অন-অভিবাসী ভিসা ফি বৃদ্ধি
ইউ এস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট নির্দিষ্ট কিছু অন-অভিবাসী ভিসার (এনআইভি) আবেদন প্রক্রিয়াকরণ ফি বৃদ্ধি করেছে। এই ফি বৃদ্ধি ১৭ই জুন, ২০২৩ থেকে কার্যকর হবে।
- ব্যবসা বা পর্যটনের জন্য ভিজিটর ভিসা (বি১/বি২), এবং অন্যান্য নন-পিটিশন ভিত্তিক অন-অভিবাসী ভিসা, যেমন ছাত্র এবং এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ভিসার আবেদনের ফি $১৬০ থেকে $১৮৫ এ বেড়েছে।
- অস্থায়ী কর্মীদের (এইচ, এল, ও, পি, কিউ, এবং আর ক্যাটাগরি) জন্য নির্দিষ্ট পিটিশন-ভিত্তিক অন-অভিবাসী ভিসা আবেদনের ফি $১৯০ থেকে $২০৫ এ বেড়েছে।
- চুক্তি ভিত্তিক ট্রিটি ট্রেডার, ট্রিটি ইনভেস্টর, এবং ট্রিটি আবেদনকারীর জন্য একটি বিশেষ পেশায় (ই ক্যাটাগরি) আবেদনের ফি $২০৫ থেকে $৩১৫ এ বেড়েছে।
যে সমস্ত আবেদনকারীরা ইতিমধ্যে ভিসা আবেদন ফি প্রদান করেছেন যা বর্তমানে বৈধ আছে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ নয়, কিন্তু যারা এখনও তাদের ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হননি বা তাদের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন, তাদের কোন অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে না।
আরও তথ্যের জন্য, এই ওয়েবসাইট দেখুন: https://ustraveldocs.com/bd_eu/।
কোভিড–১৯ সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা
১২ই মে, ২০২৩ থেকে কার্যকরী, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারী অনাগরিক অন-অভিবাসীদের আর কোভিড –১৯ এর টিকা দেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে না। আরও তথ্যের জন্য, দয়া করে সিডিসি-এর ওয়েবসাইট দেখুন।
ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও অন্যান্য বিষয় থেকেই ঠিক হবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন অনুযায়ী আপনার কোন ধরনের ভিসা লাগবে। ভিসার আবেদনকারী হিসেবে আপনাকে এটা ভালোভাবে দেখাতে হবে, যে ধরনের ভিসা চাইছেন তার জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্ত আপনি পূরণ করেছেন।
আপনার যুক্তরাষ্ট্র সফরের জন্য ঠিক কোন ধরনের ভিসা যথাযথ হতে পারে তা বোঝার জন্য usvisas.state.gov-এ ভিসা শ্রেণি নির্দেশিকায় যান।
১ অক্টোবর ২০২২ থেকে কার্যকরী এমআরভি ফি বৈধতা আপডেট
১ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে বা তার পরে প্রদান করা সমস্ত অনঅভিবাসী ভিসা আবেদন ফি (এমআরভি ফি নামেও পরিচিত) পেমেন্ট, এমআরভি ফি প্রদানের জন্য রসিদ ইস্যু করার তারিখ থেকে ৩৬৫ দিনের জন্য বৈধ থাকবে। এই ৩৬৫-দিন সময়কালের মধ্যে আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি সাক্ষাৎকারের দিন ধার্য করতে হবে বা একটি সাক্ষাৎকার অব্যাহতির আবেদন জমা দিতে হবে। অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে, এই ৩৬৫-দিনের মধ্যে আবেদনকারীদের শুধুমাত্র তাদের সাক্ষাৎকারের দিন ধার্য করতে হবে বা সাক্ষাৎকার অব্যাহতির আবেদন জমা দিতে হবে। সাক্ষাৎকারটি ৩৬৫-দিনের মধ্যেই হতে হবে, তার এমন কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। ১ অক্টোবর, ২০২২ এর আগে ইস্যু করা এমআরভি ফি প্রদানের জন্য সমস্ত রসিদগুলির মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল এবং তা এই তারিখ পর্যন্ত বৈধ থাকবে ।
ভিসা কী?
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকের সাধারণত এজন্য প্রথমেই একটি ভিসা লাগবে। ভিসা ভ্রমণকারীর পাসপোর্টে লাগিয়ে দেওয়া হয়। পাসপোর্ট হচ্ছে একজন ভ্রমণকারীর নিজের দেশের ইস্যু করা ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্ট।
ভিসামুক্ত ভ্রমণের শর্ত পূরণ করতে পারলে কোন কোন বিদেশি ভ্রমণকারী হয়তো ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটের ভিসা অংশটিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে আগ্রহী বিদেশি নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে।
(দ্রষ্টব্য: যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা লাগে না। তবে বিদেশি কোন রাষ্ট্রে যেতে চাইলে সে দেশের দূতাবাস থেকে ভিসা সংগ্রহ করতে হতে পারে।)
যোগাযোগ করুন
কাস্টমার সার্ভিস প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হলে বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবপেজটি ভিজিট করুন। অথবা নিচের তথ্য অনুযায়ী যোগাযোগ করুন:
ইমেইল:
- ভিসা সংক্রান্ত প্রশ্নের জন্য: support-bangladesh@ustraveldocs.com
- ভিসা বিষয়ক জালিয়াতি, অনিয়ম বা অপরাধের খবর দেওয়ার জন্য: DhakaFraud@state.gov
টেলিফোন:
- বাংলাদেশের মধ্যে: ০৯৬১০২০২০৪০
- যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে: ৭০৩-৯৮৮-৩৪৬৬ কল সেন্টারের কাজের সময় জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
ফ্যাক্স বা চিঠির মাধ্যমে কোন যোগাযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
কাস্টমার সার্ভিস বিষয়ক বিবৃতি
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর দেশের স্বার্থ সবচেয়ে ভালোভাবে রক্ষার লক্ষ্যে কঠোর কিন্তু নিরপেক্ষভাবে ভিসা প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা করে। যুক্তরাষ্ট্র যে উন্মুক্ততার জন্য সুপরিচিত তার প্রতি আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করাকে আমরা স্বাগত জানাই ও উৎসাহিত করি।
ভিসা আবেদনকারীদের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার:
- আমরা আপনার সঙ্গে মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে আচরণ করব, এমনকী ভিসা দেওয়া সম্ভব না হলেও।
- আমরা আপনাকে একজন ব্যক্তি হিসেবেই দেখব। আপনার আবেদন দেখা হবে অন্যদের চেয়ে পৃথক, অনন্য হিসেবে।
- আমরা মনে রাখব যে, ভিসার সাক্ষাৎকার আপনার কাছে একটি নতুন ও ভীতিকর বিষয় হতে পারে এবং আপনি হয়তো অপ্রতিভ থাকবেন।
- সাক্ষাৎকারের জন্য প্রাপ্ত সীমিত সময়কে আমরা আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে যতটা সম্ভব স্পষ্ট একটি ধারণা পেতে কাজে লাগাব।
- আমরা আমাদের সব সক্ষমতাকে আবেদনকারীদের ন্যায্যভাবে সহায়তা করতে কাজে লাগাব যাতে তারা ব্যবসায়িক কাজ, পড়ালেখা ও অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সময়মত যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারার মতো সময়ে অ্যাপয়েনমেন্ট পান।
- আমরা ভিসা পাওয়ার প্রয়োজনীয় শর্ত ও আবেদনের পদ্ধতি বিষয়ে সব দূতাবাস ও কনস্যুলেটের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ও নিখুঁত তথ্য তুলে দেবো।
- সব দূতাবাস ও কনস্যুলেটে অ-অভিবাসন ভিসা অ্যাপয়েনমেন্টের জন্য অপেক্ষার সময় বিষয়ক তথ্য আমরা http://travel.state.gov ঠিকানায় সরবরাহ করবো।
- ভিসা দেওয়া না হলে আমরা আপনার কাছে তার কারণ ব্যাখ্যা করবো।
তাছাড়াও, আপনি যদি
- শিক্ষার্থী হন তাহলে পড়াশোনা যথাসময়ে শুরু করা নিশ্চিত করতে যাতে সময়মত অ্যাপয়েনমেন্ট ও (যোগ্য হলে) ভিসা পান সেজন্য সম্ভাব্য সব চেষ্টা চালাবো।
- চিকিৎসা ও জরুরি মানবিক সহায়তা বিষয়ক ভ্রমণকারী হন তাহলে জীবন হুমকির সম্মুখীন এমন ক্ষেত্রে ভিসার প্রক্রিয়া দ্রুততর করবো।
- যদি ব্যবসা বিষয়ে ভ্রমণেচ্ছু হন তাহলে আমরা সফর সহজ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবো এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো ত্বরান্বিত করবো।
একইসঙ্গে আমরা আশা করি যে, ভিসার আবেদনকারী হিসেবে আপনি:
- যতটা সম্ভব আগে ভ্রমণের পরিকল্পনা ও ভিসার আবেদন করবেন।
- আবেদনপত্র পুরোপুরি এবং সঠিকভাবে পূরণ করবেন।
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা সম্পর্কে খোলামেলাভাবে সব বলবেন ।
- সাক্ষাতকারে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্তভাবে বলার জন্য প্রস্তুতি নিন।
জালিয়াতি প্রতিরোধ সতর্কতা
প্রতারকচক্র ভুয়া বার্তা পাঠাচ্ছে!
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কর্মীরা সনাক্ত করেছে যে, “ভিসা ফি” নেয়ার নাম করে অননুমোদিত প্রক্রিয়ায় অর্থ হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মানুষের কাছে আসা প্রতারণামূলক ফোন কল, ইমেইল এবং চিঠির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের প্রধান ফোন লাইনের নম্বর নকল করা যেতে পারে, তাই সেখান থেকে প্রাপ্ত ফোন কল ও বার্তাগুলোকে আমাদের অফিস থেকে করা হয়েছে বলে মনে হতে পারে। আমাদের সরকারী ইমেইলের ঠিকানা “.gov” দিয়ে শেষ হয় এবং “.gov” দিয়ে শেষ হয়নি এমন কোন ইমেইল থেকে আসা ভিসা-বিষয়ক যেকোন চিঠিপত্রকেই সন্দেহজনক বলে বিবেচনা করতে হবে। এই কল ও বার্তাগুলোর পিছনের প্রতারকেরা অর্থ হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে নিজেদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে জাহির করছে।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কখনই আপনাকে ভিসা ফি প্রদান করার অনুরোধ জানিয়ে ইমেইল বা কল করবে না। ভিসা সাক্ষাৎকার সবসময় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ব্যক্তিগতভাবে নেয়া হয়, ফোনে নয়, এবং কনস্যুলার সেকশন কখনই বিকাশ, নগদ, রকেট বা অনুরূপ ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে ভিসা ফি প্রক্রিয়া করে না। অন-অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীরা তাদের DS-160 অনলাইন ফর্ম পূরণ করার পর শুধুমাত্র ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)-এর শাখায় তাদের ভিসা ফি জমা দিতে পারেন।
আরো প্রোগ্রামের তথ্য যাচাই করার জন্য এখানে দেখুন: www.travel.state.gov এবং https://bd.usembassy.gov/visas/.
ভিসা ফি সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট দেখুন: https://bd.usembassy.gov/visas/ এবং https://bd.usembassy.gov/visas/immigrant-visas/fees/