যুক্তরাষ্ট্র কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জরুরি সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে আরো ১১.৪ মিলিয়ন ডলার উপহার দিয়েছে

A health worker prepares to administer Moderna COVID-19 vaccine at Shyamoli TB Hospital in Dhaka. An additional $11.4 million in U.S. support for COVID-19 will bolster Bangladesh’s national vaccination campaign effort, and enhance prevention and care across the country.
যুক্তরাষ্ট্র কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে এখন পর্যন্ত ৯৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে

 

ঢাকা, আগস্ট ৮, ২০২১ — যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জরুরি সহায়তা হিসেবে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-র মাধ্যমে আরো ১১.৪ মিলিয়ন ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এই সহায়তা জীবন-রক্ষাকারী মেডিকেল সরঞ্জাম ও অক্সিজেন সরবরাহ এবং দেশজুড়ে কার্যকর কোভিড-১৯ টিকা প্রচারাভিযানের জাতীয় প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা করবে। এছাড়াও নতুন এই সহায়তা বাংলাদেশের কমিউনিটিতে বা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে গৃহীত প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করতে সাহায্য করার পাশাপাশি দেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান রোগীদের মানসম্মত চিকিত্‌সা প্রদান ও সেবাযত্নের মান বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।

“ঐতিহাসিক আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যান (আমেরিকান উদ্ধার পরিকল্পনা)-এর মাধ্যমে দেয়া এই বর্ধিত অনুদান বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আমাদের দেয়া চলমান সহায়তারই অংশ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রমে সহায়তাকারী সর্ববৃহত্‌ দাতা দেশ। আমেরিকা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বিগত পাঁচ দশক ধরে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে কাজ করে আসছে। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এই বিশেষ চ্যালেঞ্জিং মুহুর্তে আমাদের অংশীদারিত্ব অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার মহামারির শুরু থেকে বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবেলা কার্যক্রমে সহায়তা করতে নতুন এই তহবিলসহ মোট ৯৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে এবং বাংলাদেশীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য অংশীদারদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া কোভিড-১৯ সহায়তার মধ্যে ৫৫ লাখ ডোজ মর্ডানা টিকা এবং দেশব্যাপী জাতীয় টিকা প্রচারাভিযান কার্যক্রম পরিচালনার সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স টিকাদান প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে ইতোমধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এবং পরবর্তীতে আরো ২ বিলিয়ন ডলার প্রদানের অঙ্গীকার করার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে ন্যায়সঙ্গতভাবে কোভিড-১৯ টিকা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এছাড়াও ইউএসএআইডি, প্রতিরক্ষা বিভাগ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং সিডিসি-র মাধ্যমে বাংলাদেশকে চিকিত্‌সা সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন যন্ত্রপাতি, পালস অক্সিমিটার এবং দেশজুড়ে কর্মরত সম্মুখসারির কর্মীদের জন্য কয়েক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) প্রদান করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সহায়তা বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগ পরীক্ষা করা ও রোগ মনিটরিং করার সামর্থ্য বাড়ানো, আক্রান্ত রোগীদের ব্যবস্থাপনা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের অনুশীলনগুলো জোরদার করা, দেশব্যাপী পরীক্ষাগারগুলো উন্নত করা ও সেখানে পরীক্ষা করার সামর্থ্য বৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জীবন রক্ষা ও কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিত্‌সা প্রদানে সাহায্য করে চলেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার মধ্যে বাংলাদেশের সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষা প্রদান এবং কোভিড-১৯ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায়সহ এই রোগ সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।