অন-অভিবাসী ভিসা ফি বৃদ্ধি
ইউ এস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট নির্দিষ্ট কিছু অন-অভিবাসী ভিসার (এনআইভি) আবেদন প্রক্রিয়াকরণ ফি বৃদ্ধি করেছে। এই ফি বৃদ্ধি ১৭ই জুন, ২০২৩ থেকে কার্যকর হবে।
- ব্যবসা বা পর্যটনের জন্য ভিজিটর ভিসা (বি১/বি২), এবং অন্যান্য নন-পিটিশন ভিত্তিক অন-অভিবাসী ভিসা, যেমন ছাত্র এবং এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসার আবেদনের ফি $১৬০ থেকে $১৮৫ এ বেড়েছে।
- অস্থায়ী কর্মীদের (এইচ, এল, ও, পি, কিউ, এবং আর ক্যাটাগরি) জন্য নির্দিষ্ট পিটিশন-ভিত্তিক অন-অভিবাসী ভিসা আবেদনের ফি $১৯০ থেকে $২০৫ এ বেড়েছে।
- চুক্তি ভিত্তিক ট্রিটি ট্রেডার, ট্রিটি ইনভেস্টর, এবং ট্রিটি আবেদনকারীর জন্য একটি বিশেষ পেশায় (ই ক্যাটাগরি) আবেদনের ফি $২০৫ থেকে $৩১৫ এ বেড়েছে।
যে সমস্ত আবেদনকারীরা ইতিমধ্যে ভিসা আবেদন ফি প্রদান করেছেন যা বর্তমানে বৈধ আছে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ নয়, কিন্তু যারা এখনও তাদের ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হননি বা তাদের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন, তাদের কোন অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে না।
আরও তথ্যের জন্য, এই ওয়েবসাইট দেখুন: https://ustraveldocs.com/bd_eu/।
কোভিড–১৯ সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা
১২ই মে, ২০২৩ থেকে কার্যকরী, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারী অনাগরিক অন-অভিবাসীদের আর কোভিড –১৯ এর টিকা দেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে না। আরও তথ্যের জন্য, দয়া করে সিডিসি-এর ওয়েবসাইট দেখুন।
নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা হচ্ছে অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য। এই ভিসা আপনার পাসপোর্টে সংযুক্ত করা হয়। এটি আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের কোন একটি প্রবেশদ্বারে (পোর্ট অব এন্ট্রি) পৌঁছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন অভিবাসন কর্মকর্তার কাছে সে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়ার অনুরোধের সুযোগ করে দেয়। এই ভিসা প্রবেশের নিশ্চয়তা দেয় না। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীরা বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। যেমন পর্যটন, ব্যবসা, চিকিৎসা এবং নির্দিষ্ট কিছু অস্থায়ী কাজ। নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা সম্পর্কে জানতে নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা বিভাগের নির্দেশিকা দেখুন।
আগাম পরিকল্পনা আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করতে পারে। সফরের যতটা সম্ভব আগে পারা যায় ভিসার আবেদন করুন।
২০২৩ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর এ মেয়াদোত্তীর্ণ এমআরভি ফি রসিদঃ
২০২২ সালের ১ অক্টোবরের আগে মেশিন-রিডেবল ভিসা (এমআরভি) ফি প্রদানকৃত যে সমস্ত রসিদ আছে, সে সমস্ত রসিদ ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে। ভিসা ফির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। নতুন একটি ভিসা ফি প্রদান এড়াতে, আবেদনকারীদেরকে অবশ্যই ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এর আগে একটি সাক্ষাৎকারের দিন নির্ধারণ করতে হবে বা একটি সাক্ষাৎকার অব্যাহতির আবেদন জমা দিতে হবে। অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে, সাক্ষাৎকারের দিনটি ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এর আগে হতে হবে এমনটা আবশ্যক নয়, তবে সিস্টেমে একটি সাক্ষাৎকারের দিন ধার্য করতে হবে, এমনকি যদি এটি সামনের মাসগুলিতেও হয়ে থাকে। এছাড়াও, সাক্ষাৎকারের দিন ধার্য করার জন্য, যেসব আবেদনকারীরা ১ অক্টোবর, ২০২২-এর আগে এমআরভি ফি প্রদান করেছেন, তাদেরকে সাক্ষাৎকারের তারিখ ১ অক্টোবর, ২০২৩ বা এর পরে পরিবর্তনের চেষ্টা না করার জন্য বিশেষভাবে বলা হচ্ছে। এটি করার ফলে মূল সাক্ষাৎকারের সময় এবং এমআরভি ফি রসিদ উভয়ই বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। আবেদনকারীকে তখন নতুন একটি ফি প্রদান করতে হবে এবং একটি নতুন আবেদন প্যাকেজ জমা দিতে হবে।
সঠিক ও বুদ্ধিদীপ্ত উপায়ে আবেদন করুন!
সঠিক ও বুদ্ধিদীপ্ত উপায়ে আবেদন করুন! ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভিসা প্রক্রিয়া সংক্রান্ত দারুণ একটি অ্যানিমেটেড ভিডিও- ভিসার ভুলভ্রান্তি ও জটিলতা এড়ানোর উপায়!
যেভাবে আবেদন করবেন
আমাদের ওয়েবসাইট www.ustraveldocs.com/bd এর মাধ্যমে অথবা কল সেন্টারে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের সময়সূচি ঠিক করুন। ভিসা পেতে দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের জন্য একটি ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
যুক্তরাষ্ট্রে আপনি যতদিন অবস্থান করতে চান তার চেয়ে ছয় মাস বেশি মেয়াদ রয়েছে এমন পাসপোর্ট থাকা। শিশুদের অবশ্যই পৃথকভাবে ইস্যু করা ভিসা থাকতে হবে, এমনকী যদি তা মা-বাবার পাসপোর্টেও সংযুক্ত হয়। ভ্রমণ ভিসা আবেদনকারীদের অবশ্যই এটি দেখাতে হবে যে, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা অনুসারে তা পাওয়ার যোগ্য। আবেদনকারীদের অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে তাদের দর্শনার্থী শ্রেণিতে ধরা যেতে পারে।
সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় প্রতিটি ভ্রমণ ভিসা আবেদনকারীকে অভিবাসী হতে ইচ্ছুক ধরা হয়। কাজেই ভ্রমণ ভিসার আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন তাঁকে নিয়ে এমন অনুমান না করা হয়। তাকে দেখাতে হবে:
- তার যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের উদ্দেশ্য ব্যবসা/দাপ্তরিক কাজকর্ম, বিনোদন অথবা চিকিৎসা;
- তিনি নির্দিষ্ট, সীমিত সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পরিকল্পনা করছেন;
- যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে নিজের খরচ বহনের যথেষ্ট তহবিল থাকার পক্ষে প্রমাণ;
- বিদেশে জোরালো সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকার পক্ষে প্রমাণ; এবং
- যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তাঁদের বাড়িঘরসহ আরও সম্পর্কের বিষয় রয়েছে, যা ভ্রমণ শেষে তাঁদের নিজ দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
সাক্ষাৎকারে আপনার সঙ্গে রাখুন:
- বৈধ পাসপোর্ট ও আগে কোনো পাসপোর্ট করা থাকলে তা
- বারকোডসহ ডিএস-১৬০ নিশ্চিতকরণ পৃষ্ঠা
- সাক্ষাৎকারের পত্র
- এইচ, এল এবং অন্যান্য আবেদনভিত্তিক ভিসা আবেদনকারীরা আই-৭৯৭, আই-১২৯ এবং অন্যান্য আবেদনভিত্তিক নথির অনুলিপি সঙ্গে আনতে পারেন
- এফ, এম শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের মূল আই-২০ আনতে হবে
- জে এক্সচেঞ্জ ভ্রমণকারীদের অবশ্যই তাদের ডিএস-২০১৯ ফরম আনতে হবে
নিরাপত্তাজনিত কারণ ও স্থানের সীমাবদ্ধতার জন্য ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বন্ধু, আত্মীয়, আইনজীবী বা ব্যবসায়িক যোগসূত্র রয়েছে এমন ব্যক্তিসহ আগ্রহী কাউকে ভিসা আবেদনকারীর সঙ্গে সাক্ষাতকারে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয় না। আবেদনকারীকে অবশ্যই উপস্থিত কোন ব্যক্তির সহায়তা ছাড়া সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আসতে হবে।
সাক্ষাৎকারের ধাপগুলো
দূতাবাসে আপনার সাক্ষাৎকারের দিন
হাজির হওয়া:
- সাক্ষাৎকারের দিন আপনার সাক্ষাৎকার পত্রে উল্লেখিত তারিখ ও সময় অনুসারে কনস্যুলার সেকশনে আসুন।
- কনস্যুলারের অপেক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে অভ্যর্থনাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং তাঁদের নির্দেশনা মতো নির্দিষ্ট উইন্ডোতে গিয়ে আবেদনপত্র ও আঙুলের ছাপ দিন।
- আঙুলের ছাপ নেওয়ার উইন্ডোতে আপনার বর্তমান পাসপোর্ট, মূল ডিএস-১৬০ নিশ্চিতকরণ পৃষ্ঠা, সাক্ষাৎকার পত্র এবং সিজিআই অর্থ জমাদান স্লিপ জমা দিতে প্রস্তুত থাকুন।
- আপনার একাধিক পাসপোর্ট থাকলে সাক্ষাৎকারের আগে সেগুলো আলাদা করুন। সাক্ষাৎকারের সময় আপনার আগের সবগুলো পাসপোর্ট সঙ্গে আনতে হবে, কারণ সেগুলো সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী কনস্যুলার কর্মকর্তার সামনে উপস্থাপন করতে হতে পারে। তবে পাসপোর্টগুলো কখনোই একত্রে স্ট্যাপল করবেন না।
- আঙুলের ছাপের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করুন আপনার হাত পরিষ্কার ও শুকনো রয়েছে। আঙুলের ছাপ দেওয়ার পর বসুন এবং সাক্ষাৎকারের জন্য অপেক্ষা করুন।
- আপনি যদি ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য নির্ধারিত তারিখে আসতে অপারগ হন, তাহলে সাক্ষাৎকারের সময় পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। আপনি চাইলে ফি প্রদানের দিন থেকে পরবর্তী ১২ মাসের মধ্যে সাক্ষাতের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করতে পারবেন। এই ১২ মাসের মধ্যে আপনি যদি সাক্ষাৎকারে উপস্থিত না হন, তাহলে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় আপনার ফি প্রদানের তথ্য মুছে যাবে। সাক্ষাৎকারের সময়সূচি পুনর্নির্ধারণ সম্পর্কে আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন।
সাক্ষাৎকার:
- আপনার পাসপোর্ট ও ডিএস-১৬০ নিশ্চিতকরণ পৃষ্ঠাটি কনস্যুলার কর্মকর্তা চাইলেই তার হাতে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখুন। কয়েকজনে মিলে যদি আবেদন করে থাকেন, তাহলে সবগুলো পাসপোর্ট একত্রে হস্তান্তর করুন।
- সময় বাঁচাতে কেবল কর্মকর্তা চাইলেই তাঁকে নথি দিন। আর কর্মকর্তা যদি কোনো নির্দিষ্ট নথি চান, তাহলে তাঁকে কেবল সেই নথিটিই দিন।
- যে নথিটি ভুয়া বা জাল বলে আপনি জানেন, তা জমা দেবেন না। জমা দেওয়া নথি প্রকৃত ও অকৃত্রিম কি না, সে ব্যাপারে জ্ঞাত থাকার দায়দায়িত্ব আবেদনকারীর। কোনো কর্মকর্তা আপনাকে নথি উপস্থাপন করতে বললে, সেগুলো প্রকৃত ও অকৃত্রিম কি না তা জানার দায়দায়িত্ব আপনার নিজের। যদি নথিগুলো প্রকৃত ও অকৃত্রিম না হয়, তাহলে কোনো তৃতীয় পক্ষ নয়, দায় আপনার ওপরই বর্তাবে। কনস্যুলার কর্মকর্তার যদি সন্দেহ হয় যে, আপনার নথি জাল তাহলে আপনাকে ভিসা দেওয়া হবে না এবং যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হতে পারেন।
- সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় যতটা সম্ভব বিস্তারিত বলুন।
- আপনি যদি কনস্যুলার কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে না পারেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে তর্ক করতে যাবেন না। আপনি আবারও আবেদন করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে যে বিষয় বা পরিস্থিতির কারণে আপনার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তাতে উন্নতি ঘটেছে কি না, তা আপনাকে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করতে হবে।
- ইংরেজিতে পারদর্শিতা ভিসা পাওয়ার প্রয়োজনীয় শর্ত নয়। সব কনস্যুলার কর্মকর্তাই বাংলা বোঝেন এবং এ ভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা ইংরেজি বা বাংলা যে কোন ভাষায় আপনার সাক্ষাৎকার নিতে সানন্দে প্রস্তুত।
সাক্ষাৎকারের পর:
আপনাকে যদি ভিসা দেওয়া হয়, তাহলে কনস্যুলার কর্মকর্তা জানাবেন, কখন ও কীভাবে ভিসা সংযুক্ত পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। সাক্ষাৎকারের সময়সূচি নির্ধারণ করার সময় আপনার বেছে নেওয়া জায়গা থেকেই সাধারণত পাসপোর্ট ও ভিসা সংগ্রহ করা যাবে। মনোনীত জায়গায় পাসপোর্ট পৌঁছানোর পর আপনি একটি ইমেইল পাবেন এই মর্মে যে, আপনার পাসপোর্ট ‘সংগ্রহ করার জন্য প্রস্তুত’। পারিবারিকভাবে আবেদন করে থাকলে পরিবারের একজন মাত্র সদস্য ভিসা সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে পাসপোর্টগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।
কিছু যোগ্য আবেদনকারীর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজন পড়ে। এই অতিরিক্ত প্রক্রিয়ার জন্য কত সময় লাগতে পারে, তা আন্দাজ করা অসম্ভব। আপনার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়ার অগ্রগতি জানতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়ে থাকলে কনস্যুলার কর্মকর্তা অবিলম্বে পাসপোর্ট ফেরত দেবেন। আপনি যেকোনো সময় আবার নতুন করে সাক্ষাৎকারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদিও আমাদের পরামর্শ হলো, যে পরিস্থিতির কারণে ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তা নিরসন বা পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
গুরুত্বপূর্ণ:
- আপনি যদি সশরীরে নিজে ভিসা সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারেন, তাহলে আপনার অনুমোদিত যে কেউ আপনার পক্ষে তা করতে পারবে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই একটি স্বাক্ষরিত অনুমোদন ফরম (পিডিএফ ৬০.২ কিলোবাইট) সরবরাহ করতে হবে।
- পাসপোর্ট জমা দেওয়া/সংগ্রহের বিষয়ে নির্দেশনা অনুসরণ করুন যা (ভিসাপ্রাপ্ত ও ভিসাপ্রাপ্ত নয়-উভয়ের জন্য প্রযোজ্য) এখানে পাবেন।
সহায়ক নথিপত্র
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য ভিসার আবেদনকারী প্রত্যেকে সাক্ষাৎকারের সময় সঙ্গে আনবেন
- পাসপোর্ট, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার সময়ের চেয়ে অন্তত ছয় মাস বেশি মেয়াদ থাকতে হবে।
- সিজিআই ক্যাশ জমাদান স্লিপ (এমআরভি ফি প্রদান রশিদ)
- ডিএস-১৬০ আবেদন নিশ্চিতকরণ পৃষ্ঠা
- সাক্ষাৎকার নিশ্চিতকরণ পত্র
অনুগ্রহ করে লক্ষ্য রাখবেন, শিশুদেরও নিজেদের পাসপোর্ট থাকতে হবে।
নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদনকারীদের অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারাগুলোর আওতায় ভিসা পাওয়ার যোগ্য। এই আইন অনুসারে প্রত্যেক ভিসার আবেদনকারীকে অভিবাসী হতে ইচ্ছুক ধরে নেওয়া হয়। কাজেই বেশিরভাগ নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদনকারীকে এই ধারণা ভুল প্রমাণে প্রদর্শন করতে হবে যে:
- তাঁদের ভ্রমণের যৌক্তিক ও অস্থায়ী কারণ রয়েছে
- তাঁরা সুনির্দিষ্ট ও সীমিত সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পরিকল্পনা করেছেন
- যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তাদের বাড়ি (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে) এবং অন্যান্য পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে যা তাঁদের ভ্রমণশেষে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করবে। এমনকি যেসব আবেদনকারী ব্যবসায়িক বা দাপ্তরিক কাজে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে চান, তাঁদেরও বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিগত যোগসূত্র প্রদর্শন করতে হবে।
প্রত্যেক আবেদনকারীই আলাদা। কাজেই প্রয়োজনীয় নথির একটি তালিকা দেওয়া সম্ভব নয়। ভিসা আবেদনকারীকে কর্মকর্তার সামনে এমন সব প্রমাণ হাজির করতে হবে, যার মাধ্যমে প্রমাণ হবে যে তাঁরা বাংলাদেশে বা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অন্য কোনো আবাসে প্রত্যাবর্তন করবেন। আবেদনকারীদের বাংলাদেশে নিজের পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যোগসূত্র নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় সহায়ক নথির কিছু উদাহরণ, তবে এর বাইরে যে আর কিছু লাগবে না, তেমন নয়:
- আগের সব পাসপোর্ট
- শিক্ষার্থী ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার ফল, প্রতিলিপি ও মানদ- যাচাই পরীক্ষার নম্বর
- শিক্ষার্থী ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে তিন থেকে ১২ মাসের ব্যাংক বিবরণী
- ক্রু ভিসার আবেদন করলে সিম্যান বই
- স্পাউস ভিসার আবেদন করলে বিয়ের ছবি
মনে রাখবেন!
প্রতিজন আবেদনকারীই আলাদা। আপনার ক্ষেত্রে আপনার নিজের সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদিই উপস্থাপন করতে হবে। আবেদনকারীরা বাংলাদেশে তাঁদের যোগসূত্রের বিষয়ে প্রমাণাদি উপস্থাপন করলেও তাঁদের জানা থাকতে হবে যে, অনেক ক্ষেত্রেই সহায়ক নথিপত্র পর্যালোচনা করা হয় না। সহায়ক নথিপত্র হয়তো আবেদনকারীর বাংলাদেশে থাকা যোগসূত্র মূল্যায়ন করতে কর্মকর্তাদের সহায়তা করতে পারে, কিন্তু এই নথিগুলো উপস্থাপন ভিসা পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিএস-১৬০ আবেদন ফর্মে উল্লেখিত তথ্য এবং সাক্ষাৎকারে আপনার দেওয়া জবাবই নির্ধারণ করে দেয়, আপনি ভিসা পাওয়ার যোগ্য কি না।
দাপ্তরিক ভিসা (এ এবং জি ভিসা)
বিদেশী সরকারি কর্মকর্তা (এ১/এ২)
বিদেশী কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নিজ দেশের সরকারি কাজে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চাইলে দূতাবাসে এ-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আপনি জাতীয় সরকারের পক্ষে সরকারি কাজ সম্পাদন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেতে চাইলেই কেবল এ-ভিসা পেতে পারেন। যদি কর্মকর্তারা বেসরকারি কোনো অনুষ্ঠানে- যার প্রকৃতি বাণিজ্যিক বা প্রতিযোগিতামূলক- যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে চান, তবে তাদের অন্য ক্যাটাগরির ভিসার আবেদন করতে হবে। এ ধরনের ভ্রমণের জন্য এ-ভিসা দেওয়া হয় না। দাপ্তরিক কাজ সম্পাদনে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণেচ্ছু বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বা প্রাদেশিক পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ-২ ভিসার জন্য যোগ্য নন।
আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মী (জি১/জি২/জি৪)
আন্তর্জাতিক সংস্থা (জি) ভিসা দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণেচ্ছু কূটনীতিক ও অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের। সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান (যাঁরা ভ্রমণের উদ্দেশ্য যা-ই থাক এ-ভিসা পেয়ে থাকেন) ছাড়া সরকারের কূটনীতিক বা অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা কী ধরনের ভিসা পাবেন, তা নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের কারণের ওপর। অভিবাসন আইনের আওতায় আবেদনকারীকে আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মী (জি) ভিসা পেতে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর আপনি কী ধরনের ভিসা পাবেন, তা নির্ধারণ করবেন কনস্যুলার কর্মকর্তা। আপনার যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের কারণ অবশ্যই সরকারি কাজ হতে হবে।
জি–১: মনোনীত আন্তর্জাতিক সংস্থায় কোনো স্বীকৃত বিদেশী সরকারের স্থায়ী মিশন সদস্য জি-১ ভিসা আবেদনের জন্য যোগ্য
উল্লেখ্য, ‘জি–১’ ক্যাটাগরির নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসার জন্য যোগ্য হতে হলে একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই সরকারিভাবে বিদেশী সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থায় স্থায়ী মিশনে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে হবে।
জি–২: কোনো স্বীকৃত বিদেশী সরকারের প্রতিনিধি, যিনি মনোনীত কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার (যুক্তরাষ্ট্র যার অন্যতম সদস্য) বৈঠকে যোগ দিতে সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে চান, তিনি জি-২ ভিসা আবেদনের জন্য যোগ্য।
জি–৪: জাতিসংঘসহ মনোনীত কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থায় (যুক্তরাষ্ট্রের সরকার যার একটি সদস্য) কাজ/নিয়োগের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণেচ্ছু ব্যক্তিরা জি-৪ ভিসা আবেদনের জন্য যোগ্য।
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিষয়াদি
দাপ্তরিক এ এবং জি ভিসা দেওয়া হয় যথাযথভাবে করা আবেদন এবং বিদেশী সরকার/আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফ থেকে ক’টনৈতিক নোট ভার্বাল পাওয়ার পর। ভিসার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা/বিদেশী মিশন/মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া নোট ভার্বালে ভ্রমণেচ্ছুর নাম, পদবি ও অবস্থান, তাঁর পাসপোর্ট নম্বর এবং ভ্রমণের কারণ উল্লেখ করতে হবে। সুনির্দিষ্ট কারণ ঠিক হওয়ার আগে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নোট ভার্বালে সম্ভাব্য রাষ্ট্রীয় কাজটি উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনপত্রটি বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে এলে তাতে কর্মী যে মন্ত্রণালয়ে কাজ করছেন, সেই মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত সরকারি আদেশও (জিও) যুক্ত করতে হবে।
কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর স্বামী/স্ত্রী কিংবা নাবালক সন্তানেরা ভ্রমণ করলে নোট ভার্বালে তাঁদের নামও উল্লেখ করতে হবে। আমরা কোনো নোট ভার্বালের সফট কপি গ্রহণ করি না। কাজেই দয়া করে এটি আমাদের ইমেইল করবেন না। নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদনকারী প্রত্যেককে অবশ্যই অনলাইনে ডিএস-১৬০ পূরণ করতে হবে।
বিদেশী মিশন/মন্ত্রণালয়/আন্তর্জাতিক সংস্থার একজন মনোনীত প্রতিনিধি আবেদনপত্র পৌঁছে দেবেন যাতে নিম্নোক্ত নথিপত্র অবশ্যই দিতে হবে:
১. একটি কূটনৈতিক নোট ভার্বাল। বিদেশী সরকারের কার্যালয়/আন্তর্জাতিক সংস্থার পাঠানো নোটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে:
- নাম ও জন্মের তারিখ
- অবস্থান ও পদবি
- কাজের বা ভ্রমণের জায়গা
- ভ্রমণের কারণ
- দায়িত্বের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
- ভ্রমণের তারিখ
- যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান/কাজের সম্ভাব্য সময়সীমা
নোট ভার্বাল, জিও এবং ডিএস-১৬০ আবেদনপত্রে ভ্রমণের কারণ, ভ্রমণের সম্ভাব্য তারিখ ইত্যাদি বিষয়ক তথ্যে সামঞ্জস্য থাকতে হবে।
২. সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি আদেশের (জিও) মূল কপি, যাতে আবেদনকারী যে সফরকালে সরকারি কাজে নিয়োজিত থাকবেন সেটিসহ অন্যান্য শর্তের উল্লেখ থাকবে। মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় জিও সরবরাহ করা। ‘জি–৪’ ভিসার আবেদনের জন্য সরকারি আদেশ (জিও) প্রয়োজনীয় নয়।
৩. ডিএস-১৬০: অনলাইন নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদন নিশ্চিতকরণ পৃষ্ঠা
- ডিএস-১৬০-এ সরবরাহকৃত তথ্য সত্যি ও যথাযথ হতে হবে
- পাসপোর্টে পূর্ণ বানানের স্বাক্ষর না থাকলে ডিএস-১৬০ অনলাইন ভিসা আবেদনে আবেদনকারীর পূর্ণ নামসহ স্বাক্ষর থাকতে হবে।
- যদি ডিএস-১৬০ অনলাইন ভিসা আবেদনে আবেদনকারীর পূর্ণ নামসহ স্বাক্ষর না থাকে, তবে ডিএস-১৬০ নিশ্চিতকরণ পৃষ্ঠায় পূর্ণ নাম লিখিত থাকতে হবে।
- ডিএস-১৬০ আবেদনে একটি বৈধ ছবি আপলোড করতে হবে
- ডিএস-১৬০ অনলাইন আবেদনে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে দাপ্তরিক এ এবং জি ভিসা আবেদন সময়মতো এগোনোর ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে
৪. যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য অবস্থানের চেয়ে অন্তত ছয় মাস বেশি মেয়াদ রয়েছে এমন মেশিন রিডেবল (যন্ত্রে পাঠযোগ্য) পাসপোর্ট থাকতে হবে। কেবলমাত্র সাম্প্রতিকতম পাসপোর্টই জমা দিতে হবে
৫. একটি ছবি (যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ছবির বিষয়ে নির্দেশনা পাওয়া যাবে এখানে: www.ustraveldocs.com/bd
পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রে, জমা দিন:
১. একটি পাসপোর্ট (যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য অবস্থানের চেয়ে অন্তত ছয় মাস বেশি মেয়াদ রয়েছে এমন)
২. ডিএস–১৬০: অনলাইন নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদন নিশ্চিতকরণ পৃষ্ঠা। ডিএস-১৬০ আবেদনে অবশ্যই একটি বৈধ ছবি আপলোড করতে হবে।
৩. আবেদনের তারিখের আগের ছয় মাসের মধ্যে তোলা একটি ছবি। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাওয়া যাবে এখানে- http://www.ustraveldocs.com/bd
৪. বিদেশী সরকার/বিদেশী মিশন/আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে একটি পরিচয়পত্র (এলওআই), যাতে উল্লেখ থাকবে
- আবেদনকারীর স্বামী/স্ত্রী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের নাম ও জন্মতারিখ;
- মূল আবেদনকারীর অবস্থান ও পদবি;
- মূল আবেদনকারীর সঙ্গে সম্পর্র্ক
- সফরের বা কাজের জায়গা;
- সফরের কারণ;
- কাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ;
- সফরের তারিখ;
- মূল আবেদনকারীর সম্ভাব্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের বা কাজের সময়
- মূল আবেদনকারীর নোট ভার্বাল, জিও এবং সংশ্লিষ্ট সহায়ক নথিপত্রের অনুলিপি (পরিবারের সদস্যদের আলাদাভাবে ভ্রমণের ক্ষেত্রে)
আবেদনপত্র জমাদান
দাপ্তরিক ভিসা আবেদন জমা দিতে বিদেশী সরকার/আন্তর্জাতিক সংস্থার মনোনীত প্রতিনিধিকে বারিধারার মাদানি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুলার শাখায় যেকোনো রোববার, সোমবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে ০২:৩০ এর মধ্যে আসতে হবে। কনস্যুলার গেট-২ এ যাওয়ার জন্য মনোনীত প্রতিনিধিকে অবশ্যই মাদানি অ্যাভিনিউয়ের নিরাপত্তা রক্ষীর কাছে কূটনৈতিক নোট/ নোট ভার্বাল ও একটি বৈধ ফটো আইডি প্রদর্শন করতে হবে। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মনোনীত প্রতিনিধিকে কনস্যুলার অভ্যর্থনা কক্ষে যেতে হবে।
সব কূটনৈতিক/দাপ্তরিক ভিসার আবেদন অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সম্ভাব্য তারিখের ৩০ দিন আগে জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্রের বাহককে একটি চিঠি এবং বারকোড নম্বরসহ ডিএস-১৬০-এর একটি কপি দেওয়া হবে যা দিয়ে আবেদনের অগ্রগতি অনলাইনে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এই চিঠি ও বারকোড নম্বরসহ ডিএস-১৬০ নিশ্চিত করে যে দাপ্তরিক নন ইমিগ্র্যান্ট এ এবং জি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
পাসপোর্ট সংগ্রহ
কনস্যুলার শাখায় আবেদন জমা পড়ার ৩০ দিনের মধ্যে সরকারি/কূটনৈতিক ভিসা সাধারণভাবে তোলার জন্য প্রস্তুত থাকবে। যখন আবেদনের স্ট্যাটাস পরিবর্তিত হয়ে ‘ইস্যু করা হয়েছে’ দেখানো হবে তখন ভিসা সম্বলিত পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য তৈরি থাকবে। আবেদনকারী /বিদেশী সরকারি অফিস/আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের অনুমোদিত বাহক পাঠিয়ে এটি সংগ্রহ করতে পারে।
কখন: আবেদনটির স্ট্যাটাস ‘ইস্যু করা হয়েছে’ মর্মে পরিবর্তিত হওয়া থেকে দূতাবাসের তিন (৩) কার্য দিবস পর
কোথায়: ঢাকার বারিধারার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুলার শাখা
সময়: রবিবার, সোমবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ঠিক দুপুর ০২:০০ টায়
কী আনবেন: ডিএস-১৬০ নিশ্চিতকরণ পেজ এবং অনুমোদিত ব্যক্তির বৈধ ফটো আইডিসহ আবেদনকারীর থেকে একটি অনুমোদনের চিঠি।
কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সাক্ষাতকারের প্রয়োজন হয়। যদি তা হয় তবে মনোনীত প্রতিনিধি সাক্ষাতকারের অ্যাপয়েনমেন্টের সময়সূচি কীভাবে স্থির হবে তার নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি পাবেন। দয়া করে মনে রাখবেন, কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু প্রক্রিয়া দরকার হতে পারে। এটি ভিসা দেওয়ার সময়সীমার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যেসব ক্ষেত্রে বাড়তি প্রক্রিয়ার দরকার হয়, সেসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ত্রিশ দিনের বেশি সময় লাগবে। অনুগ্রহ করে আপনার আবেদনের অবস্থা জানতে প্রতিদিন দেখতে থাকুন। সর্বশেষ অবস্থা জানতে আপনার ডিএস-১৬০ ফর্মে পাওয়া বারকোড নম্বরটি ব্যবহার করুন।
জরুরি ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট প্রত্যাহার/ ফেরত নেওয়া
কোন আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীরা ব্যক্তিগত/ অফিসিয়াল ভ্রমণজনিত প্রয়োজনে তাদের পাসপোর্ট ফেরত চাইতে পারেন। এরকম ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে তার মনোনীত প্রতিনিধির, যিনি পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন তার ন্যাশনাল আইডি নম্বর এবং/ অথবা অফিসিয়াল আইডি ব্যাজ সম্পর্কিত তথ্য আমাদের ইমেইল করতে হবে। কনস্যুলার শাখা থেকে পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হবে। মনোনীত প্রতিনিধিকে বৈধ ফটো আইডি, ডিএস-১৬০ নিশ্চিতকরণ পেজ, পাসপোর্ট সংগ্রহের অনুমোদনের চিঠি এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রাপ্তির ইমেইলের একটি কপি সহ নির্ধারিত তারিখে কনস্যুলার বিভাগে আসতে হবে। ভ্রমণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবেদনকারীকে তাদের পাসপোর্ট আবার জমা দিতে হবে। অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন, পাসপোর্ট ফিরিয়ে নেওয়া হলে সাধারণত আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করা স্থগিত থাকে।
ব্যক্তিগত উপস্থিতি ও ভিসা ফি
সরকারি/ দাপ্তরিক কাজে যারা যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করতে চান তাদের ‘এ’ ও ‘জি’ ভিসার জন্য ব্যক্তিগত উপস্থিতির সাধারণত দরকার হয় না। মেশিন-রিডেবল ভিসা (এমআরভি) ফি-র বিষয়ে জ্ঞাতব্য হচ্ছে, নন-ইমিগ্র্যান্ট এ ও জি ভিসার ক্ষেত্রে মনোনীত ব্যক্তিদের ১৬০ ডলারের ভিসা প্রক্রিয়ার ফি দিতে হবে না।
‘এ’ ও ‘জি’ ভিসার আবেদনকারীদের নিজস্ব কর্মী
এওয়ান, জিওয়ান, জিফোর বৈধ ভিসাধারীদের ব্যক্তিগতকর্মী, সহকারী অথবা গৃহকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের এথ্রি ও জিফাইভ ভিসা ইস্যু করা হতে পারে। এসব আবেদনকারীকে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং সাক্ষাৎকার দিতে হবে।
কূটনীতিকদের জন্য ভিসা ফি এবং পর্যটক হিসেবে ভ্রমণ
‘এ’ বা ‘জি’ ভিসার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিদের ভিসা ফি দিতে হয় না। এর পাশাপাশি, কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরাও ভিসার ধরন বা ভ্রমণের উদ্দেশ্য যা-ই হোক না কেন (পর্যটনসহ), মেশিনরিডেবল ভিসা (এমআরভি) ফি থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন। আপনার যদি কূটনৈতিক পাসপোর্ট (অর্থাৎ নিয়মিত, সরকারি/ কর্মকর্তা বা বিশেষ নয়) থাকে এবং আপনি যদি পর্যটক ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন, তবে অনুগ্রহ করে ভিসা ফি দেবেন না, যে পর্যন্ত না কোনও কনস্যুলার অফিসার তা দিতে বলেন।
তবে কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহনকারীদেরও অবশ্যই সশরীরে সাক্ষাৎকার এবং আঙুলের ছাপের জন্য উপস্থিত থাকতে হবে। আপনার সুবিধার জন্য আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, আপনি এমআরভি ফি দেওয়ার আগে ইমেইল করে পর্যটক ভিসার আবেদন করতে চান এ কথাটি কনস্যুলার বিভাগকে নিশ্চিত করুন।
ভিসা অব্যাহতি কর্মসূচি (ভিডব্লিউপি)
ভিসা অব্যাহতি কর্মসূচিতে (ভিডব্লিউপি) – ভিডব্লিউপি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নাগরিকদের ৯০ দিন বা তার কম সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না। তবে এজন্য কিছু শর্ত পূরণ হতে হবে।
ভিডব্লিউপি সুবিধা পেতে হলে ভ্রমণকারীদের অবশ্যই নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হবে এবং ভ্রমণের আগে বৈধ ‘ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথরাইজেশন’ (ইএসটিএ) অনুমোদন থাকতে হবে। ৩৮টি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশ এর মধ্যে নেই। ভিডব্লিউপি কর্মসূচিভুক্ত দেশে বসবাস কাউকে ভিডব্লিউপি সুবিধার অধিকারী করে না। ভিডব্লিউপি সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যাবে এখানে: ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রাম (ভিডব্লিউপি)।
ইএসটিএ – এটি একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা যা কোন ভ্রমণকারী ভিসা অব্যাহতি কর্মসূচির (ভিডব্লিউপি)-আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার যোগ্য কিনা তা যাচাই করে। তবে ইএসটিএ-র মাধ্যমে অনুমোদন একজন ভ্রমণকারীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের নিশ্চয়তা দেয় না। ভ্রমণকারী যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর দেশটির কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন কর্মকর্তারা তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে কিনা তা স্থির করেন। ইএসটিএ অ্যাপলিকেশন বায়োগ্রাফিক তথ্য সংগ্রহ করে এবং ভিডব্লিউপি’র যোগ্যতা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেয়। ভ্রমণের আগে যে কোন সময় ইএসটিএ আবেদন করা যেতে পারে। তবে ভ্রমণের পরিকল্পনা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কিংবা বিমানের টিকিট কাটার আগে এটি করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ভিডব্লিউপি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী দেশ নয় বলে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের জন্য ইএসটিএ নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথরাইজেশন-এ ইএসটিএ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।
গ্লোবাল এন্ট্রি প্রোগ্রাম– গ্লোবাল এন্ট্রি প্রোগ্রাম হচ্ছে ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন (সিবিপি) এর একটি কর্মসূচি যা পূর্ব অনুমোদিত, কম ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছবার পর দ্রুত বন্দর থেকে ছাড়া পেতে সহায়তা করে। এর সদস্যরা নির্বাচিত কিছু বিমানবন্দরের স্বয়ংক্রিয় কিওস্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। গ্লোবাল এন্ট্রি প্রোগ্রামের জন্য ভ্রমণকারীদের অবশ্যই পূর্ব অনুমোদিত হতে হবে। তালিকাভুক্তির আগে সব আবেদনকারীর বিষয়ে জোরালোভাবে তথ্য যাচাই করা হয় এবং তাদেরকে সশরীরে সাক্ষাৎকার দিতে হয়। এ কর্মসূচির বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে গ্লোবাল এন্ট্রি প্রোগ্রাম-এ।
সাক্ষাৎকার অব্যাহতি কর্মসূচি (ড্রপ বক্স)
যুক্তরাষ্ট্র সরকার কিছু নির্দিষ্ট অন-অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীকে সাক্ষাৎকার ছাড়াই ভিসা নবায়নের অনুমতি দেয়। এই কর্মসূচিটি প্রথমবারের আবেদনকারীদের জন্য নয়। সাধারণত, যোগ্য আবেদনকারীরা হলেন তারা যারা ভিসা নবায়ন করছেন, যে ভিসার মেয়াদ গত ৪৮ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে, আবেদনকারী বাংলাদেশে বসবাস করার সময়।
সাক্ষাৎকার অব্যাহতির সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও কিছু মানদণ্ড যোগ করা হয়েছে যাতে আরও আবেদনকারীরা সাক্ষাৎকার ছাড় পেতে সক্ষম হয়। বিস্তারিত তথ্য ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট ট্রাভেল-এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
ভিসা সাক্ষাৎকার অব্যাহতি কর্মসূচির মাধ্যমে অন-অভিবাসী ভিসা নবায়ন করতে চাইলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া করতে ২১ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যদি আবেদনটিতে অতিরিক্ত প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগতে পারে। কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য ভিসার আবেদনপত্র ও পাসপোর্ট জমা দেয়ার পর আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পাসপোর্ট ছাড়া থাকার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
জরুরী পাসপোর্ট উত্তোলনের অনুরোধগুলি ক্ষেত্র বিশেষে মূল্যায়ন করা হবে এবং পাসপোর্ট ফেরত পেতে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। প্রক্রিয়াকরণ সম্পূর্ণ হওয়ার আগে আপনি যদি পাসপোর্ট উত্তোলন করে নেন, তাহলে এটি আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে এবং আপনার ড্রপবক্স আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে অতিরিক্ত সময় লাগবে। আপনার পাসপোর্ট উত্তোলনের জন্য অনুগ্রহ করে Support-bangladesh@ustraveldocs.com -এ ইমেইল করুন।
- সাক্ষাৎকার অব্যাহতির মানদণ্ড পর্যালোচনা করে আপনার যোগ্যতা নির্ধারণ করুন।
- আপনার পূর্ব নির্ধারিত নথি পাঠানোর স্থানে ভিসা আবেদনের প্যাকেজটি জমা দিন।
ভিসা সাক্ষাৎকার অব্যাহতির আবেদনে অবশ্যই নিম্নোক্ত বিষয়গুলো থাকতে হবে:
- অনলাইন ডিএস-১৬০ ফরম এর নিশ্চিতকরণ পাতাটি,
- ড্রপবক্স নিশ্চয়তার চিঠি,
- সিজিআই ক্যাশ জমা দেওয়ার রশিদ (এমআরভি ফি রশিদ),
- যুক্তরাষ্ট্রে থাকার পরিকল্পিত সময়ের পর আরও ছয় মাস মেয়াদ থাকা বৈধ পাসপোর্ট,
- অনলাইন ডিএস-১৬০ ফর্মটিতে একটি ছবি আপলোড করতে হবে। অনুগ্রহ করে ছবির প্রয়োজনীয় ফরম্যাট দেখুন এখানে, এবং
- সংশ্লিষ্ট ভিসার ধরনের সঙ্গে সম্পর্কিত আরও নথি যা চেকলিস্টে আছে।
যে ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে, অন্যান্য কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে।
ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করুন।
Support-bangladesh@ustraveldocs.com – এ সরাসরি প্রশ্ন করুন।
দ্রষ্টব্য: যদি ক্র সদস্যদের শুধুমাত্র সি১ /ডি ভিসা থাকে এবং কখনও বি১/বি২ ভিসা না পেয়ে থাকে, তবে তাদের বি১/ব২ ভিসা পেতে অবশ্যই সশরীরে সাক্ষাৎকার নির্ধারণ করতে হবে।
১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড সহ আরও তথ্যের জন্য, আমাদের ওয়েবসাইটটি দেখুন।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ ভিসাসহ হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্ট
বৈধ ভিসাসহ পাসপোর্ট হারিয়ে/চুরি যাওয়া
আমার যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ ভিসাসহ পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে কী করব?
যদি আপনার যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ ভিসা সম্বলিত পাসপোর্ট হারিয়ে বা চুরি হয়ে যায়, তাহলে আপনাকে দ্রুত ঘটনাটি ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগে জানাতে হবে। পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবশ্যই স্থানীয় থানায়ও জানিয়ে পুলিশ রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে (জিডি বা সাধারণ ডায়েরি)। আর এ নথিটি যদি বাংলা ভাষায় হয়ে থাকে তবে অনুগ্রহ করে আমাদের একটি ইংরেজি অনুবাদকৃত কপি দিন)। তারপর আপনার ভিসা চুরি যাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে নিম্নলিখিত কাগজপত্রসহ support-bangladesh@ustraveldocs.com এই ঠিকানায় ইমেইল পাঠাবেন:
১. লস্ট অ্যান্ড স্টোলেন ফর্ম পূরণ করতে হবে (লস্ট অ্যান্ড স্টোলেন ফর্ম – পিডিএফ ১৬৬ কেবি)
২. পুলিশ রিপোর্টের (জিডি) অনুলিপি।
আপনার হারিয়ে ফেলা ভিসা সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে। আপনার পাসপোর্টটি পরে কখনো উদ্ধার হলেও ওই ভিসা আর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবার পাওয়া যাবে না বা এর প্রতিলিপি মিলবে না। নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার পর আপনি প্রয়োজনে পরে নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইট www.ustraveldocs.com/bd এর মাধ্যমে আপনাকে সাক্ষাৎকার নির্ধারণ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার আবেদনের বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
জালিয়াতি প্রতিরোধ সতর্কতা
প্রতারকচক্র ভুয়া বার্তা পাঠাচ্ছে!
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কর্মীরা সনাক্ত করেছে যে, “ভিসা ফি” নেয়ার নাম করে অননুমোদিত প্রক্রিয়ায় অর্থ হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মানুষের কাছে আসা প্রতারণামূলক ফোন কল, ইমেইল এবং চিঠির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের প্রধান ফোন লাইনের নম্বর নকল করা যেতে পারে, তাই সেখান থেকে প্রাপ্ত ফোন কল ও বার্তাগুলোকে আমাদের অফিস থেকে করা হয়েছে বলে মনে হতে পারে। আমাদের সরকারী ইমেইলের ঠিকানা “.gov” দিয়ে শেষ হয় এবং “.gov” দিয়ে শেষ হয়নি এমন কোন ইমেইল থেকে আসা ভিসা-বিষয়ক যেকোন চিঠিপত্রকেই সন্দেহজনক বলে বিবেচনা করতে হবে। এই কল ও বার্তাগুলোর পিছনের প্রতারকেরা অর্থ হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে নিজেদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে জাহির করছে।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কখনই আপনাকে ভিসা ফি প্রদান করার অনুরোধ জানিয়ে ইমেইল বা কল করবে না। ভিসা সাক্ষাৎকার সবসময় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ব্যক্তিগতভাবে নেয়া হয়, ফোনে নয়, এবং কনস্যুলার সেকশন কখনই বিকাশ, নগদ, রকেট বা অনুরূপ ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে ভিসা ফি প্রক্রিয়া করে না। অন-অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীরা তাদের DS-160 অনলাইন ফর্ম পূরণ করার পর শুধুমাত্র ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)-এর শাখায় তাদের ভিসা ফি জমা দিতে পারেন।
আরো প্রোগ্রামের তথ্য যাচাই করার জন্য এখানে দেখুন: www.travel.state.gov এবং https://bd.usembassy.gov/visas/.
ভিসা ফি সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট দেখুন: https://bd.usembassy.gov/visas/ এবং https://bd.usembassy.gov/visas/immigrant-visas/fees/