যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আরো ১৭ লাখ ৮০ হাজার ফাইজার টিকা ডোজ উপহার দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া মোট টিকা অনুদান বেড়ে ১ কোটি ৮৫ লাখ ডোজ হলো

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সময়মতো ফাইজার টিকা অনুদান পাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার তাদের টিকাদান কার্যক্রম দেশব্যাপী সম্প্রসারিত করে ১২ ও তদুর্ধ্বো বয়সীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছে। বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দেয়া কোভিড-১৯ সহায়তা ১২১ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার বা ১,০৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

ঢাকা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ — যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফাইজারের আরো ১৭ লাখ ৮০ হাজার ডোজ কোভিড-১৯ টিকা উপহার দিয়েছে। সর্বশেষ দেয়া এই অনুদানের ফলে বাংলাদেশকে আমেরিকান জনগণের পক্ষ থেকে মোট ১ কোটি ৮৫ লাখ টিকা ডোজ উপহার দেয়া হলো। নতুন এই ডোজগুলো বাংলাদেশ সরকারের ১২ বছর বা তদুর্ধ্বো বয়সীদের ফাইজারের কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমকে সহায়তা করে আসছে। যার আওতায় ইতোমধ্যে প্রায় ৭,০০০ স্বাস্থ্যসেবাদানকারীকে নিরাপদে টিকাদান বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সঠিক নিয়মে কোভিড-১৯ টিকা সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজার ও অন্যান্য উপকরণ প্রদানের পাশাপাশি দেশব্যাপী টিকা পরিবহণে সহায়তা করতে কোল্ড-চেইন ফ্রিজার ট্রাক অনুদান দিয়েছে।

“আমরা বাংলাদেশকে আরেকদফা ফাইজার টিকা অনুদান দিতে পেরে গর্বিত। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এই উপহার বাংলাদেশ সরকারকে আরো বেশি মানুষকে বিশেষ করে তরুণবয়সীদের জন্য টিকাদান কার্যক্রমের গতি ধরে রাখতে সহায়তা করবে। যুক্তরাষ্ট্র এই বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের টিকা নেওয়ার যোগ্য জনসংখ্যার ৪০ ভাগকে টিকাদানের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে ফাইজারের টিকা ডোজ অনুদান দিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে,” রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন।

ফাইজারের এই টিকা অনুদান যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নেতৃত্ব দিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনামূল্যে ১০০ কোটি টিকা অনুদানের বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির অংশ, যা ২০২২ সালের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার টিকা অনুদান ও সহায়তা ছাড়াও বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কর্মকান্ডে আরো ১২১ মিলিয়ন ডলার বা ১,০৪০ কোটি টাকারও বেশি অনুদান সহায়তা দিয়েছে। এই অনুদান টিকাদান সহায়তা; উন্নত কোভিড-১৯ পরীক্ষা; সংক্রমণ ও প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ; চিকিত্‌সা; এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে ৪ বিলিয়ন ডলার বা ৩৪ হাজার কোটি টাকা সহায়তা করছে। যার মধ্যে আল্ট্রা-কোল্ড চেইন সংরক্ষণ, পরিবহন, কোভিড টিকার নিরাপদ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ টিকার ন্যায়সঙ্গত প্রবেশগম্যতা তৈরিতে বিশ্বের বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত হয়েছে।