ম্যানিলা,২৬ জুন, ২০২০– ২৩ শে জুন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস – অফিস অফ ওভারসিস প্রসেকিউটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড ট্রেইনিং (ডিওজে-অপডেট) এবং তাদের সহযোগী ফিলিপাইনের ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী একটি ভার্চুয়াল সম্মেলন আয়োজন করেছে। ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৭০ জনের বেশি কৌঁসুলি, তদন্ত কর্মকর্তা, এবং বিচারকগণ ভার্চুয়াল মাধ্যমে এতে অংশ নেন এবং সন্ত্রাস বিষয়ক মামলার বিচারকাজ পরিচালনা বিষয়ে নিজেদের বিশেষ জ্ঞান ও সেরা চর্চাগুলো তুলে ধরেন।
ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সুং কিম, ফিলিপাইনের প্রসেকিউটর জেনারেল বেনেডিকটো ম্যালকন্টেন্টো, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার, মালয়েশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স ডিন থম্পসন, এবং জাকার্তায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স হিদার ভ্যারিয়াভা কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন। রাষ্ট্রদূত কিম আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে প্রশংসা করে বলেন, “আঞ্চলিক পর্যায়ের সাধারণ চ্যালেঞ্জ বিষয়ে সবার কাছ থেকে অভিজ্ঞতা লাভ এবং আঞ্চলিকভাবে এগুলোর সমাধানে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা জোরদার করার এটি একটি অসাধারণ সুযোগ।” প্রসেকিউটর জেনারেল বেনেডিকটো ম্যালকন্টেন্টো এসব প্রচেষ্টার তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, “এই শত্রূকে কাটিয়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা হলো একটি শক্তিশালী আইনী ব্যবস্থা, যা কার্যকর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির দ্বারা প্রয়োগ হবে, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত প্রসিকিউটর দ্বারা বাস্তবায়িত হবে এবং একটি স্থিতিশীল বিচার ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত হবে l আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে , জাতীয়ভাবে সমষ্টিগত সহায়তায় একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি সন্ত্রাসীদের অসাধু তৎপরতাকে প্রতিহত করতে আরও ভালভাবে প্রস্তুত করবে। ‘
“আজ এই কর্মশালা, অংশগ্রহণকারী দেশগুলিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে একটি অঞ্চল হিসাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, সম্মিলিত আলোচনা এবং একসাথে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে,” বলেছেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলার। “সন্ত্রাসীরা যখন তাদের ভয়াবহ অপরাধ কর্মকান্ডগুলি করে তখন তারা কোন জাতীয় সীমানাকে সম্মান করে না। একইভাবে, আমরা যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করি তাদের অবশ্যই সর্বাধিক যুগোপযোগী তথ্যাদি ও অভিজ্ঞতার বিনিময়ের চর্চা রয়েছে তা নিশ্চিত করে আমাদের নিজেদের দেশগুলির সীমানা পেরিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা যখন একে অপরের সাথে সন্ত্রাসবাদকে আরো কার্যকরভাবে নিষ্ক্রিয় করার পন্থাগুলি আদান প্রদান করবো এবং শিখব, তখন আমাদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা আরও শক্তিশালী হবে এবং উপর্যুপরি আমাদের নিজ নিজ অঞ্চল ও বিশ্বকে আরও সুরক্ষিত করতে সহায়তা করবে।”।
কর্মশালায় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী মামলায় ডিজিটাল ফরেনসিক আলামতের ব্যবহার বিষয়ে জোর দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের কম্পিউটার ক্রাইম এবং ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি সেকশনের পরিচালক অভি ক্যারল বর্ণনা করেছেন, কিভাবে কম্পিউটার ও সেল ফোনের আলামত সংগ্রহের মাধ্যমে সহিংসতার ঘটনা ঘটানোর আগেই সন্ত্রাসী মামলার লক্ষণ প্রকাশিত হতে পারে। তিনি আরো ব্যাখ্যা করেছেন যে, আইনী প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত ডিজিটাল প্রমাণাদি ব্যবহারের মাধ্যমে তদন্তকারী ও কৌঁসুলিরা কোন মামলাকে প্রায়শই অনেক বেশী শক্তিশালী করে তুলতে পারেন এবং প্রমাণ করে আনতে পারেন যা অন্য কোনভাবে দাঁড় করানোই অসম্ভব হতো। পরিচালক ক্যারল এবং মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের বিশেষজ্ঞগণ নিজ নিজ দেশে ডিজিটাল আলামতের ব্যবহার এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী হাতিয়ার হিসাবে এগুলোর সম্ভাব্য বিকাশ বিষয়ে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।