করছি, বস্তুত, বলতে গেলে, চলমান মানবিক সংকটে সম্পদ ও সামর্থ্য বৃদ্ধি করছি, বিশেষ করে যেসব স্থানে মহামারির কারণে বিপুল সংখ্যক ঝুঁকিগ্রস্ত অভিবাসী আছে, সেসব জায়গায়।
আমরা বাড়তি মানবিক সহায়তা দিচ্ছি। আমরা অবশ্যই আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য অনুযায়ী এ রোগ বিষয়ে যোগাযোগ বৃদ্ধির কথা ভাবছি, কিভাবে এটির বিস্তার রোধ করা যায়, সঙ্গনিরোধ ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে সহায়তা, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিকে সহায়তা, লোকজনের মাঝে পরিচ্ছন্নতা কিট সরবরাহের চেষ্টা, যাতে তারা – এবং হাত ধোয়ার জন্য পরিষ্কার পানি, বা এ ধরনের জিনিস। সহায়তা প্রদানকারী আসল স্টাফ ও আসল কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জাতিসংঘের বৈশ্বিক সহায়তা কর্মসূচিকেও সহায়তা দিচ্ছি আমরা।
আমরা গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য অবকাঠামোকে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি – যেমনটা বলেছি, নিরাপদ সুপেয় পানি, পরিচ্ছন্নতা চর্চ্চা – এবং বন্দিশালায় রোগটির বিস্তার প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। আপনি যেমনটা উল্লেখ করেছেন, আপনি রাজনৈতিক বন্দিদের কথা বলেছেন। আমরা আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি, আইসিআরসির সঙ্গে এবং অনেক জায়গায় রেড ক্রিসেন্ট মুভমেন্টের সঙ্গেও কাজ করছি, চেষ্টা করছি তাদের সহায়তা করতে, যাতে তারা স্থানীয় পর্যায়ে সাড়া প্রদান করতে সমর্থ্য হয় এবং বস্তুত এমন একটি সরবরাহ পথ তৈরি করতে পারে, যা লোকজনের মধ্যে দুর্যোগ সহনশীলতা তৈরি ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে টেকসই কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সমর্থ হয়।
আমার মনে হয় – আমি চেষ্টা করছি – আর কিছু কি ছিল আমি যেটা বলতে ভুলে গেছি?
প্রশ্ন: হ্যাঁ, আমি শুধু মানবিক কারণে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও মানুষজনকে গ্রেপ্তার না করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে অন্যান্য সরকারের কাছে বার্তা প্রেরণের সূত্রে জানতে চাচ্ছিলাম। তবে সরকারগুলো তা শুনছে না বলে মনে হচ্ছে। আপনারা কি আপনাদের বার্তা এমন অন্য কোনো উপায়ে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যাতে তারা সত্যি কথা শোনে?
মিস ও’কোনেল: দেখুন, আমার মনে হয়, বার্তাটি ছিল অভিন্ন ও জোরালো, আমরা চাই এ বিষয়ে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব নজর দিক, যখন আমরা চাপ দিচ্ছি – আমরা সর্বদা চাই সংঘাত পরিস্থিতিতে মানবিক বিষয়গুলোই অগ্রাধিকার পাক, আমার মনে হয়, আজকের দিনে আমরা আমাদের মানবিক সহায়তা প্রদান এবং মানবিক সহায়তা কর্মীদের সাহায্য করার বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছি।
প্রশ্ন: অনেক ধন্যবাদ।
মিস ও’কোনেল: অবশ্যই।
অপারেটর: আমাদের হাদিল ওয়েইসের একটি ফলো-আপ প্রশ্ন আছে। অনুগ্রহ করে প্রশ্নটি করুন।
প্রশ্ন: হ্যাঁ, ধন্যবাদ। আমার প্রশ্নটি ছিল উত্তর-পূর্ব সিরিয়া নিয়ে, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়া নিয়ে নয়। কারণ তুরস্ক উত্তর-পশ্চিম সিরিয়াকে সহায়তা করছে, যেখানে তারা ওই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে, ওদিকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়া, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র স্বল্প সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে, ওই অঞ্চলে কোনো অভিগম্যতা নেই, ওই অঞ্চলে আছে ‘হল’ শিবির, যেখানে আছে হাজার হাজার আইসিস বন্দি, এবং অন্যান্য এলাকার হাজার হাজার শরণার্থীর অবস্থান। এই অঞ্চল কোভিড-১৯ পরিস্থিতিরও মোকাবেলা করছে এবং উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় আরেকটি সমস্যা হলো পানির অভাব। কাজেই আমার প্রশ্ন হলো উত্তর-পূর্ব সিরিয়া নিয়ে এবং ওই এলাকার জন্য আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা।
জনাব হিকস: আচ্ছা, সাধারণভাবে, আমরা সিরিয়ায় কোভিড-১৯ বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি। কোভিড-১৯ জন্য আমরা অতিরিক্ত প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছি, যা সিরিয়ার অভ্যন্তরে ব্যবহার হবে একই সঙ্গে ঝুঁকি যোগাযোগ এবং রোগ সতর্কতা, পানি, স্যানিটেশন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মকাণ্ডের সহায়তায়। কাজেই আমরা চ্যালেঞ্জগুলোর ব্যাপারে সচেতন এবং আমরা সিরিয়াজুড়ে এই কর্মসূচিগুলো পরিচালনায় আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
সঞ্চালক: ধন্যবাদ।
অপারেটর: আর কারো প্রশ্ন থাকলে অনুগ্রহ করে ১ চেপে তারপর ০ চাপুন। এবং এ মুহূর্তে আর কোনো প্রশ্ন নেই।
সঞ্চালক: ঠিক আছে। আর কোনো প্রশ্ন না থাকলে আমি আজ বিশ্ব মানবিক সহায়তা দিবসের ওপর আমাদের ব্রিফিং দেওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারি ও’কোনেল এবং ইউএসএআইডির ব্যুরো ফর হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিসট্যান্স-এর অ্যাসিসট্যান্ট টু দ্য অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ট্রে হিকসকে ধন্যবাদ দেবো।
মিস ও’কোনেল: আমি কি – ওহ, আমরা প্রায় – আমরা – আমি কি কেবল – ডরিস, আমি কি শুধু একটা সেকেন্ডের জন্য বাগড়া দিতে পারি?
সঞ্চালক: হ্যাঁ, অবশ্যই।
মিস ও’কোনেল: ঠিক আছে। আপনাদের আপত্তি না থাকলে বিশ্বজুড়ে কোন ধরনের সহায়তা এবং কাদের জন্য – সেটার আমি শুধু দুটি দৃষ্টান্ত দিতে চাই।
একটি কলম্বিয়ায়, আমি মূলত বলতে চাই, ভেনিজুয়েলান শরণার্থী ও অভিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, আইনি পরামর্শ, পরিচ্ছন্নতা কিট, মনো-সামাজিক সহায়তা এবং আশ্রয় দিচ্ছে ইউএনএইচসিআর, আইওএম এবং ইউনিসেফ-এর মতো যেসব অংশীদার, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহায়তা দিচ্ছে। সবচেয়ে ঝুঁকিগ্রস্ত ভেনিজুয়েলান শরণার্থীদের সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের জীবন-রক্ষাকারী সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে আমরা অংশীদারদের সঙ্গেও কাজ করছি।
একইভাবে তুরস্কে ইউনিসেফের সঙ্গে মিলে আমরা সেইসব তরুণদের মনো-সামাজিক কিট দিচ্ছি, যারা শুধু বাস্তুচ্যুতির কারণেই নয়, একই সঙ্গে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে পরিকল্পিত সঙ্গনিরোধ পদক্ষেপের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিশুদের দেওয়া হচ্ছে ধাঁধা এবং রঙ-করার বই এবং শিক্ষা উপকরণ, যাতে তা তাদের সার্বিক মঙ্গলে সহায়ক হয় এবং এই প্রচেষ্টাকালে এখন তাদের সংখ্যা ৫০ হাজার তুর্কি শরণার্থী পরিবারে পৌঁছেছে।
এবং আমি আরেকটি শেষ দৃষ্টান্ত দেবো, সিরিয়ায় ইউএনসিএইচআরকে দেওয়া আমাদের সহায়তা – সেখানে আমরা ঝুঁকিগ্রস্ত বয়স্ক লোকজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা দিতে কাজ করছি। কাজেই অনেক কাজ হচ্ছে। জিম্বাবুয়েতেও কাজ চলছে, সেখানে তোঙ্গোগারা শরণার্থী শিবিরে চিকিৎসকেরা যাচ্ছেন এটি নিশ্চিত করতে যে, শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীরা শিবিরে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে এবং যেসব জরুরি রোগীর তারা দেখভাল করছেন, আঞ্চলিক এবং প্রাদেশিক চিকিৎসা সুবিধাগুলো তাদের ব্যাপারে মনোযোগ দিচ্ছে। কোভিড-১৯ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদির জন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছি।
কাজেই আজ বিশ্ব মানবিক সহায়তা দিবসে আমরা সত্যিকারভাবে মানুষকে এটি জানানোর চেষ্টা করছি যে, মানবিক ত্রাণ ও সহায়তার সকল দিকে, বিশেষত কোভিড-১৯ এর এই সময়ে, আমাদের লক্ষ্য স্থির এবং আমরা কার্যক্ষেত্রে সাফল্য দেখাচ্ছি, সেটা আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও, ধর্মীয়-বিশ্বাস ভিত্তিক সংগঠন ইত্যাদি যাদের মাধ্যমেই হোক না কেন। বিশ্বজুড়ে ঝুঁকিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা দিতে আমাদের অর্থায়ন সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে। আপনাদের ধন্যবাদ।
সঞ্চালক: আপনাকে ধন্যবাদ। এবং জনাব হিকস, আপনার কি কোনো শেষ কথা/মন্তব্য করার আছে?
জনাব হিকস: না, আমি ঠিক আছি। ধন্যবাদ।
সঞ্চালক: ধন্যবাদ। বিশ্ব মানবিক সহায়তা দিবসে আমাদের ব্রিফ করার পেছনে সময় দেওয়ায় আমি আমাদের ব্রিফকারীদের ধন্যবাদ দিতে চাই এবং এরই সঙ্গে এই ব্রিফিং শেষ হচ্ছে।
মিস ও’কোনেল: ধন্যবাদ।
জনাব হিকস: ধন্যবাদ।
সঞ্চালক: ধন্যবাদ।