যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ূ দূতের সফরে জলবায়ু নেতৃত্বে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ

এপ্রিলের ২২২৩ তারিখে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেট সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত কেরি।

ঢাকা, এপ্রিল, ২০২১: প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জলবায়ূ বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন ও অভিযোজনের প্রয়াসে বাংলাদেশ এবং অন্য ঝুঁকিপূর্ণ  দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের জন্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম,এমপি, ভালনারেবল ফোরাম প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আগামী ২২-২৩ এপ্রিল, প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেনের লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই তাঁর এই সফর, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বীকৃতি পাবেন। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম ও ভালনারেবল টোয়েন্টি গ্রুপ অব ফাইন্যান্স মিনিস্টার্সের চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং জলবায়ু ঝুঁকির সঙ্গে খাপ খাওয়ানো ও সহনশীলতা অর্জনের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন জোরদার করতে  যুক্তরাষ্ট্রের যে অঙ্গীকার, তার গুরুত্বই তুলে ধরছে এই সফর। প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত কেরির আলোচনায় জলবায়ু নীতি, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন এবং টেকসই অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে সমৃদ্ধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর আলোকপাত করা হয়।

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে একটি গোলটেবিলেও অংশ নেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিশেষ দূত। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার তাঁর সরকারি  বাসভবনে এই আলোচনার আয়োজন করেন। জলবায়ু সংকট রোধে প্রশমন ও অভিযোজনকে সহায়তা দিতে এবং সমৃদ্ধিকে সমর্থন জোগাতে যে বিনিয়োগ দরকার, তা সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার আন্তর্জাতিক উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র কতটা গুরুত্ব দেয়, সেক্রেটারির এই সফর সেটি তুলে ধরেছে।”

নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (ইউএনএফসিসিসি)-এর ২৬তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ (কপ২৬) অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে, এই সফরের অংশ হিসেবে আবুধাবি ও নয়াদিল্লিতেও যাত্রা বিরতি করবেন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত কেরি।

“আপনারা আগেও দেখেছেন এবং অব্যাহতভাবে দেখবেন  [ যুক্তরাষ্ট্র ] কীভাবে জলবায়ূ পরিবর্তনকে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় আলোচনার সব পর্যায়ে যুক্ত করছে। এসব আলোচনায় আমরা অন্য নেতাদের জিজ্ঞেস করছি: আমরা একসঙ্গে কীভাবে আরও বেশি কাজ করতে পারি,” গত ফেব্রুয়ারিতে  যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় যোগদানের পর এক বিবৃতিতে একথা বলেন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।