ইউএসএআইডি-র ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক গ্লোরিয়া স্টিলের বিবৃতি ইউএসএআইডি বার্মার সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ৪২ মিলিয়ন ডলার প্রত্যাহার করে পুনঃবন্টনের নির্দেশ দিয়েছে
অবিলম্বে প্রকাশ করার জন্য
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
অফিস অফ প্রেস রিলেশনস
press@usaid.gov
ইউএসএআইডি কয়েক দশক ধরে শান্তি, গণতন্ত্র ও মুক্তির সংগ্রামে বার্মার জনগণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এর চেয়ে কম কিছু তাদের প্রাপ্য নয়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বার্মিজ সামরিক বাহিনীর ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানকে “দেশেরগণতন্ত্র ও আইনের শাসনে ফিরে যাওয়ার উপর সরাসরি আক্রমণ” হিসেবে অভিহিত করেছেন। বার্মার জনগণ সামরিক বাহিনীর কারণে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই সংগ্রাম করে আসছে এবং অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে, তাদের সেই অগ্রগতি এভাবে অগণতান্ত্রিক উপায়ে মুছে ফেলার জন্য নয়।
বার্মিজ সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দৃঢ় অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএসএআইডি বার্মায় আমাদের সহায়তার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেছে। ফলশ্রুতিতে, ইউএসএআইডি বার্মার সরকারের জন্য বরাদ্দকৃত ৪২.৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাহার করে পুনঃবন্টনের নির্দেশ দিয়েছে। এই তহবিল সামরিক বাহিনীকে সহায়তা হিসেবে দেয়ার পরিবর্তে আমরা সে দেশের নাগরিক সমাজকে শক্তিশালী করার জন্য তাদেরকে দেব।
ইউএসএআইডি দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচির প্রায় ৬৯ মিলিয়ন ডলার দিয়ে বার্মার জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। বিশেষভাবে, আমরা কোভিড-১৯ মোকাবেলা করা সহ বার্মার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা বজায় রাখতে ও উন্নত করতে কাজ চালিয়ে যাব এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করা, স্বাধীন গণমাধ্যমকে সমর্থন এবং সংঘাতময় অঞ্চলে শান্তি ও পুনর্মিলনের জন্য নাগরিক সমাজের দক্ষতা জোরদার করার জন্য কাজ করা অব্যাহত রাখব। এছাড়া ও চিন, কাচিন, রাখাইন ও শান রাজ্য গুলোর পাশাপাশি এই অঞ্চলের রোহিঙ্গা ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য ও যুক্তরাষ্ট্র জীবন-রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে। আমরা বার্মা ও বাংলাদেশের আঞ্চলিক সঙ্কটে মানবিক সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে বৃহত্তম দাতা সংস্থা। ২০২০ অর্থ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ৪৬৯ মিলিয়নের ও বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছিল। এর ফলে সর্বশেষ ২০১৭ সালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বার্মার অভ্যন্তরে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের শরনার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমাণ প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
বার্মার জনগণের জন্য ইউএসএআইডি-র সহায়তা করা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা সম্মিলিত ভাবে আরো বেশি গণতান্ত্রিক, দায়বদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তি মূলক সমাজ গঠনে কাজ করতে পারব।