ভিসা অব্যাহতি কর্মসূচি (ভিডব্লিউপি)- ভিডব্লিউপি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নাগরিকদের কিছু শর্তপূরণ সাপেক্ষে ৯০ দিন বা তার কম সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে ভিসার প্রয়োজন হয় না। ভিডব্লিউপি সুবিধা পেতে হলে ভ্রমণকারীদের অবশ্যই নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হবে এবং ভ্রমণের আগে বৈধ ‘ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথরাইজেশন’ (ইএসটিএ) অনুমোদন থাকতে হবে। ৩৮টি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশ এর মধ্যে নেই। ভিডব্লিউপি কর্মসূচিভুক্ত দেশে বসবাস কাউকে ভিডব্লিউপি সুবিধার অধিকারী করে না। ভিডব্লিউপি সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে এখানে: ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রাম (ভিডব্লিউপি)।
ইএসটিএ– এটি একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা যা কোন ভ্রমণকারী ভিসা অব্যাহতি কর্মসূচির (ভিডব্লিউপি)-আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার যোগ্য কিনা তা যাচাই করে। তবে ইএসটিএ-র মাধ্যমে অনুমোদন একজন ভ্রমণকারীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের নিশ্চয়তা দেয় না। ভ্রমণকারী যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর দেশটির কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন কর্মকর্তারা তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে কিনা তা স্থির করেন। ইএসটিএ অ্যাপলিকেশন বায়োগ্রাফিক তথ্য সংগ্রহ করে এবং ভিডব্লিউপি’র যোগ্যতা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেয়। ভ্রমণের আগে যে কোন সময় ইএসটিএ আবেদন করা যেতে পারে। তবে ভ্রমণের পরিকল্পনা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কিংবা বিমানের টিকিট কাটার আগে এটি করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ভিডব্লিউপি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী দেশ নয় বলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ইএসটিএ নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথরাইজেশন-এ ইএসটিএ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
গ্লোবাল এন্ট্রি প্রোগ্রাম- গ্লোবাল এন্ট্রি হচ্ছে ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন (সিবিপি) এর একটি কর্মসূচি যা পূর্ব অনুমোদিত, কম ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছবার পর দ্রুত বন্দর থেকে ছাড়া পেতে সহায়তা করে। এর সদস্যরা নির্বাচিত কিছু বিমানবন্দরের স্বয়ংক্রিয় কিওস্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। গ্লোবাল এন্ট্রি প্রোগ্রামের জন্য ভ্রমণকারীদের অবশ্যই পূর্ব অনুমোদিত হতে হবে। তালিকাভুক্তির আগে সব আবেদনকারীর বিষয়ে জোরালোভাবে তথ্য যাচাই করা হয় এবং তাদেরকে সশরীরে সাক্ষাতকার দিতে হয়। এ কর্মসূচির বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে গ্লোবাল এন্ট্রি প্রোগ্রাম-এ।