•  
United States of America, Department of State

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস

Social / Search – BN

TwitterFacebookYouTube
|
[Skip to Content]
  • ভিসাসমূহ
    • নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা
      • পর্যটন, অস্থায়ী চাকরি, পড়ালেখা ও এক্সচেঞ্জসহ অস্থায়ী ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের জন্য

      • আরও পড়ুন
    • ইমিগ্র্যান্ট ভিসা
      • যেসব বিদেশি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আগ্রহী তাদের জন্য

      • আরও পড়ুন
    • ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রাম
      • ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রাম (ভিডব্লিউপি) এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নাগরিকদের সব শর্তপূরণ সাপেক্ষে ৯০ দিন বা তার কম সময় যুক্তরাষ্ট্রে বিনা ভিসায় সফরের সুযোগ দেয়।

      • আপনি কি যোগ্য?
    • যুক্তরাষ্ট্রে সফর ও পর্যটন
      • woman standing in front of the Washington monument
      • যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ
  • যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য সেবা
    • জরুরি সহায়তা
      • জরুরি পরিস্থিতিতে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা অনুগ্রহ করে ফোন করুন, +৮৮০ ২ ৫৫৬৬২০০০ কল করুন।

        অফিস সময়ের বাইরে, যোগাযোগ করুন: +৮৮০ ২ ৫৫৬৬২০০০, আপনি রেকর্ড করা বার্তাটি শুনলে দয়া করে "৩" টিপুন এবং আপনি ডিউটি অফিসারের সাথে সংযুক্ত হবেন।

        বাংলাদেশের বাইরে: +৮৮০ ২ ৫৫৬৬২০০০

  • আমাদের সম্পর্ক
    • যুক্তরাষ্ট্র মিশনের প্রধানরা
      • রাষ্ট্রদূত পিটার হাস
      • ডেপুটি চিফ অফ মিশন হেলেন লা-ফেইভ
    • যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নেতৃবৃন্দ
      • যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
      • যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট
      • যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট
    • যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ
      • নীতি ও ইতিহাস
      • সরকারি প্রতিবেদন
  • ব্যবসা-বাণিজ্য
    • বাংলাদেশে ব্যবসা করা বিষয়ে
      • বাংলাদেশে কাজ শুরু করা
      • বৈদেশিক নিরাপত্তা পরামর্শ কাউন্সিল
      • অর্থনৈতিক উপাত্ত ও প্রতিবেদনসমুহ
    • যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করা বিষয়ে
      • যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে শুরু করবেন
      • যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উপাত্ত ও প্রতিবেদন
  • শিক্ষা ও সংস্কৃতি
    • যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা
      • যুক্তরাষ্ট্রে মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন সুযোগ সম্পর্কে আরও জানুন, যেমনটি বিশ্বের আর কোথাও পাবেন না।

      • পছন্দমত সুযোগ খুঁজে নিন
    • আমেরিকান স্পেসস
      • দ্য আমেরিকান সেন্টার
      • আর্চার কে ব্লাড লাইব্রেরি
      • আমেরিকান কর্নার চট্টগ্রাম
      • আমেরিকান কর্নার খুলনা
      • আমেরিকান কর্নার সিলেট
      • আমেরিকান কর্নার রাজশাহী
      • ইএমকে সেন্টার
    • স্থানীয় প্রোগ্রামগুলো
      • ইংরেজি ভাষা বিষয়ক প্রোগ্রামগুলো
      • স্কলারদের জন্য প্রোগ্রামগুলো
      • প্রফেশনালদের জন্য প্রোগ্রামগুলো
      • স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামগুলো
  • দূতাবাস
    • যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
      • যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকা
      • মাদানি অ্যাভিনিউ, বারিধারা,

        ঢাকা-১২১২

        বাংলাদেশ

        টেলিফোন: (৮৮০) (২) ৫৫৬৬-২০০০

    • আমাদের সঙ্গে কাজ করুন
      • a group of people in business attire with hands raised

      • দূতাবাসে চাকরির সুযোগ
    • আর্থিক তহবিলের সুযোগ-সুবিধা
      • Grants Corner

      • অনুদান এবং সংগ্রহ
    • বায়ুমান সূচক
      • বাংলাদেশের ঢাকার বায়ুমানের সরাসরি/সার্বক্ষণিক তথ্য। আরও জানুন।

      • আরও জানুন
  • খবর ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান
      • প্রেস বিজ্ঞপ্তি
        • বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ
        • বার্মা, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ১১ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার প্রদানের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
        • যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির সপ্তম কাউন্সিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে
        • Ambassador Haas inaugurated new American Corner in Rajshahiরাষ্ট্রদূত পিটার হাস নতুন স্থানে স্থাপিত ‘আমেরিকান কর্নার রাজশাহী’-র উদ্বোধন করেন
      • খবর
        • সংসদে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিবৃতি
        • Statement on Odhikarঅধিকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রায়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিবৃতি
        • USAID Director MD Reed Profile Photoইউএসএআইডি-এর নতুন মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যানকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের তরফ থেকে শুভেচ্ছা
        • চ্যানেল আই তৃতীয় মাত্রার জিল্লুর রহমানের সাথে এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু-এর সাক্ষাৎকার 
      • যুক্তরাষ্ট্র ও (বাংলাদেশ)
        • বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ
        • বার্মা, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ১১ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার প্রদানের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
        • যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির সপ্তম কাউন্সিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে
        • সংসদে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিবৃতি
      • রাষ্ট্রদূত
        • Ambassador Haas inaugurated new American Corner in Rajshahiরাষ্ট্রদূত পিটার হাস নতুন স্থানে স্থাপিত ‘আমেরিকান কর্নার রাজশাহী’-র উদ্বোধন করেন
        • English Access Microscholarship Programযুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আয়োজিত ইংলিশ অ্যাক্সেস মাইক্রো-স্কলারশিপ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ২০০ নতুন শিক্ষার্থী
        • যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রদূত হাসযুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রদূত হাস
        • AFCP Lalbag fortযুক্তরাষ্ট্র সরকার ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লায় সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজ শেষ করেছে
      • ভাষণসমূহ
        • রোহিঙ্গা গণহত্যার ষষ্ঠ বার্ষিকী
        • Remarks by U.S. Ambassador Peter Haas Inauguration of Roots of Friendshipযুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্য
        • "বাংলাদেশে অনলাইন স্বাধীনতা ও ব্যবসায় বিনিয়োগ" শীর্ষক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস-এর বক্তব্য“বাংলাদেশে অনলাইন স্বাধীনতা ও ব্যবসায় বিনিয়োগ” শীর্ষক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস-এর বক্তব্য
        • Helen LaFave’s at the National Workshopমানব পাচার সংক্রান্ত জাতীয় কর্মশালায় চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ-এর বক্তৃতা
      • শেয়ারআমেরিকা থেকে সর্বশেষ পাওয়া
          • সাম্য ও ন্যায়বিচার রক্ষায় সোচ্চারদের সম্মাননা
            সাম্য ও ন্যায়বিচার রক্ষায় সোচ্চারদের সম্মাননা
            মঞ্চে চেয়ারে বসা মানুষেরা ডায়াসে দাঁড়িয়ে কথা বলা ব্যক্তির বক্তব্য শুনছেন (স্টেট ডিপার্টমেন্ট/ফ্রেডি এভারেট)

            কাঠামোগত বর্ণবাদ সমাজকে দুর্বল করে। জনগোষ্ঠীতে যথাযথ সুযোগের অভাব থাকলে রাষ্ট্র সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। মানুষ যখন টিকা পায় না তখন রোগের বিস্তার ঘটে। ব্যক্তি যদি সরকারের ভেতর নিজের প্রতিফলন না দেখে, তখন গণতন্ত্রের প্রতি তার বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

            “বর্ণবাদ, বৈষম্য — শুধু নৈতিকভাবেই ভুল নয়; এগুলো আমাদের পৃথিবীকে অনিরাপদ, অস্থিতিশীল ও অসমৃদ্ধ করে তোলে,” স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত ৯ আগস্ট বর্ণবাদ বিরোধী গ্লোবাল অ্যান্টি-রেসিজম চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন।

            জাতিগত সাম্যকে এগিয়ে নেওয়া এবং দেশে-বিদেশে প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায় ও জনগোষ্ঠীকে সহায়তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই পুরস্কার এবছরই চালু হয়েছে।

            ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট জাতিগতভাবে প্রান্তিক ও আদিবাসীদের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জগুলো সরকারি নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে এবং নিজ দেশে বৈষম্যের অবসানে কাজ করে যাওয়া মানুষদের সহায়তা করে।

            জাতিগত সাম্য ও ন্যায়বিচারের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রথম বিশেষ প্রতিনিধি ডিজারি কর্মিয়ার স্মিথ।  তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাইকে পুরস্কারপ্রাপ্তদের উদাহরণ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে এবং বর্ণবাদ বিরোধী প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন।

            বলেন, “আশা করি আপনারা সবাই এখান থেকে যাওয়ার সময় বর্ণবাদ বিরোধী বিশ্ব তৈরির গভীর প্রত্যয় নিয়ে যাবেন।” তিনি আরো বলেন, “মর্যাদা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার প্রচারের জন্য তারা যে কাজ করেছেন তা শুধু তাদের নিজেদের জনগোষ্ঠীর জন্যই নয়, বরং সবার কল্যাণ বয়ে আনবে। ”

            Celebrating champions of equity and justice

            অনুষ্ঠান চলাকালীন ব্লিঙ্কেন ছয়জন পুরস্কার বিজয়ী, যারা বিশ্বব্যাপী সাম্যের প্রচারে কাজ করছেন তাদের “অসাধারণ সাহস ও অঙ্গীকারের” প্রশংসা করেন।

            আফ্রিকা

            সাদিয়া মোসবাহ (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)
            সাদিয়া মোসবাহ

            তিউনিসিয়ার আন্দোলনকর্মী সাদিয়া মোসবাহ তিউনিসিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে আইনী সুরক্ষার আওতায় আনতে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য মেমটি (“আমার স্বপ্ন”) প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে তিউনিসিয়ায় জাতিগত বৈষম্যকে অপরাধমূলক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

             

            দক্ষিণ এশিয়া

            সরস্বতী নেপালী

            স্বরস্বতী নেপালী, নেপালের দলিত এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছেন। তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দলিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন এবং জনপ্রিয় হিন্দু মন্দিরে দলিতদের উপাসনা করার অনুমতি দিতে, বাধ্যতামূলক শ্রম (ক্রীতদাস) বিলোপ, দলিত পরিবারের জমির অধিকার সুরক্ষিত করা এবং বৈষম্য সংক্রান্ত মামলার বিচারের রায় দলিতদের পক্ষে পেতে সফল হয়েছেন।

             

            রানী ইয়ান ইয়ান (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)
            রানী ইয়ান ইয়ান

            রানী ইয়ান ইয়ান চাকমা সার্কেলের একজন নেতা। তিনি বাংলাদেশের আদিবাসীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতা, জমি দখল এবং অন্যান্য ধরনের বৈষম্যের প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এছাড়াও তিনি জলবায়ু সহিষ্ণুতাকে এগিয়ে নিতে এবং আদিবাসী নারী ও যুবাদের রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে প্রচারণার কাজ করছেন।

            Celebrating champions of equity and justice

            ইউরোপ

            ভিক্টোরিনা লুকা (স্টেট ডিপার্টমেন্ট
            ভিক্টোরিনা লুকা

            মোলদোভার মানবাধিকার আইনজীবী ভিক্টোরিনা লুকা রোমা অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে কাজ শুরু করেছেন এবং তিনি জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার অগ্রগতি বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন৷ তিনি মোলদোভাতে রেডিও প্যাট্রিন পরিচালনা করেন, যা বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের সাথে রোমা ভাষা এবং সংস্কৃতি ভাগ করে নেয়।

            দক্ষিণ আমেরিকা

            কারি গুয়াজাজারা (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)
            কারি গুয়াজাজারা

            কারি গুয়াজাজারা অবৈধ খনি খননকারী, কাঠ পাচারকারী ও চোরা বন্যপ্রাণি শিকারীদের হাত থেকে ব্রাজিলের অ্যামাজনকে রক্ষা করতে কাজ করেন। গুয়াজাজারা-তেনেতেহারা জাতিগোষ্ঠীর এই মানুষটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকারের অগ্রগতি এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল ও ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য কাজ করছেন।

             

            অসওয়াল্ডো বিলবাও লোবাটন (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)
            অসওয়াল্ডো বিলবাও লোবাটন

            কয়েক দশক ধরে অসওয়াল্ডো বিলবাও লোবাটন আফ্রো-পেরুভিয়ানদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছেন। ১৯৯২ সালে পেরুর কৃষ্ণাঙ্গদের প্রথম সভা আয়োজনে সহায়তা করেছিলেন তিনি এবং ২০১৭ সালে পেরুর আদমশুমারিতে জাতিগত বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে প্রচারণা চালান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারি নীতির জন্য কাজ করেছেন।

            ন্যায়ের পথে

            পুরস্কার প্রাপ্তরা ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাতকালে অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে ও বৈষম্য মোকাবেলার ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার বিষয়গুলো ভাগ করে নেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ফরেন পলিসি ফর আমেরিকা ফাউন্ডেশন পুরস্কার জয়ী প্রত্যেককে ৫,০০০ ডলার অনুদান দেবে।

            অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে ইয়ান ইয়ান বলেন, বর্ণবাদ ও জেনোফোবিয়া বা অন্য জাতিদে

            র প্রতি ভীতি ও তাদেরকে অপছন্দ করার বিষয়টি রাতারাতি বদলানো যাবে না। এক্ষেত্রে অগ্রগতি শুধু তখনই আসবে যখন আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের জন্য প্রচেষ্টা ও সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

            ইয়ান ইয়ান বলেন, এই পুরস্কার “আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আমাদের অর্জনের স্বীকৃতি।”

            “ন্যায়বিচারের পথ কখনই সহজ ছিল না,” উল্লেখ করে ইয়ান ইয়ান বলেন, তবুও “আমরা এখানে আমাদের অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি এবং আমরা পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের শক্তিশালী ও উন্নত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”

          • প্রশান্ত মহাসাগরে দ্বীপবাসীদের জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু করে তুলতে সহায়তা
            প্রশান্ত মহাসাগরে দ্বীপবাসীদের জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু করে তুলতে সহায়তা
            নারী দাঁড়িয়ে আছে আর বসে থাকা ব্যক্তিরা তাঁকিয়ে আছে (লাইভ অ্যান্ড লার্ণ/ইউএসএআইডির সৌজন্যে)

            পেলেনিস অ্যালোফা ২০০৬ সালে যখন কিরিবাতিতে চলে আসেন তখন তার মা-বাবার জন্মভূমিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পরিণতি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। সাগরের নোনা পানিতে দূষিত হয়ে পড়েছিল কূপের পানি ও মাটি। তাদের বাড়ির মেঝে চুইয়ে পানি ঢুকত।

            রাতের বেলা কাছেই আছড়ে পড়া ঢেউয়ের শব্দে তার মনে আতঙ্ক জাগত। ” নিজেকে এতোটাই অরক্ষিত বোধ করছিলাম যেন ঢেউ এসে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।” উল্লেখ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি কে বলছিলেন, “কিন্তু এখানে এটাই স্বাভাবিক।”

            ২০১১ সালের দিকে অ্যালোফা এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে শুরু করেন। তিনি কিরিবাতির নিচু এলাকার ৩৩টি দ্বীপকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করার জন্য কিরিবাতি ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (কিরিক্যান) প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৫ সালে কিরিক্যান ইউএসএআইডি-এর সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসীরা লোনা পানির দূষণের শিকার এবং ক্ষয় হচ্ছে এমন পানীয় জলের উৎসগুলো কীভাবে শনাক্ত এবং রক্ষা করবে তার উপর প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে।

            জলবায়ু সঙ্কটের কারণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমুদ্রপৃষ্ঠের ক্রমবর্ধমান উচ্চতা বৃদ্ধি, চরম আবহাওয়া এবং অন্যান্য পরিণতির ফলে খাবার পানি সংগ্রহ ও সেচ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র অ্যালোফার মতো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসীদের সাথে কাজ করছে।

            প্রেসিডেন্ট বাইডেন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোর সম্মেলনে বলেন যে, আমরা ” আমাদের সকলের জন্য হুমকিস্বরূপ জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।” তিনি আরো বলেন যে, জলবায়ু সঙ্কট “আমাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি।”

            নারী তার খরাক্রান্ত জমির দিকে তাকিয়ে আছেন (© মারিও টামা/গেটি ইমেজ)
            হেলেনা আইসুল ভানুয়াতুর তান্নাতে তার সব্জি বাগানে কাজ করেন। বর্ধিত শুষ্ক মৌসুমের কারণে তার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। (© মারিও টামা/গেটি ইমেজ)

            সহনশীলতা তহবিল

            সম্মেলনে বাইডেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি মোকাবেলায় ১,৩০০ কোটি টাকাসহ (১৩০ মিলিয়ন ডলার) ৮,১০০ কোটি টাকার (৮১০ মিলিয়ন ডলার) নতুন ও সম্প্রসারিত তহবিল ঘোষণা করেন। গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জকে ১৫,০০০ কোটি টাকারও (১.৫ বিলিয়ন ডলার) বেশি প্রত্যক্ষ বৈদেশিক সহায়তা দিয়েছে।

            এছাড়াও ইউএসএআইডি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যেমন গ্রিনক্লাইমেট ফান্ড, এডাপ্টেশন ফান্ড এবং গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোকে ৫,০০০ কোটি টাকা (৫০০ মিলিয়ন ডলার)-র বেশি সহায়তা করেছে।

            মে মাসে পাপুয়া নিউ গিনিতে যুক্তরাষ্ট্র-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ ফোরামের নেতাদের সংলাপে যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ও জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় একটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় সহনশীল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২০ কোটি টাকা (২ মিলিয়ন ডলার) সহায়তা দেওয়ার অভিপ্রায়ের কথা ঘোষণা করেছে।

            পাপুয়া নিউ গিনিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট অ্যারিজোনা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সোর্স গ্লোবালের মাধ্যমে ৪০টি হাইড্রোপ্যানেল স্থাপন করার কাজকে সহায়তা করেছে। এসব প্যানেলে সৌর শক্তি ব্যবহার করে বাতাস থেকে পানি টেনে নেয়া হবে। নারীর নেতৃত্বাধীন সমবায় থেকে প্যানেল গুলো পরিচালনা করা হয়। যার মাধ্যমে আদিবাসীদের দু’টো গ্রামে জলবায়ুসহিষ্ণু পদ্ধতিতে পানি আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামগুলোর বাসিন্দারা আগে আমদানি করা পানির উপর নির্ভর করতো।

            সোলার প্যানেলের সামনে এক ব্যক্তি বোতল থেকে পানি পান করছেন (© পিটার স্টিভেনসন)
            যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি পাপুয়া নিউ গিনিতে মানুষের নিরাপদ খাবার পানির সরবরাহ পাওয়ার সরঞ্জাম স্থাপন করেছে। (© পিটার স্টিভেনসন)

            খাপ খাওয়াতে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো

            এছাড়াও খরা এবং অন্যান্য চরম আবহাওয়া থেকে ফসল রক্ষা করতে কৃষকদের সাথে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে সলোমন আইল্যান্ডে ইউএসএআইডি ২,৫০০ কৃষককে বাগানের ভূমির উচ্চতা বাড়ানো, গাছ লাগানো ও ম্যানগ্রোভ পুনরুদ্ধারসহ সহনশীলভাবে চাষাবাদে সহায়তা করছে যাতে অভ্যন্তরীণ খামার গুলোকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।

            ইউএসএআইডি ফিজি, ফেডারেটেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়া এবং পাপুয়া নিউ গিনির কৃষকদের কৃষি কৌশলের মাধ্যমে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা করতে সাহায্য করে। যেমন কম্পোস্ট করা নারকেলের ছোবড়া খরা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় ধরে পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে।

            যুক্তরাষ্ট্র কিরিবাতি, টোঙ্গা এবং ভানুয়াতুতে ইউএনডিপি ও স্থানীয় অংশীদারদের সহনশীল খামার কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টাকে সহায়তা করে । এই প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে নারিকেল, কাঁঠাল জাতীয় ফল ব্রেডফ্রুট, প্যান্ডানাস, জলাভূমিতে জন্মানো ট্যারো ও ডুমুরসহ দেশীয় বহুবর্ষজীবী ফসলের চাষাবাদে সহায়তা করতে পানির ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা কিংবা বাগানের মাটির স্তর উচুঁ করা।

            ৩ জন লোক জমিতে ফসল রোপন করছে (ইউএসএআইডি প্যাসিফিক আমেরিকান ফান্ড)
            যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মেরি ডামোর (মাঝে) গত ১৮ মে ফিজিতে শস্য রোপন করছেন। ইউএসএআইডি এখানে খরা পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টাতে সহায়তা করছে। (ইউএসএআইডি প্যাসিফিক আমেরিকান ফান্ড)

            কিরিবাতির অ্যালোফা ১,৩০০ জনেরও বেশি মানুষকে কৃষিকাজের জন্য মাটিকে সমৃদ্ধ করা ও কীভাবে অল্প পানি ব্যবহার করে চাষাবাদ করা যায় সে লক্ষ্যে কম্পোস্টিং এবং অন্যান্য বাগান করার কৌশলগুলোর উপর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। ইউএসএআইডি কিরিবাতিতে জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য গ্রিনহাউস, সৌর প্যানেল, সেচ ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ দিয়েছে।

            কিরিবাতির ভূমি ও কৃষি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইতোফি মিকা বলেছেন, উন্নত চাষের কৌশল ও অভিযোজিত ফসল সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসীদের ফসলের খামারে চলে আসা লবণাক্ত পানি ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করছে।

            “আমাদের দ্বীপের বাসিন্দারা ভূমি ও সাগরের মানুষ,” উল্লেখ করে মিকা বলেন, “তারা অভিঘাতসহনশীল। যদিও পরিবর্তন আমাদের দোরগোড়ায় কিন্তু বেঁচে থাকতে এবং উন্নতি করতে অবশ্যই আমরা পরিবর্তনের সাথে নিজেদেরকে মানিয়ে নেব।”

          • বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি যেভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলা করছে
            বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি যেভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলা করছে
            মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বসে আছে (© ইয়োক এমবাইহোনডে/বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি)

            ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আগেও দেশটির এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ক্ষুধার্ত থাকতো। ধারণা করা হচ্ছে যুদ্ধের কারণে দেশটির প্রায় ৪০ শতাংশ জনগণকে পর্যাপ্ত খাবার ছাড়াই থাকতে হবে।

            এই অবস্থায় ক্রমবর্ধমান মানবিক চাহিদা মেটাতে,ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলায় নিয়োজিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংস্থা জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সুদানে সর্বোচ্চ স্তরের জরুরি কার্যক্রম শুরু করেছে।

            ডব্লিউএফপি সম্প্রতি সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক গোষ্ঠী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে দেশটির ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে জরুরি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সংস্থার তিনজন কর্মীর মৃত্যুর পর সুদানে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। তবে  মে মাসের শুরু থেকে ডব্লিউএফপি খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম বাড়িয়েছে এবং সুদানের ১৮টি রাজ্যের মধ্যে ১৪টি রাজ্যের মানুষের কাছে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে।

            “ডব্লিউএফপি সুদানের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানোর পাশাপাাশি প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যাওয়া হাজার হাজার মানুষের জীবনরক্ষায় সম্ভাব্য সবকিছু করছে কিন্তু এই কাজ আমাদের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়,” সুদানে নিযুক্ত ডব্লিউএফপি-র কান্ট্রি ডিরেক্টর এডি রো বলেন।

            বিশ্ব খাদ্য সংস্থা সম্পূর্ণভাবে দাতা সরকার, প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেশন এবং ব্যক্তিদের স্বেচ্ছাদান থেকে তহবিল সংগ্রহ করে। গত বছর সংস্থাটি ১২০টিরও বেশি দেশে ১৬ কোটিরবেশি মানুষকে সহায়তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই সময়কালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ৭২ হাজার কোটি টাকারও বেশি অনুদান দিয়েছে যা সংস্থাটির বাজেটের অর্ধেকেরও বেশি।

            ৪ জন লোক মটরশুটি থেকে ধুলাবালি সরাতে সেগুলো উলটপালট করছে (© ওডেলিন জোসেফ / এপি)
            শ্রমিকরা একটি গুদামের ভেতরে মটরশুটি থেকে ধুলাবালি সরানোর জন্য সেগুলো উলটপালট করছে যেখান থেকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি হাইতির গোনাইভেসের বাসিন্দাদের খাবার বিতরণ করে। (© ওডেলিন জোসেফ / এপি)

            এখানে বিশ্বের অন্যান্য অংশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাজের কিছু দিক তুলে ধরা হলো।

            জিম্বাবুয়ে

            সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র জিম্বাবুয়েতে খাদ্য-নিরাপত্তাহীনতায় থাকা ৬৫,০০০ এরও বেশি জিম্বাবুয়েন জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে ৮৭ কোটি টাকা (৮.৭ মিলিয়ন ডলার) অনুদান দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই তহবিল দিয়ে আগামী ছয় মাস তাদেরকে সহায়তা করা যাবে।

            এই তহবিলের অর্থ দিয়ে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ফুড অ্যাসিস্ট্যান্স ফর অ্যাসেট কার্যক্রমের আওতাভুক্ত মানুষদের কাজের বিনিময়ে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে এবং ছোট আকারের কৃষি অবকাঠামো তৈরি করা, গ্রাম সঞ্চয় এবং ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমকে সহায়তা করা হবে।

            অংশগ্রহণকারীরা তাদের কর্মকালীন সময়ে মাসিক ভিত্তিতে ভুট্টার খাবার, ডাল এবং রান্নার তেল বরাদ্দ পান। এছাড়াও অংশগ্রহণকারীরা বীমা এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির উপর প্রশিক্ষণ পাওয়ার পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং নিকটবর্তী বাজারের সাথে নিজেদের সংযুক্ত করার প্রশিক্ষণও পাবেন।

            বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেছেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব এবং বার বার অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবেলায় জিম্বাবুয়ের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সামর্থ্য তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অব্যাহত সহায়তার জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

            ইউক্রেন

            এক ব্যক্তি গাড়িতে বসে থাকা এক নারীর হাতে ব্যাগ তুলে দিচ্ছে (© মাইখাইলো পালিনচাক/সোপা ইমেজ/লাইটরকেট/গেটি ইমেজ)
            একজন উদ্ধারকর্মী ইউক্রেনের খেরসনে এক নারীর হাতে মানবিক সাহায্য তুলে দিচ্ছেন। (© মাইখাইলো পালিনচাক/সোপা ইমেজ/লাইটরকেট/গেটি ইমেজ)

            ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সরকারের বিনা উস্কানিতে শুরু করা যুদ্ধ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে বন্ধ করে দেওয়ায় অনেকের পক্ষে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না ।১ কোটি ১০ লাখ ইউক্রেনীয় পর্যাপ্ত খাবার ছাড়াই দিন কাটাচ্ছে। এছাড়াও এই যুদ্ধ নাটকীয়ভাবে খাদ্য সরবরাহ কমানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বাড়িয়েছে। যুদ্ধের আগে ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ ছিল,যাদের উৎপাদিত খাদ্য বছরে ৪০ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটাত।

            ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের সাহায্য করার জন্য ডব্লিউএফপি সমন্বিতভাবে খাদ্য এবং নগদ সহায়তা পদ্ধতি ব্যবহার করছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় অংশীদারদের সথে দলবদ্ধ হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের কাছাকাছি এলাকায় রেশন আকারে খাদ্য বিতরণ এবং সুবিধাভোগীদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব এমন ব্যাঙ্ক এবং খাদ্য বাজারে নগদ অর্থ স্থানান্তর করা।

            এছাড়াও কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো পুনরায় চালু করার জন্য সহায়তা করা হচ্ছে এবং ইউক্রেন থেকে কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে প্রয়োজন রয়েছে এমন দেশগুলোতে গম পৌঁছে দিতে দিনরাত কাজ করছে সংস্থাটি।

            যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন,”বিশ্ব খাদ্য সংস্থা প্রতিনিয়ত খারাপ হতে থাকা বৈশ্বিক খাদ্য সঙ্কট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।ডব্লিউএফপি-র বৃহত্তম সহায়তাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির অব্যাহত সাফল্যের জন্য গভীরভাবে নিয়োজিত রয়েছে।”

          • প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে যেসব উদ্ভাবন
            প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে যেসব উদ্ভাবন
            সেতুর নিচে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে তাকানো তরুণ (© রাজেশ কুমার সিং/এপি)

            প্রতিদিন আমরা বন্ধুদের ক্ষুদেবার্তা পাঠাই, কীবোর্ড ব্যবহার করি কিংবা শ্রুতিবই শুনি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যবহার্য বিভিন্ন উপকরণের নকশা নিয়ে গবেষণা ছাড়া আমরা এসবের কোনটিই তৈরি করতে পারতাম না।

            প্রকৃতপক্ষে সারা বিশ্বের ১৩০ কোটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিই উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই উদ্ভাবক, যারা কখনও কোন সমস্যার মুখোমুখি হয়ে তার একটি সমাধান বের করে ফেলেছেন যা সর্বত্র মানুষকে সাহায্য করছে।

            এখানে তেমনই কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হলো।

            টাইপ করা

            টাইপরাইটারের প্রথম প্রোটোটাইপের নকশা কে করেছেন করেছেন তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে ইতালির পেলেগ্রিনো তুরি ১৮০৮ সালে তাঁর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বন্ধু কাউন্টেস ক্যারোলিনা ফ্যান্টোনি দা ফিভিজ্জানোর জন্য একটি যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা এ উদ্ভাবনের শীর্ষ দাবীদার। (কার্বন কাগজে কাউন্টেসের টাইপকৃত অক্ষরগুলো ইতালির রেজিও এমিলিয়ার রাষ্ট্রীয় মহাফেজখানায় সংরক্ষিত আছে।)

            ব্রেইল কীবোর্ড সংযুক্ত কম্পিউটার ব্যবহারকারী ব্যক্তি (© zlikovec/Shutterstock.com)
            ব্রেইল কীবোর্ড দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও অন্ধ ব্যবহারকারীদেরকে কম্পিউটিং প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে। (© zlikovec/Shutterstock.com)

            বিংশ শতকে টাইপরাইটারের বিকাশের সাথে সাথে তা দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আরো ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে।

            এখন প্রায় সবাই প্রতিদিন কীবোর্ড ব্যবহার করে। কম্পিউটার ও ল্যাপটপগুলোতেও এখন ব্রেইল কীবোর্ড ও কথাকে লেখায় রূপান্তরের মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

            ক্ষুদেবার্তা পাঠানো

            আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৭৬ সালে যখন টেলিফোন আবিষ্কার করেন, তখন তাঁর উদ্দেশ্য ছিলো শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষদেরকেও সহায়তা করা। সেই পরিকল্পনা কাজে না দিলেও এর প্রায় এক শতাব্দী পরে শৈশবে শ্রবণশক্তি হারানো দাঁত ও মাড়ির ডাক্তার জেমস মার্সটার্স একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন যা টাইপকৃত কথোপকথনকে টেলিফোনের মাধ্যমে পাঠাতে সক্ষম ছিলো। মার্সটার্সের টিটিওয়াই ব্যবস্থা হাজার হাজার বধির ব্যক্তিকে শ্রবণশক্তিসম্পন্ন মানুষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগে সক্ষম করেছে। ১৯৯০-এর দশকে ক্ষুদেবার্তা বা এসএমএস এসে লুফে নিয়েছে সেই প্রযুক্তিকেই যা উদ্ভাবিত হয়েছিল বধির বা শ্রবণশক্তিহীন মানুষের সহায়তার জন্য। কিন্তু এখন সর্বত্র মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী সকলেই সেটা ব্যবহার করছে।

            হাস্যোজ্জ্বল উপবিষ্ট নারী ও ওয়াকারের সামনে দাঁড়ানো নারী ফোনের স্ক্রিন দেখছে (© এডুকেশন ইমেজেস/ইউনিভার্সাল ইমেজেস গ্রুপ/গেটি ইমেজেস)
            : ব্যবহারের সুবিধার জন্য নকশাকৃত স্মার্টফোন (ছবি: এডুকেশন ইমেজেস/ইউনিভার্সাল ইমেজেস গ্রুপ, মাধ্যম- গেটি ইমেজেস)

            ২০০১ সালে ইউরোপের বেশ কয়েকটি গবেষণা দল, বধির ব্যক্তিদের সহায়তাকারী বিভিন্ন সংস্থা এবং ভোডাফোন ইউকে’র মধ্যে তিন বছরের একটি প্রকল্প শুরু হয়। এর লক্ষ্য ছিলো ৩জি বার্তাকে বধির ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য শুধু অন্তর্ভুক্তিমূলক করা নয় বরং সেটাকে সহজে ব্যবহারযোগ্য করা এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে তোলা। এর ফলস্বরূপ উদ্ভাবিত প্রযুক্তিই আজকের ৫জি’তে ব্যবহৃত হচ্ছে যা সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করছে – হোক তারা বধির, শ্রবণ প্রতিবন্ধী বা শ্রবণশক্তিসম্পন্ন।

            স্ট্র ব্যবহার

            বাঁকানো স্ট্র তৈরি করা হয়েছিলো অসুস্থ বা পূর্ণ চলৎশক্তি নেই এমন ব্যক্তিদের জন্য যাতে পাত্র উঁচু না করেই বা সোজা স্ট্রর বদলে তরল পান করা সহজ হয়। জোসেফ ফ্রিডম্যান ১৯৩০-এর দশকে নকশাটি তৈরি করেন এবং কয়েক বছর পর এর সংশোধন করেন। ১৯৪০-এর দশকে তাঁর কাগজের তৈরি নমনীয়  স্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের দ্বারা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

            সাদা রঙের পটভূমিতে ছয় খাঁজের নমনীয় চুমুকনল (© লেশেক গ্লাসনার/Shutterstock.com)
            নমনীয় চুমুকনল এখনও হাসপাতালগুলোতে ব্যবহৃত হয় এবং রেস্তোরাঁ ও কফি শপগুলোতেও জনপ্রিয়। (© লেশেক গ্লাসনার/Shutterstock.com)
            Colorful drinking straws vector set (© Leszek Glasner/Shutterstock.com)

            আজও অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নমনীয় চুমুকনল বা স্ট্র দিয়ে সহজে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করতে পারে। আরো বহু মানুষ তাদের সুবিধার জন্য সেগুলো ব্যবহার করে। (যুক্তরাষ্ট্রে জলপথে প্লাস্টিক বর্জ্য নিক্ষেপের ঝুঁকির কারণে কিছু এলাকায় এর প্লাস্টিক সংস্করণটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।)

            শ্রবণ

            ১৯৩২ সালে আমেরিকান ফেডারেশন ফর দ্য ব্লাইন্ড অন্ধদের জন্য ভিনাইলের ওপর শ্রুতিবই তৈরি করে। (এটা সম্ভব হতো না যদি না তারও অনেক আগে ১৮৭৭ সালে আমেরিকান উদ্ভাবক টমাস এডিসন, যিনি নিজেও একজন প্রতিবন্ধী ছিলেন, তিনি ফোনোগ্রাফ আবিষ্কার করতেন।) রেকর্ডের উভয় পিঠে থাকতো ১৫ মিনিট করে অডিও এবং রেকর্ডগুলো বের হতো সেট আকারে যেখানে থাকতো শেক্সপিয়রের নাটক বা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের মতো জনপ্রিয় লেখার পূর্ণাঙ্গ পাঠ। ১৯৩২ সালে কংগ্রেসে একটি আইন পাশের মাধ্যমে লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস শ্রুতিবই তৈরির অনুমতি পায়, ফলে বৃদ্ধি পায় তাদের সংগ্রহের সংখ্যা ।

            হাতে ধরা ফোনের স্ক্রিনে শ্রুতিবইয়ের প্রচ্ছদ দেখা যাচ্ছে (© গ্যাব্রিয়েল লুরি/দি সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকল/গেটি ইমেজেস)
            আজকাল স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা অন্যান্য ডিভাইসে অডিওবুক ডাউনলোড করা হয়। (© গ্যাব্রিয়েল লুরি/দি সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকল/গেটি ইমেজেস)

            রান্নাবান্না

            এখন প্রিয় লেখকদের লেখা উপভোগের উপায় হিসেবে শ্রুতিবই শুধু প্রতিবন্ধী নয়, সবার কাছেই জনপ্রিয়। অডিও পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর অনুমান, আমেরিকার জনগোষ্ঠীর অর্ধেক মানুষ অন্তত একটি শ্রুতিবই শুনেছে। রান্নাবান্না

            অক্সো গুড গ্রিপসের প্যাকেটে সজ্জিত সবজীর খোসা ছাড়ানোর যন্ত্র (পিলার) (© Shutterstock.com)
            (© Shutterstock.com)

            বিশ্বখ্যাত রান্নাঘরের সরঞ্জামের ব্র্যান্ড অক্সোর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ফারবার তার আর্থ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত স্ত্রী বেটসিকে সবজির খোসা ছাড়ানোর চেষ্টা করতে দেখে অনুপ্রাণিত হন। তিনি সবার জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য, বিশেষত বেটসির মতো দুরারোগ্য ব্যথায় আক্রান্তদের জন্য রান্নাঘরের সরঞ্জাম তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

            দুই দশক পরে অক্সো’র গুড গ্রিপস গোত্রীয় পণ্য বিশ্বব্যাপী শারীরিকভাবে অক্ষম ও সক্ষম উভয় ব্যক্তিরাই ব্যবহার করে।

            ২০০০ সালে ফারবার বলেছিলেন, “সবজির খোসা ছাড়ানোর চাঁছনিকে যুগান্তকারী ভাবা কঠিন বটে। তবে আমার ধারণা, এটা তাই ছিলো।”

          • বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ বাড়িয়েছে যত উদ্ভাবন
            বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ বাড়িয়েছে যত উদ্ভাবন
            মাছ ধরার ফাঁদ হাতে হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তি (জোয়াকিম চেউপে/ইউএসএআইডি)

            মাছ কমে যাওয়া এবং মাছ ধরার সরঞ্জামের ভাড়া বেশি হওয়ায় কেনিয়ার জেলে হামিসির জন্য তার তিন সন্তানের ভরণপোষণ করা কঠিন হয়ে উঠেছিলো।

            তাই হামিসি ও কেনিয়ার উপকূলীয় উয়োম্বো ও মায়ুঙ্গু জনগোষ্ঠীর জেলেরা যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) পরিচালিত বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্যোগ ফিড দ্য ফিউচারের সাথে কাজ শুরু করে । এর উদ্দেশ্য ছিলো টেকসই উপায়ে মাছ ধরার জন্য এমন এক ফাঁদের নকশা করা যা ব্যয়বহুল সরঞ্জামের ভাড়া বাঁচাতে পারে এবং মৎস্য প্রজাতিরও সুরক্ষা দেয়।

            ফিড দ্য ফিউচার (পিডিএফ, ৩৩৫ কেবি)-এর সাথে কথা প্রসঙ্গে হামিসি (ছদ্মনাম) বলেন, “বিশেষভাবে তৈরি এই ফাঁদের উদ্দেশ্য বড় আকারের মাছ আটকানো যেগুলোর দাম বেশি। শুধু পূর্ণবয়স্ক মাছ আটকানোর মাধ্যমে ফাঁদগুলো অল্পবয়সী মাছকে বেরিয়ে যেতে, বড় হতে ও প্রজনন করার সুযোগ করে দেয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিভিন্ন মৎস্য প্রজাতিকে রক্ষা করে।

            যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপুষ্ট বিভিন্ন প্রযুক্তি কীভাবে ক্ষুদ্র চাষী ও জেলেদেরকে তাদের অর্থনৈতিক ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সহায়তা করছে, কিসোয়াহিলির সামাকি সালামা বা মৎস্য নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় নকশাকৃত ফাঁদগুলো তার এক দৃষ্টান্ত।

            ভারত

            সৌর হিমাগার (বামে) এবং সবজির তাক ও পাত্র (ডানে) (সঙ্গীতা চোপড়ার সৌজন্যে প্রাপ্ত)
            সৌর ও বাষ্পীভবন প্রযুক্তির কল্যাণে ফার্ম সান-ফ্রিজ কৃষকদেরকে বিদ্যুৎ ছাড়াই খাদ্যদ্রব্য ঠাণ্ডা রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। (সঙ্গীতা চোপড়ার সৌজন্যে প্রাপ্ত)

            মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইউএসএআইডি ভারতে ফার্ম সান-ফ্রিজ’র গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে সহায়তা করেছে। এ খামারে খাদ্যদ্রব্য হিমায়িত করতে বৈদ্যুতিক সংযোগ বা ব্যাটারি ছাড়াই সৌর প্যানেল ও বাষ্পীভবন-সৃষ্ট শীতলীকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। লম্বা সময় ধরে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষিত হওয়ায় কৃষকদের বিক্রয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। সান-ফ্রিজের নকশা সহজ হওয়ায় কৃষকেরা নিজেরাই এটা তৈরি করতে পারে এবং এর নির্মাণব্যয়ও কম।

            সান-ফ্রিজ প্রকল্পের পরিচালক সঙ্গীতা চোপড়া নয়াদিল্লির ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে বলেছেন, “তাপমাত্রা ৩০ থেকে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসে কমানো গেলে কোন পণ্যের মজুদকাল দশগুণ বা তারও বেশি বাড়তে পারে।” আফ্রিকায় ব্যবহারের জন্য কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার গবেষকেরা সান-ফ্রিজকে বিবেচনায় নিয়েছেন।

            এছাড়াও ভারতের এক উদ্ভাবক আফ্রিকা ও এশিয়ার কৃষকদের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ সম্প্রসারণ করছেন যা তাদেরকে বন্যা ও খরা মৌসুমে পানির উত্তম ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে। বিপ্লব কেতন পাল ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রাম-এর আওতায় মিয়ামির একটি সুপেয় পানি শোধনাগার পরিদর্শনকালে তাঁর ঝড়োজল-ভিত্তিক সেচ পদ্ধতির অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।

            নেপাল

            উবু হয়ে বসা শস্য পর্যবেক্ষণকারী ২ নারী (রবিক উপাধ্যায়/ইউএসএআইডি)
            যুক্তরাষ্ট্র ও বেসরকারি খাতের অংশীদারেরা ফিড দ্য ফিউচারের মাধ্যমে নেপালের রূপা চৌধুরীর (ডানে) মতো কৃষকদেরকে ধান, ভুট্টা, মসুর ও অন্যান্য ফসল থেকে আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। (রবিক উপাধ্যায়/ইউএসএআইডি)

            নেপালে কৃষকদের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাপুষ্ট বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে GeoKrishi অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকেরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ও কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকে। GeoKrishi ডাং-এর কৃষক ভূপেন্দ্র খাত্রীকে (পিডিএফ, ২.০৬ এমবি) তার ভুট্টার ফলনের জন্য প্রয়োজনীয় সারের পরিমাণ নির্ধারণে সহায়তা করে যাতে তার অতিরিক্ত ব্যয় না হয় । অ্যাপটি কৃষকদেরকে আবাদের জন্য সর্বোত্তম সময় নিরূপণ এবং অসুস্থ পশুপাখির চিকিৎসা দিতেওসহায়তা করে।

            নেপালে ডিজিটাল মাধ্যমে জেন্ডার বিভাজন কমাতে ইউএসএআইডি’র সেন্টার ফর ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট GeoKrishi ব্যবহারকারী একটি উদ্যোগে অর্থায়ন করেছে। DAI, হেফার ইন্টারন্যাশনাল ও পাথওয়ে টেকনোলজি’র সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইউএসএআইডি GeoKrishi-এর মাধ্যমে নারী কৃষকদের কাছে কৃষিবার্তা পৌঁছে দিতে সমাজভিত্তিক তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

            ইউক্রেন

            বড় শস্যস্তূপের পাশে মুঠোভরা শস্য হাতে ব্যক্তি (ভ্লাদ সোবেল/ইউএসএআইডি)
            ইউক্রেনে বীজ, শস্য সুরক্ষা ও বিভিন্ন কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে ভ্যাসিল মার্কোভিচের মতো কৃষকদেরকে সহায়তা করছে ইউএসএআইডি। (ভ্লাদ সোবেল/ইউএসএআইডি)

            গত ৫ জুন কর্টেভা এগ্রিসায়েন্সের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ইউএসএআইডি ইউক্রেনের কৃষকদের মধ্যে প্রখর আবহাওয়াতেও আবাদযোগ্য সূর্যমুখী ও ভুট্টার বীজ বিতরণ এবং বিভিন্ন ফসল সুরক্ষা প্রযুক্তি প্রদানের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

            এ সহায়তা প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে ইউএসএআইডি’র ১০ কোটি ডলারের এগ্রিকালচার রেসিলিয়েন্স ইনিশিয়েটিভ (AGRI)- ইউক্রেন কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে। এর আওতায় ইউক্রেনের ১৩,৭০০’রও বেশি কৃষকের মধ্যে বীজ, সার ও অন্যান্য কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে কারণ রাশিয়ার নৃশংস যুদ্ধে ইউক্রেনের আবাদি জমি ও শস্য সংরক্ষণাগারগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

            ইউএসএআইডি বলেছে, “এগ্রি-ইউক্রেন ইউক্রেনের যুদ্ধ বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করছে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী আরো ঘনীভূত হওয়া খাদ্য নিরাপত্তা সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে শস্য উৎপাদন, মজুদ ও সারা বিশ্বে রপ্তানির ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে।”

            Innovations that help increase the world’s food supply

          • যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস: বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় পরম শ্রদ্ধায়
            যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস: বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় পরম শ্রদ্ধায়
            শহরের আকাশে আতশবাজি (© জেফ কোওয়াস্কি/এএফপি/গেটি ইমেজ)

            প্রতি বছর জুলাই মাসের চার তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ কোটি মানুষ আতশবাজি, শোভাযাত্রা আর দলবেঁধে ঘরের বাইরে রান্না করে খেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও দিবসটি উদযাপিত হয়। গণতান্ত্রিক দেশগুলো তাদের নিজেদের ঐতিহ্য মেনে দিবসটির উদযাপন করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্নিহিত স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।

            উপরের ছবিতে ডেট্রয়েট নদীর তীরে আতশবাজি দেখা যাচ্ছে, এই জায়গাটি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সীমানা হিসেবে কাজ করে। এই আতশবাজি ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিডম ফেস্টিভ্যালের অংশ। কানাডার উইন্ডসর ও মিশিগানের বৃহত্তম শহর ডেট্রয়েট যৌথভাবে প্রতিবছর ১ জুলাই কানাডা দিবস ও ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের স্মরণে জুলাই মাসে আয়োজন করে থাকে। এই বিশেষ অনুষ্ঠান দেখার জন্য প্রতিবছর প্রায় ৩৫ লাখ দশনার্থীর সমাগম হয় এবং এটি উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম আতশবাজি প্রদর্শনীগুলোর অন্যতম।

            এই লেখাতে বিশ্বের দূর দূরান্তের দেশগুলোতে আমেরিকান সঙ্গীত, খাবার ও সংস্কৃতি সহযোগে ৪ জুলাই আমেরিকার ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আরো কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরা হলো। দিনটি উদযাপনে স্থানীয় মানুষেরা আমেরিকানদের (পর্যটক ও প্রবাসী) সাথে যোগ দেয়।

            ডেনমার্ক

            পাহাড়ের ধারে বসে থাকা মানুষের বিশাল ভীড় (© হেনিং ব্যাগার/এএফপি/গেটি ইমেজ)
            যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ২০১২ সালের ৪ জুলাই ডেনমার্কের নর্দার্ন জুটল্যান্ডের রেবিল্ড ন্যাশনাল পার্কে আয়োজিত রেবিল্ডফেস্টে আগত অংশগ্রহণকারী। (© হেনিং ব্যাগার/এএফপি/গেটি ইমেজ)

            ডেনমার্কের উত্তরাঞ্চলের ছোট শহর রেবিল্ডে ৪ জুলাইয়ে বড় ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবটি কীভাবে শুরু হয়েছিল? এই শহরের অনেক বাসিন্দা উনিশ শতকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন এবং কয়েক বছর পর তাদের কেউ কেউ আবার রেবিল্ডে ফিরে আসেন এবং তারাই ৪ জুলাইয়ের স্মরণে এই উৎসব আয়োজনের রীতি চালু করেছিলেন।

            রেবিল্ডে “রেবিল্ডফেস্ট” নামের এই উৎসব বিগত ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আয়োজিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর দীর্ঘ সপ্তাহান্ত (সাপ্তাহিক ছুটির সাথে আগে-পরে যুক্ত ছুটির দিন) ধরে আয়োজিত এই উৎসবে আতশবাজির পাশাপাশি, আমেরিকান সঙ্গীত, আমেরিকান স্টাইলে হট ডগ ও বারবিউকিউ খাবার ছাড়াও ডেনিশ স্মারব্রেড ওপেন-ফেসড স্যান্ডউইচ খাওয়া হয়। সেই সঙ্গে আমেরিকান ও ডেনিশ উভয় সংস্কৃতির বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ডের আয়োজনের মাধ্যমে রেবিল্ডফেস্ট উদযাপিত হয়।

            আয়ারল্যান্ড

            আকাশ থেকে তোলা নদীর ধারে শহরের ছবি (© শাটারস্টকডটকম)
            আকাশ থেকে তোলা আয়ারল্যান্ডের ব্যারো নদীর তীরে কাউন্টি ওয়েক্সফোর্ড এর নিউ রস শহর যার সীমান্ত কাউন্টি কিলকেনির সঙ্গে রয়েছে। (© শাটারস্টকডটকম)

            এমনটা মনে করা হয় যে, আইরিশরা ৪ জুলাইকে অতোটাই কাছে টেনে নিয়েছে যতোটা আমেরিকানরা সেন্ট প্যাট্রিক ডে উদযাপন করে।

            আয়ারল্যান্ডে ৪ জুলাই উদযাপনের অন্যতম বৃহত্তম আয়োজনটি করা হয় নিউ রস শহরে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডির দাদা বড় হয়েছেন। এই শহরে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে কয়েকদিন ব্যাপী উৎসবের সূচনা করা হয় এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা ১৭৭৩ সালের বোস্টন টি পার্টির সেই ঘটনার অভিনয় উপভোগ করে। যেই ঘটনায় “প্রতিনিধিত্ব ছাড়া ট্যাক্স” এর প্রতিবাদে ব্রিটিশদের মালিকানাধীন চা বোস্টন হারবারে ফেলে দেয়া হয়েছিল।

            নরওয়ে

            উদ্যান ও মূর্তিসহ পাহাড় দেখা যায় (© হাই পেস্কিন/গেটি ইমেজ)
            অসলোর ফ্রোগনার পার্ক যেখানে বার্ষিক ৪ জুলাই আয়োজনে নরওয়েজিয়ান ও আমেরিকানদের বিশাল সমাবেশ ঘটে। (© হাই পেস্কিন/গেটি ইমেজ)

            নরওয়ের রাজধানী অসলো-তে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবছর ৪ জুলাই লাইভ মিউজিক, শোভাযাত্রা, আমেরিকান খাবার, বেসবল ও সফটবল গেমস এবং আতশবাজি প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ফ্রোগনার পার্কে। নরওয়ের আমেরিকান কোঅর্ডিনেটিং কাউন্সিল আয়োজিত জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও প্রবাসী আমেরিকানরা সমবেত হয়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন উপভোগ করে।

            এছাড়াও লিলস্ট্রেম শহরে যুক্তরাষ্ট্রের ভিনটেজ গাড়ির শোভাযাত্রা, লাইভ মিউজিক এবং আমেরিকান খাবারের আয়োজন করা হয়।  দেশটির দক্ষিণের জেলা শহর লিস্টারে প্রতি বছর জুনের শেষের দিকে চার দিন আমেরিকান উৎসব আয়োজন করে থাকে।

            অস্ট্রেলিয়া

            : সিডনি অপেরা হাউজ ও সিডনি হারবার ব্রিজের দৃশ্য (© শাটারস্টকডটকম)
            ২০১০ সালের ৪ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউস দেখা যাচ্ছে। (© শাটারস্টকডটকম)

            প্রবাসী আমেরিকানরা অস্ট্রেলিয়ানদের সাথে মিলে সিডনির মতো শহরগুলোতে প্রতিবছর ৪ জুলাই উদযাপন করে। সত্যি বলতে কী সিডনির ডার্লিং হারবার এলাকায় দক্ষিণ গোলার্ধের বৃহত্তম ৪ জুলাই উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষ লাল, সাদা ও নীল (যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া উভয় দেশের পতাকার রঙ) পোশাক পরে থাকে।

          • মানব পাচার বন্ধে একসঙ্গে কাজ করা 
            মানব পাচার বন্ধে একসঙ্গে কাজ করা 
            ছেঁড়া কাগজের দুই প্রান্তের মধ্যে থাকা চারটি মুখের ছবি (গ্রাফিক: স্টেট ডিপার্টমেন্ট/জে. মারুসজেউস্কি। ছবি: © মাইকেল হল/দ্য ইমেজ ব্যাংক, © ফিজকেস/আইস্টক, © ১২৩ডুকু/ই+, © ঝুরিজেটা/আইস্টক, সবগুলো ছবি গেটি ইমেজেস এর পাওয়া গিয়েছে) 

            মানব পাচার বন্ধ করতে সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থায় জোরপূর্বক শ্রমের ব্যবহার বন্ধ করতে সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে অংশীদারিত্বের পাশাপাশি শ্রমিক ও কর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের  পুনর্বাসনে সহায়তাকারীদের সম্মিলিতভাবে সক্রিয় প্রচেষ্টা ও অংশগ্রহণের দরকার রয়েছে। 

            “যুক্তরাষ্ট্র মানব পাচার প্রতিরোধে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কারণ এটি মানবাধিকার ও মানুষের স্বাধীনতার পরিপন্থি,” আমেরিকার স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত ১৫ জুন ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ২০২৩ সালের মানব পাচার বিষয়ক প্রতিবেদন ট্রাফিকিং ইন পারসন এর মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে এই কথা বলেছেন। 

            তিনি আরো বলেছেন, “এটি এমন একটি সমস্যা যা জটিল ও প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের সবাইকে এর মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে।” 

            প্রতিবেদন থেকে দেখা যায় যে দেশগুলোতে সরকার ও অন্যান্যরা সহযোগিতার ভিত্তিতে একত্রিতভাবে কাজ করছে তারা বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষের অধিকার অস্বীকার ও অধিকার হরণ করার মতো অপরাধকে ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারছে।  

            ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে অপরাধীদের বিচার এবং প্রতিরোধ ও সুরক্ষা বিষয়ক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মানব পাচার মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৮৮টি দেশ ও অঞ্চলের কার্যক্রম ও প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করা হয়েছে। 

            প্রতিবেদনে মানব পাচার প্রতিরোধের সফল প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: 

            • উত্তর মেসিডোনিয়ার সমাজকর্মী, মনোস্তত্ববিদ/মনোবিজ্ঞানী, আইন প্রয়োগকারী ও অন্যান্যদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের শনাক্ত করা ও সহায়তা দেয়া। 
            • সেশেলসে পুলিশ উন্নত প্রশিক্ষণ পাওয়ায় তাদের পক্ষে পাচার চিহ্নিত করা সহজতর হয়েছে এবং যার ফলশ্রুতিতে তারা এই ধরনের কার্যক্রমে জড়িত রেকর্ড সংখ্যক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পেরেছে। 
            • যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো গোপনীয়তা রক্ষা করে জাতিসংঘের অভিবাসন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম-এর মানব পাচার সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করার জন্য কাজ করছে।  

            স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদনে মানব পাচার বন্ধে সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আটজনকে “হিরো” হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম মানব পাচার বন্ধের লড়াইয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। 

            সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন গত ১৫ জুনের অনুষ্ঠানে “হিরো” বা বীরদের সম্মানিত করেন। তাদের অনেকেই স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইন্টারন্যাশনাল ভিজিটর লিডারশিপ প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ও মিয়ামিতে সম ধরনের কাজে নিয়োজিতদের সাথে সাক্ষাত করেন। 

            ব্রাজিল 

             পুরেজা লোপেস লয়োলা (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)
            পুরেজা লোপেস লয়োলা (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)

             পুরেজা লোপেস লয়োলা তার ছেলের অনুসন্ধান শুরু করলে ব্রাজিলে শোষণ ও দাসত্বের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী মানুষের প্রতিবাদ শুরু হয় এবং তখন, ১৯৯৫ সালে ব্রাজিলের সরকার এই ধরনের বিষয়গুলো দেখার জন্য “মোবাইল ইন্সপেকশন গ্রুপ” গঠন করে। এই গ্রুপ থেকে শ্রম শোষণ ও পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সমর্থনে কাজ করার জন্য ফেডারেল পুলিশ এবং প্রসিকিউটরদের আহ্বান জানানো হয় । 

            লোপেস লয়োলা ক্যামেরা এবং অডিও রেকর্ডার ব্যবহার করে আমাজনের অরণ্যে নিয়োগকর্তারা কীভাবে নথি ও কাগজপত্র তৈরি করে, ঋণ দিয়ে এবং হুমকি ও সহিংসতার মাধ্যমে শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করছে এবং তাদেরকে শোষণমূলক   
            পরিস্থিতিতে কাজ করতে বাধ্য করছে সেই পরিস্থিতি তুলে ধরেন। 

            কম্বোডিয়া 

             মেচ দারা (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)
            মেচ দারা (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)

            কম্বোডিয়ার সরকার “ভয়েস অফ ডেমোক্রেসি” সংবাদ মাধ্যমটি বন্ধ করে দেয়ার পরেও সাংবাদিক মেচ দারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনীতি, মানব পাচার এবং শোষণ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ অব্যাহত রেখেছেন। মানব পাচার নিয়ে তার অনুসন্ধানীমূলক লেখালেখি মানব পাচারের সাথে বিশ্বব্যাপী সাইবার স্ক্যামের যুক্ত থাকার বিষয়টির প্রতি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করার পাশাপাশি কম্বোডিয়ার সরকারের পাচার বিরোধী প্রচেষ্টা জোরদার করতে ভূমিকা পালন করেছে। 

            ইরাক 

             ইমান আলী আব্দুল আব্বাস আল-সাইলাউ এবং বাসিম আল-আমরি (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)
            ইমান আলী আব্দুল আব্বাস আল-সাইলাউ এবং বাসিম আল-আমরি (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)

             

            ইমান আলী আব্দুল আব্বাস আল-সাইলাউ এবং বাসিম আল-আমরি ২০০৩ সাল থেকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত অভিবাসী শ্রমিকদের আশ্রয় দেয়া শুরু করেন। 

            তাদের সংস্থা মাসের (বাংলা অর্থ ভাগ্য) বর্তমানে শিশু শ্রমের শিকার ও পূর্বে আইএসআইএস এর দাসত্বের শিকার হয়েছিল এমন ব্যক্তিদের সহায়তা দিচ্ছে। তারা কয়েক ডজন দেশের শত শত মানুষকে সহায়তা করেছে। 

            নাইজেরিয়া 

            আর. ইভন বেনসন-আইদাহোসা (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)
            আর. ইভন বেনসন-আইদাহোসা (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)

            আর. ইভন বেনসন-আইদাহোসা তার পাথফাইন্ডার জাস্টিজ ইনিশিয়েটিভ সংস্থার মাধ্যমে ৩,০০০ এরও বেশি নারী ও মেয়েশিশুদের সুরক্ষা সেবা দিয়েছে। সাব-সাহারান আফ্রিকায় মানব পাচার এবং নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বেনসন-আইদাহোসা সরকার ও সংস্থাগুলোকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং পাচারকারীদের নিয়ে তার যুগান্তকারী গবেষণা রয়েছে। তার গবেষণার সূত্র ধরে নাইজেরিয়ার সরকার পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন সেবা প্রদানকারী পুলিশ, প্রসিকিউটর এবং বিচারকদের কাজের জন্য নাইজেরিয়ার জাতীয় গাইডলাইন তৈরি করেছে। 

            পাকিস্তান 

            জহির আহমেদ (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)
            জহির আহমেদ (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)

            জহির আহমেদ পাকিস্তান সরকারকে পাচার বিরোধী আইন আধুনিকীকরণ এবং মানব পাচার ও অভিবাসী চোরাচালান প্রতিরোধে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করেছেন। 

            আহমেদ পাকিস্তানের পুলিশ সার্ভিস এবং ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) মানব পাচার বিরোধী ইউনিটে উচ্চপদে কাজ করেন। তার নেতৃত্বে এফআইএ কর্তৃক পাচারকারী গ্রেফতার এবং তাদের বিচার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। 

            পেরু 

             পাওলা হিটসার (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)
            পাওলা হিটসার (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)

            পেরুর পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসের পাওলা হিটসার পেরুর ন্যাশনাল পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার মাধ্যমে লরেটো অঞ্চলে মানব পাচারের তদন্ত কার্যক্রমকে উন্নত করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র-পেরু চাইল্ড প্রোটেকশন কমপ্যাক্ট পার্টনারশিপ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার পাশাপাশি পুলিশ কর্তৃক পাচারের শিকার ভিকটিম শিশুদের সাক্ষাতকার নেওয়ার প্রক্রিয়াকে উন্নত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছেন। 

            ভেনেজুয়েলা 

            ইউমেলিস মোয়া গোইত্তে (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) 
            ইউমেলিস মোয়া গোইত্তে (স্টেট ডিপার্টমেন্ট)

            ইউমেলিস মোয়া গোইত্তে ভেনেজুয়েলার ওরিনোকো মাইনিং আর্কে মানব পাচার বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান করছেন। গায়ানার ইউনিভার্সিডাড ক্যাটোলিকা আন্দ্রেস বেলো (ইউসিএভি)-এর মানবাধিকার বিষয়ক অফিসের সমন্বয়কারী হিসেবে মোয়া গোইত্তে আদিবাসী এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত নির্যাতন ও অপব্যবহারের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করছেন। তার পাচার বিরোধী কর্মকান্ড আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ করেছে। 

            “আমরা আপনাদের অংশীদারিত্ব, দক্ষতার সহভাগিতা, ধারনার বিনিময় করার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই,” উল্লেখ করে ব্লিঙ্কেন সম্মাননা অনুষ্ঠানে বলেন যে, “যুক্তরাষ্ট্র মানব পাচার বন্ধ করতে সবসময় আপনাদের পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” 

             

          • ২০২৩ সালের বিশেষ  অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড গেমসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াবিদরা
            ২০২৩ সালের বিশেষ অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড গেমসে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াবিদরা
            একজন নারী গলফ খেলছেন (© স্পেশাল অলিম্পিকস)

            এই গ্রীষ্মে, বার্লিনের বিশেষ অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড গেমসে যুক্তরাষ্ট্রের ৯৫ জন ক্রীড়াবিদ ১৪টি খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ।

            বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশের ৭,০০০ জনেরও বেশি বিশেষ অলিম্পিক ক্রীড়াবিদদের সাথে যোগ দেবেন তারা।

            এবারের গেমস অনুষ্ঠিত হবে ১৭ থেকে ২৫ জুন। এবছর এটাই হবে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক ক্রীড়ার  আসর। একবছর গ্রীষ্মকালীন ও পরবর্তী বছর শীতকালীন খেলা, এভাবেই পর্যায়ক্রমে দুই বছর অন্তর এই  খেলার আসর জমে।

            আমেরিকার মানবহিতৈষী ইউনিস কেনেডি শ্রিভার  ১৯৬৮ সালে এই গেমস প্রবর্তন করেন। যার মাধ্যমে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বয়স্ক ও শিশুদের জন্য অলিম্পিকের মতো খেলাধুলার বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেন তিনি ।

            এ বছর বার্লিনে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া কয়েকজন আমেরিকান ক্রীড়াবিদ সম্পর্কে জানুন।

            গ্রেস অ্যান ব্রাক্সটন

            গলফ মাঠে একজন নারী উল্লাস করছেন (© স্পেশাল অলিম্পিকস)
            গ্রেস অ্যান ব্রাক্সটন (© স্পেশাল অলিম্পিকস)

            যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ গোল্ড অ্যাসোসিয়েশনের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাক্সটনকে ২০২২ সালে ভার্জিনিয়া গলফ হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল৷ ভার্জিনিয়ার ফ্রেডেরিকসবার্গের বাসিন্দা ব্রাক্সটন আলপাইন স্কিইং, অ্যাথলেটিক্স, বাস্কেটবল, ফ্লোর হকি, গলফ, স্পিড স্কেটিং, সাঁতার ও ভলিবল প্রতিযোগী হিসেবে গত ৩০ বছর ধরে বিশেষ অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন।

            জিনা গ্রান্ট

            একজন নারী সুইমিংপুলে সাঁতারাচ্ছেন (© স্পেশাল অলিম্পিকস)
            জিনা গ্রান্ট (© স্পেশাল অলিম্পিকস)

            ফ্লোরিডার পেমব্রোক পাইনসের সাঁতারু জিনা গ্রান্ট ২০১৯ সালে আবুধাবীতে অনুষ্ঠিত বিশেষ অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড গেমসে ১৫০০ মিটার ওপেন ওয়াটার সুইমিংয়ে রৌপ্য পদক অর্জন করেছিলেন। এরপর তিনি ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশেষ অলিম্পিকস ইউএসএ গেমসে দুটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। এবার তিনি ওপেন ওয়াটার সুইমিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করবেন । সাবেক অলিম্পিয়ান মাইকেল ফেলপস তার অনুপ্রেরণা।

            ভার্জিনিয়া “ক্যালি” লী

            এক নারী জিমনেসিয়ামে ভার উত্তোলন করছে (© "ক্যালি" লী)
            ভার্জিনিয়া “ক্যালি” লী (© স্পেশাল অলিম্পিকস)

            ভার্জিনিয়া “ক্যালি” লী বিশেষ অলিম্পিক ইউএসএ-তে অংশগ্রহণকারী দুজন নারী ভার উত্তোলনকারীদের একজন। বিশেষ অলিম্পিক ইউএসএ-তে প্রায় ৩০ বছর ধরে অ্যাথলেটিক্স, বোকসে, বোলিং এবং ভার উত্তোলনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর হাওয়াইয়ের বাসিন্দা ভার্জিনিয়া “ক্যালি” লী বার্লিনে প্রথমবারের মতো বিশেষ অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড গেমসে অংশ নিচ্ছেন।

            গ্যাব্রিয়েলা এবং জুলিয়ানা মার্টিন

            বিশেষ অলিম্পিকস চিহ্নের নিচে দুই বোন বসে আছে (© স্পেশাল অলিম্পিকস)
            গ্যাব্রিয়েলা এবং জুলিয়ানা মার্টিন(© স্পেশাল অলিম্পিকস)

            ডেনভারের টেনিস খেলোয়াড় দুই বোন তাদের ওয়ার্ল্ড গেমসের অভিষেকে ইউনিফাইড স্পোর্টস ডাবলস দল হিসেবে খেলবে। ইউনিফাইড স্পোর্টস প্রতিযোগিতায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এবং অ-প্রতিবন্ধী দুইজন খেলোয়াড় জুটি তৈরি করতে পারেন। গ্যাব্রিয়েল মার্টিন বিশেষ অলিম্পিকস ইউএসএ ক্রীড়াবিদ, যিনি বিগত ১৬ বছর ধরে বিশেষ অলিম্পিকিসে বোলিং, ফুটবল, সাঁতার, টেনিস ও ভলিবল খেলায় অংশ নিচ্ছেন। জুলিয়ানা মার্টিন গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে জুটি হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন । স্পেশাল অলিম্পিকসে যুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করার জন্য বোনকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি ।

            শন ও’রোর্ক

            এক ব্যক্তি ঘরের মধ্যে বাইসাইকেল নিয়ে কাজ করছে (© স্পেশাল অলিম্পিকস)
            শন ও’রোর্ক (© স্পেশাল অলিম্পিকস)

            নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের বাসিন্দা শন ও’রোর্ক  সাইক্লিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করবেন। ও’রোর্ক এর আগে ২০০৩ সালে ডাবলিনে অনুষ্ঠিত বিশেষ অলিম্পিক গেমসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ও’রোর্ক স্পেশাল অলিম্পিকস ছাড়াও আয়রনম্যান লেক প্লাসিড ট্রায়াথলন ১৪ ঘণ্টায় শেষ করেছেন এবং আরো দুটি অর্ধ-আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

          • ধর্মীয় স্বাধীনতার সুরক্ষাকারীদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র
            ধর্মীয় স্বাধীনতার সুরক্ষাকারীদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র
            সমুদ্র সৈকতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী মানুষেরা (© আন্তোনেলো ভেনেরি/এএফপি/গেটি ইমেজেস)

            ধর্মীয় স্বাধীনতা একটি সার্বজনীন মানবাধিকার। এই মৌলিক স্বাধীনতা সুরক্ষাকারীদের সহায়তায় প্রতি বছর আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র।

            গত ১৫ মে, সেক্রেটারি অফ স্টেট, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক প্রতিবেদন ২০২২ প্রকাশ করেন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতাকে এগিয়ে নিতে যারা প্রায়শই বড় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন, তাদের সাধুবাদ জানান।

            ব্লিঙ্কেন বলেন, “বিশ্বজুড়ে আমাদের সুশীল সমাজের অংশীদার যারা বিভিন্ন নিপীড়নের ঘটনা তুলে ধরেন এবং ধর্মভিত্তিক নিগ্রহের শিকার হওয়া মানুষের পক্ষে জনমত গঠন করেন তাদের অবদান  ছাড়া এ প্রতিবেদন সম্ভব নয়। তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

            আমেরিকার অন্যতম প্রধান মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক আইনে প্রতিষ্ঠিত মৌলিক স্বাধীনতা তথা ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতাকে এগিয়ে নিতে আমাদের অন্যতম প্রধান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আজ আমি @IRF_রাষ্ট্রদূত হুসেইনের সাথে যোগ দিয়েছিলাম।

            আমেরিকার অন্যতম প্রধান মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক আইনে প্রতিষ্ঠিত মৌলিক স্বাধীনতা তথা ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতাকে এগিয়ে নিতে আমাদের অন্যতম প্রধান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আজ আমি @IRF_রাষ্ট্রদূত হুসেইনের সাথে যোগ দিয়েছিলাম।

            স্বাধীনতা সুরক্ষা

            তিনি উইঘুরদের পক্ষে প্রচার, উইঘুর মানবাধিকার প্রকল্প ও জনমত গঠনকারী বিভিন্ন দল, যারা জিনজিয়াংয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন কর্তৃক প্রধানত মুসলমান জনগোষ্ঠী উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধ নথিভুক্ত করে থাকে, তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন ।

            বার্মাতে মূলত মুসলিম সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর সামরিক জান্তার চলমান দমন-পীড়ন সত্ত্বেও সকল ধর্মের হাজার হাজার শিক্ষক মানবাধিকার ও মূল্যবোধ শেখানো অব্যাহত রেখেছেন।

            ব্লিঙ্কেন নিকারাগুয়ার নির্বাসিত আইনজীবী মার্থা প্যাট্রিশিয়া মোলিনা মন্টিনিগ্রোর সাহসিকতার প্রশংসা করেন। সেখানকার ওর্তেগা-মুরিলো শাসকগোষ্ঠী ক্যাথলিক গির্জা ও এর সমর্থকদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। ২০২২ সালে মোলিনা মন্টেনিগ্রো ক্যাথলিক গির্জা ও এর সমর্থকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপবিত্রকরণ ও অন্যায় গ্রেপ্তারসহ ১৬০টিরও বেশি আক্রমণের ঘটনা প্রকাশ করেছেন।

            গির্জায় ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তির সামনে প্রার্থনারত মানুষেরা (© অসেয়াল্ডো রিভাস/এএফপি/গেটি ইমেজেস)
            নিকারাগুয়ার ম্যানাগুয়ার মেট্রোপলিটন গির্জায় ৩১ জুলাই ২০২০-এ আগুনে পুড়ে যাওয়া “সাংগ্রে দে ক্রিস্টো” নামের চিত্রের সামনে এক ক্যাথলিক পুরোহিত প্রার্থনা পরিচালনা করছেন। আগস্ট ২০২২ (© অসেয়াল্ডো রিভাস/এএফপি/গেটি ইমেজেস)

            বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রায় ২০০টি দেশ ও ভূখণ্ডের ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থার ব্যাপক পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন ও অপব্যবহারের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক বা সামাজিক কর্মকাণ্ডও নথিভুক্ত হয়। প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়াদিও অন্তর্ভুক্ত হয়।

            সুরক্ষা সম্প্রসারণ

            ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষায় যেসব দেশ ২০২২ সালে পদক্ষেপ নিয়েছে সেসব দেশকেই ২০২২ সালের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে:

            • আদিবাসী ও আফ্রো-ব্রাজিলীয় ধর্মীয় সম্প্রদায়কে ধর্মীয় ও জাতিগত অসহিষ্ণুতা থেকে সুরক্ষায় ব্রাজিল কর্তৃক আইন পাস।
            • বেলজিয়াম কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির বৌদ্ধ সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতার স্বীকৃতি এবং এর সম্প্রসারণ।
            • সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে ২০০৩ সালে অভ্যুত্থানের পর থেকে বিশেষ ফৌজদারি আদালত কর্তৃক বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ধর্ম-ভিত্তিক সহিংসতা ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলার বিচার।

            ব্লিঙ্কেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে এসকল সাহসী জনমত গঠনকারীদের পাশে দাঁড়ানো ও সমর্থন প্রদান অব্যাহত রাখবে। যেসব দেশে এসব অধিকার আক্রমণের মুখে পড়েছে সেখানেই সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে উন্মুক্ত ও সরাসরি উভয়ভাবেই আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠন অব্যাহত রাখবো।”

মাইগ্রেশন এন্ড রিফুইজি অ্যাসিসটেন্স

হোম হোম | খবর ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান | মাইগ্রেশন এন্ড রিফুইজি অ্যাসিসটেন্স
Great Seal of the United States

নতুন মানবিক ও স্বাস্থ্য সহায়তা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব আরো সুদৃঢ় করবে

বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আমেরিকান জনগণের অতুলনীয় উদারতা ও নিঃস্বার্থপরতা উদাহরণ হয়ে থাকবে। আরও পড়ুন»

মাধ্যমে U.S. Embassy Dhaka | 15 জুলাই, 2020 | বিষয়সমূহ: প্রেস বিজ্ঞপ্তি, যুক্তরাষ্ট্র ও (বাংলাদেশ) | ট্যাগ: ইউএসএআইডি, কোভিড-১৯, মাইগ্রেশন এন্ড রিফুইজি অ্যাসিসটেন্স, মানবিক সহায়তা, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, স্বাস্থ্য সহায়তা

আরও দেখাও ∨

ফিল্টার

বিষয়বস্তুর ধরন:

বিষয়সমূহ

  • অনুষ্ঠান-আয়োজন
  • অফিসিয়াল রিপোর্ট
  • অর্থনৈতিক বিষয়সমূহ
  • অ্যালামনাই
  • আমেরিকান স্পেসেস
  • ইউরোপ ও ইউরেশিয়া
  • ইতিহাস
  • ইমিগ্রেশন ভিসা
  • ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  • কনসাল জেনারেল
  • কনস্যুলার বিষয়সমূহ
  • কৃষি
  • খবর
  • জরুরি সেবা
  • ডেপুটি চিফ অব মিশন
  • দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া
  • দূতাবাস
  • নন ইমিগ্র্যান্ট ভিসা
  • নিরাপত্তা ও জরুরি বার্তা
  • পরিবেশ
  • পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল
  • প্রতিবেদনসমূহ
  • প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  • বাণিজ্য
  • বাণিজ্যিক বিষয়সমূহ
  • বাণিজ্যিক সুযোগসমূহ
  • বিজ্ঞপ্তি
  • ব্যবসাবাণিজ্য
  • ভাষণসমূহ
  • ভিসা
  • ভিসা অব্যাহতি কর্মসূচি
  • মানবাধিকার
  • যুক্তরাষ্ট্র ও (বাংলাদেশ)
  • যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংস্থাগুলো
  • যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা
  • যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করা
  • যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য বার্তা
  • যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য সেবা
  • যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট
  • রাষ্ট্রদূত
  • শিক্ষা
  • শিল্প ও সংস্কৃতি
  • সতর্কতা
  • স্কলারশিপস ও এক্সচেঞ্জসমূহ
আরও দেখাও ∨

সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

  • বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ

  • বার্মা, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ১১ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার প্রদানের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

  • যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির সপ্তম কাউন্সিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে

  • Ambassador Haas inaugurated new American Corner in Rajshahi

    রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নতুন স্থানে স্থাপিত ‘আমেরিকান কর্নার রাজশাহী’-র উদ্বোধন করেন

  • সংসদে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিবৃতি

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস

  • ভিসাসমূহ
  • যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য সেবা
  • আমাদের সম্পর্ক
  • ব্যবসা-বাণিজ্য
  • শিক্ষা ও সংস্কৃতি
  • দূতাবাস
  • খবর ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান
  • গোপনীয়তা
  • সাইটম্যাপ

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকা
মাদানি অ্যাভিনিউ, বারিধারা,
ঢাকা-১২১২
বাংলাদেশ
টেলিফোন: (৮৮০) (২) ৫৫৬৬-২০০০
TwitterFacebookYouTubeFlickr

Footer Disclaimer – BN

এটি হচ্ছে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। এখান থেকে বাইরের কোনও ওয়েবসাইটে যাওয়া লিংকগুলোকে সেখানকার মতামত বা গোপনীয়তা বিষয়ক নীতির প্রতি অনুমোদন হিসেবে দেখা যাবে না।

American Flag