যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশকে ফাইজারের তৈরি অতিরিক্ত ২৫ লক্ষ টিকা অনুদান 

বাংলাদেশে কোভিড-১৯
মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের ৯ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার সহায়তার বাইরে বর্তমান চালানটি নিয়ে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কোভিড-১৯’র মোট ৯০ লক্ষ টিকা অনুদান দিয়েছে।

ঢাকা, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ –
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য উপহার হিসেবে ফাইজারের তৈরি অতিরিক্ত ২৫ লক্ষ ডোজ টিকা আগমনে স্বাগত জানিয়েছেন। ফাইজারের এই টিকাগুলো এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে দেয়া ফাইজার ও মডার্নার তৈরি মোট ৯০ লক্ষ ডোজ টিকা অনুদানের অতিরিক্ত।

আজ মঙ্গলবারভোরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে টিকার চালান পৌঁছায় পণ্যবাহী উড়োজাহাজে

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন,“ফাইজারের তৈরি এই টিকাগুলো বাংলাদেশকে টিকাগ্রহণের উপযুক্ততার আওতা সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখে যুবসমাজসহ আরো বেশি মানুষকে টিকা প্রদানে সহায়তা করবে। যত বেশি সম্ভব মানুষের বাহুতে টিকা প্রদানের এই প্রচেষ্টায়
বাংলাদেশ সরকারের সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপন করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত।”

২০২২ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে বিনামূল্যে ফাইজারের তৈরি ১ বিলিয়ন ডোজ টিকা অনুদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নেতৃত্বদানে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে ফাইজারের তৈরি এই টিকার চালান এসেছে। এটি এযাবৎ একক কোন দেশ কর্তৃক কোভিড টিকা ক্রয় ও অনুদানের সর্ববৃহৎ চালান। কোভ্যাক্স’র বিশ্বব্যাপী কার্যক্রমে সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ৪ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ন্যায়সঙ্গত সুযোগ সৃষ্টিতে বিশ্বের বৃহত্তম দাতাদেশে পরিণত হয়েছে।

টিকা অনুদানের বাইরে জাতীয় পর্যায়ে কোভিড-১৯’র টিকা প্রদান কার্যক্রম
এবং মহামারী মোকাবেলায় সরকারের নেয়া কার্যক্রম শক্তিশালীকরণে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে নিবিড় ও অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিরাপদ ও দক্ষভাবে টিকা প্রদান ও বাংলাদেশীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র ৬,০০০’রও বেশি সেবাদানকারী ও স্বাস্থ্যসেবা পেশাজীবীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন থেকে কোভিড সংক্রান্ত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ৯ কোটি ৬০ লক্ষ ডলারেরও বেশি অনুদান প্রদান করেছে। এই সহায়তার আওতায় মানুষের জীবন বাঁচানো এবং কোভিড-১৯ আক্রান্তদের
চিকিৎসা প্রদান সহজ হয়েছে, রোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সক্ষমতা
ও পরিবীক্ষণ জোরদার হয়েছে, আক্রান্তের ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চর্চা জোরদার হয়েছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও দ্রব্যসামগ্রী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার আওতায় সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষা
এবং কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষার উপায়সহ এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রতিও জোর দেয়া হয়েছে।