ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগের নিকট কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রচেষ্টায় সহায়তা হিসাবে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) বিতরণ করেছে।
ঢাকা, ২৪ আগস্ট ২০২০ – বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার এবং দূতাবাসের ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস রিজিওনাল সিকিউরিটি অফিসের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলা প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তার অংশ হিসাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (DMP) কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগের (DSD) সদস্যদের মধ্যে বিতরণের জন্য বিভাগের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলামের নিকট ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) হস্তান্তর করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ধারাবাহিক পিপিই বিতরণ পরিকল্পনার সপ্তম উদ্যোগ এটি। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট, ডিফেন্স, এগ্রিকালচার, ইউএসএআইডি, এবং সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’র মাধ্যমে ৫৬.৫ মিলিয়ন ডলারের অধিক সহায়তা প্রদান করেছে।
২৩ আগস্ট ২০২০ তারিখে অনুদান হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত সরঞ্জামাদির মধ্যে রয়েছে ১,০০০টি কেএন৯৫ মাস্ক, ২,০০০টি ধুয়ে ব্যবহারযোগ্য ফেস মাস্ক, ৮০০ বোতল ২৫০-মিলি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১,৪০০টি মুখমণ্ডল সুরক্ষার শিল্ড- যার সবই যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বাংলাদেশী বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে স্থানীয়ভাবে ক্রয় করা হয়েছে। আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন-১ (APBn) এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ ইউনিটের মধ্যে বিতরণের জন্যও অনুদান হিসাবে সমপরিমাণ পিপিই প্রদান করা হবে।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগ সম্মুখসারিতে থেকে কাজ করছে। তারা বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং কোভিড-১৯’র বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত সুরক্ষা বিধি-বিধান ও স্বাস্থ্য উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়ন করছে। অনুদান হিসাবে এই পিপিইগুলো পাবার ফলে সম্মুখসারির কর্মী হিসাবে পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন গোষ্ঠী ও মানুষের সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সহজ হবে।
কোভিড-১৯’র প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এই মহামারী মোকাবেলায় বিশেষভাবে সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট এবং ইউএসএআইডি’র মাধ্যমেই সারা বিশ্বে জরুরী স্বাস্থ্য, মানবিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ১.৬ বিলিয়ন ডলারের অধিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিগত ২০ বছরের বেশী সময় ধরে বাংলাদেশকে দেয়া ১ বিলিয়ন ডলারের অধিক স্বাস্থ্য সহায়তার ধারাবাহিকতায় ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদান করছে। এই অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য মানসম্পন্ন জীবনরক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের গুরুত্ব উঠে এসেছে।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগ’কে অনুদান হিসাবে এই পিপিই প্রদান করে গর্বিত বোধ করছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই অনুদান বাংলাদেশ শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাগণ, কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, ইউএসএআইডি’র খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রম, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর, বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বাংলাদেশ কারাগারের সংশোধন কর্মকর্তা এবং সারাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাম্প্রতিক অনুদানের ধারাবাহিকতার অংশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগ এবং অন্যান্য আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তাগণ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, শুল্ক কর্মকর্তা, মুদি দোকান ও ফার্মেসির কর্মী, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাগুলোকে সাথে নিয়ে প্রতিদিন যে অসাধারণ সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন, সেজন্য তারা প্রকৃত বীর। এই মহামারী মোকাবেলা এবং আমাদের দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান গভীর সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে বাংলাদেশের পাশে থেকে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।