একসাথে দাঁড়ান: নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ১৬ দিনের কর্মসূচী
২৫শে নভেম্বর, ২০১৭
এইচ.ই. মিজ. মার্শিয়া বার্নিকাট, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত;
এইচ.ই. মিজ. লিওনি মারগারেথা কুলেনারে, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত;
এইচ.ই. মিজ. এলিসন ব্লেইক, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত;
এইচ.ই. মিজ.পামপিমন সুয়ানাপোনে, রাষ্ট্রদূত, রয়েল থাই দূতাবাস;
এইচ.ই. মিজ. জুলিয়া নিব্লেট, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার;
এইচ.ই. মিস্টার মিকায়েল হেমনিতি উইনথার, বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত
এইচ.ই. মিজ. সিডসেল ব্লেকেন, বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত ;
এইচ.ই. মিস্টার রেনে হোলেসটাইন, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত
এইচ.ই. মিজ.শারলোটা স্লাইটার, বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত;
এইচ.ই. মিজ. রেনশে টিয়েরিনক, বাংলাদেশে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত
এইচ.ই. মিস্টার বেনওয়া ফনটেইন, বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাই কমিশনার
এইচ.ই. মিস্টার জাও তাবাইয়ারা দে ওলেভেরা জুনিয়র, ঢাকায় ব্রাজিলিয়ান রাষ্ট্রদূত
মিজ মিয়া সেপো, বাংলাদেশে ইউএন রেসিডেন্ট কো–অর্ডিনেটর
মিস্টার ইওরি কাতো, কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)
মিজ. শোকো ইশিকাওয়া, কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, ইউএন উইমেন বাংলাদেশ;
মিজ. ইয়ানিনা জারুযেলস্কি, মিশন প্রধান যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা(ইউএসএআইডি);
মিজ.ক্রিস্টা রাডার প্রতিনিধি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
আমরা একত্রিত হয়ে যে সকল নারী সহিংসতার শিকার হয়েছেন তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি; আমরা সেই সকল নারী, মেয়ে ও বন্ধুদের পাশে দাঁড়াচ্ছি যারা সাহসের সঙ্গে হয়রানি, ধর্ষণ ওপারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে এবং আমরা যাদের সোচ্চার প্রতিবাদের সুযোগনেই, যারা লজ্জিত বোধ করছে এবং বাকি যারা নীরবে থাকতে বাধ্য হচ্ছে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছি।
আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বেকে, নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধেএকত্রে দাঁড়াতে।
আমরা বাংলাদেশের সাথে একসাথে দাঁড়িয়েছি। নারীর প্রতি সহিংসতার হার বাংলাদেশে অনেকবেশি, কিন্তু এটা এমন একটা বিষয় যা আমাদের নিজেদের দেশ এবং সারা বিশ্বের সম্প্রদায়েব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
আমরা এক হয়ে বলতে চাই যে বাংলাদেশে শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই ৬০০ এর বেশি ধর্ষণের ঘটনাঘটেছে – ৬০০ অনেক বড় একটি সংখ্যা।
আমরা আলোকপাত করতে চাই ৭০ শতাংশ সহিংসতার ঘটনার উপর যা কখনো রিপোর্ট হয়না। যেনারী এবং মেয়েরা উপেক্ষিত, নিশ্চুপ, হুমকিপ্রাপ্ত অথবা লজ্জিত তাদেরকে আমরা শুনছি এবংদেখছি। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরকে আহ্বান জানাচ্ছি বিচারব্যবস্থাকে আরো সাড়াদায়ক এবং ভুক্তভোগীদের জন্য আরো সমর্থনযোগ্য করতে।
আমরা একত্র হয়ে এই দাবি জানাই যে বাংলাদেশের সব স্কুল হয়রানি-মুক্ত হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া৭৬ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হয় যাদের একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস ও শ্রেণীকক্ষ প্রাপ্য।
আমরা আমাদের তৃতীয় লিঙ্গের বন্ধুদের সাথে একসাথে দাঁড়াচ্ছি যারা তাদের পরিবার দ্বারাঅবহেলিত এবং গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে, বৈষম্য এবং সহিংসতার শিকার হচ্ছে। আপনারা জেনেরাখুন যে আপনারা সম্মানিত, প্রশংসিত ও ভালোবাসার যোগ্য।
নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা একটি অপরাধ। এটা নৈতিকতা, আইন ও ধর্মীয় মানদন্ড লঙ্ঘনকরে। এটা আমাদের যুক্তি এবং চেতনাকে আঘাত করে। যেহেতু নারীর প্রতি সহিংসতা অসহনীয়,আমরা সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ১৬ দিনের এই কর্মসূচীতে আমাদেরসাথে যোগ দিন।
এই কর্মসূচী প্রতি বছর নভেম্বরের ২৫ থেকে ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দিনের জন্য করা হয় এটা মনেকরিয়ে দিতে যে বছরের প্রতিটি দিন নারী এবং মেয়েরা সহিংসতার শিকার হয়। ষোল দিনের এইকর্মসূচীর সময় মনে রাখা জরুরী যে প্রতিটি ব্যক্তি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে একজন সোচ্চার কর্মীহতে পারে, হয়ে উঠতে পারে পরিবর্তনের দূত।
সকল বাবা, পুত্র, ভাই এবং স্বামী; সকল শিক্ষক এবং পরামর্শদাতা; সকল ধর্মীয় নেতাদের, পুলিশকর্মকর্তাদের, সৈন্যগণ, বিচারকরা এবং রাজনীতিবিদরা; সকল কর্মী এবং মিত্র; সবাই নারীর প্রতিসহিংসতার বিরুদ্ধে এক হয়ে দাঁড়ান।
আমরা আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি নারী ও মেয়েদের প্রতি যে কোন ধরণের সহিংসতার বিরুদ্ধেনিন্দা জানাতে। আমরা আপনাদের একসাথে এবং প্রতিশ্রুতবদ্ধ হয়ে স্কুল, বাসা, ও কর্মক্ষেত্রসহিংসতামুক্ত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আপনাদের আহ্বান জানাই যে কোন সহিংসতারবিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে। আমরা আপনাদের একত্রিত হতে বলছি এবং আপনাদের পরিচিত সব নারীও মেয়েদের এই বার্তা পৌঁছে দিবেন যে আপনারা নারীর প্রতি সহিংসতা সহ্য করবেন না।
আমাদের সাথে যোগ দিয়ে সবাই পরিবর্তনের দূত হয়ে উঠুন।
Full op-ed in English (PDF 144 KB)
Full op-ed in Bangla (PDF 672 KB)
