প্রেক্ষাপট ব্রিফিং
প্রেস করেসপন্ডেটস রুম
ওয়াশিংটন, ডিসি
নভেম্বর ১৫, ২০১৯
সঞ্চালক: আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি…ইনি পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা…। সম্প্রতি দূরপ্রাচ্য সফর থেকে ফিরেছেন। প্রথমে তিনি কিছু কথা বলবেন এবং তারপর প্রশ্নোত্তর পর্বে যাবেন। এটি প্রেক্ষাপট হিসেবে ধরা হবে। পুরো বিষয়টি বলা হচ্ছে পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার তরফ থেকে, ঠিক আছে?
পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: আমরা কি এগুলো এখনই বিতরণ করবো, না আপনি চান…
স্টাফ: হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। আপনি যেমনটা চান…।
পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: উনি এগুলো বিতরণ করতে করতে জানিয়ে রাখি, আমি আজ পাঁচ মাস ধরে এ দায়িত্ব পালন করছি। ওই অঞ্চলে এটা আমার চার নম্বর সফর। কখনো কখনো সফরগুলোর পরিকল্পনা হয় ঘটনা বা কার্যকলাপের ভিত্তিতে (এ ঘটনায় যেমন পূর্ব এশীয় শীর্ষ সম্মেলন, জাপানের ‘ফুজি সংলাপ’ ও অন্য কিছু বিষয়) এবং অন্যান্য সময়ে তা হয় বৃহত্তর একটি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে গিয়ে উপস্থিতি জানান দেওয়া তথা কাজকর্ম করা।
[…..]
আমরা মিয়ানমারে (বার্মায়) প্রায় তিনদিনের মতো কাটাই। নেপিডোতে রাষ্ট্রীয় কাউন্সেলর অং সান সুচিসহ জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। আমি রাখাইন প্রদেশে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের একটি শিবিরে যাই এবং সরাসরি সেখানকার রোহিঙ্গাদের কথা শুনি। আমি রেঙ্গুনে বার্মার নাগরিক সমাজের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করি এবং আরও শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পথে বার্মার চলমান অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করি। এসব সাক্ষাতে আমি বার্মার গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের দীর্ঘ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। [….]
রাজধানী নেপিডোতে আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামনে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ এবং এগুলো কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার উপায় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছি। মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জন্য পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং বার্মার ভেতরে বাস্তুচ্যুত ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া উদ্বাস্তুদের নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। [….]
সঞ্চালক: ক্যারল…
প্রশ্ন: রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আরও ভালো আচরণ করা হবে এমন সুনির্দিষ্ট কোনো নিশ্চয়তা কি আপনারা বার্মা থেকে আনতে পেরেছেন? অথবা আপনারা এমন কিছু শুনেছেন যাতে করে আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে শুধু ভালো আচরণই না, এসব মানুষকে মানবিক ও অন্যান্য সহায়তা দিতে আপনারা অভিগম্যতা বাড়ানোর যে কথা বলছেন তার সুযোগও তারা দেবে?
পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা : আচ্ছা। দেখুন…আমার ধারণা আমি কূটনীতিটা বেশ ভালোই বুঝি। তবে ব্যাপার হচ্ছে কী, এটি এমন একটি সমস্যা যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আমরা অনেকদিন ধরে এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এটি হুট করেই মিটে যাবে না। অং সান সু চির সঙ্গে আমাদের বৈঠকের সময় তিনি খুবই আন্তরিক ছিলেন। আমাদের অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে যা ছিল বেশ কার্যকর। স্বাভাবিকভাবেই রাখাইন রাজ্য এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। সু চি আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাঁর – বার্মার দিক থেকে এ সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ চলছে। আমার মনে হয়, আমরা সকলেই এ বিষয়ে একমত যে, তাদের এ বিষয়ে আরও বেশি করা উচিত। প্রথমত পরিচয়পত্র ও নাগরিকত্বের বিষয় দুটো দেখা। এ ছাড়া রয়েছে সাত বছরের বেশি সময় ধরে আশ্রয় শিবিরে থাকা মানুষদের দুর্দশার বিষয়টি। এ সবগুলো বিষয়ের সুরাহা করতে হবে।
সুতরাং সহসাই…রাতারাতি এ সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। তবে আমি মনে করি, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিষয়টি নিয়মিতভাবে তুলে ধরাটা গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আমরা এটাই করেছি। সু’চি আমার বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। আমরা এখন এগিয়ে যাবো। এ নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবো।
সঞ্চালক: শ্যন।
প্রশ্ন: আমি এ বিষয়েই প্রশ্ন করতে চাই। গতকালের খবর, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করছে। আর্জেন্টিনায়ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবনা কী? যুক্তরাষ্ট্র কি মনে করে এটি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার একটি কার্যকর উপায় হতে পারে?
পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: আমি বলবো এটি মাত্র গত রাতের খবর। জাম্বিয়া, তারপরে – বেসিন – ওআইসি এর জন্য চাপ দিচ্ছে। আমি মনে করি, এই সমস্যাটি তুলে ধরার জন্য এবং এ নিয়ে এগোবার জন্য আমরা যা কিছুই করি তা কাজে আসবে। তো আমি মনে করি, সেই প্রক্রিয়াটি… আমি আইসিসিতে যাওয়াটা সঠিক উপায় কিনা তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। শুধু বলব, এই ইস্যুটি তুলে ধরা এবং নেপিডোর সরকারকে ব্যবস্থা নিতে চাপ দেওয়াটা জরুরি। আমি আশা করি, এ ধরনেরই আরেকটি ঘটনা শিনজিয়াংয়ের সংকটের দিকে একই রকম মনোযোগ দেওয়া হবে। সেখানেও একটি মুসলিম জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা শুধু মুসলমান হওয়ার জন্যই ভয়ানক রকমের দুর্দশার মধ্যে আছে। তাই এই সবগুলো বিষয়ের দিকেই মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
সঞ্চালক: কনর।
প্রশ্ন: আমার প্রশ্নও এই বিষয়টি নিয়েই। (মিয়ানমার) সরকার জবাবদিহির ক্ষেত্রে বা বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে অগ্রগতিতে সত্যিই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে অর্থনৈতিক সম্পর্কের দিকে কেন এগিয়ে যাচ্ছেন? কোন ধরনের – আপনি কি মনে করেন না এটি একটি ভুল বার্তা দিচ্ছে, যখন কিনা যুক্তরাষ্ট্রের বরং দেশটির সরকারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করাই উচিত- হয়তো অর্থনীতিকে একটা শর্ত হিসাবে ব্যবহার করে?
পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: আচ্ছা। আইডিপি ক্যাম্পগুলোতে (অভ্যন্তরীণভাবে উদ্বাস্তুদের শিবির) আমরা যেসব কথা শুনেছি তার একটা হচ্ছে, সেখানে চাকরি-বাকরির অভাব। তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তারা কেবল খাবার বা অন্যান্য সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকে। এটা একটা ভয়ঙ্কর জীবনযাপন। সুতরাং আমি বোঝাতে চাইছি যে, আপনি নানাভাবেই এখানে কাজ করতে পারেন। আমার কাছে মনে হয়, সেখানে কলকারখানা স্থাপন করে এক ধরনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটানো যায়। বার্মার নিজস্ব শিল্প বিকাশের মাধ্যমে বা বাইরে থেকে শিল্প এনে- যে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে উঠতে পারে। এর মাধ্যমে অন্তত কিছু কাজের বন্দোবস্ত হবে যা এসব মানুষের জীবনধারনের জন্য সহায়ক হতে পারে। যেখানে অর্থনৈতিক চাপ থাকে সেখানে অনেক সময় রাজনৈতিক চাপও দেখা দেয়। উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য আমরা যত বেশি করতে পারি ততই ভালো। তবে যেমনটি আমার বিবৃতিতে বলেছিলাম, এজন্য সামরিক বাহিনীকে অর্থনীতির বাইরে নিয়ে আসতে হবে এবং এটি এবং অবশ্যই রাজনৈতিক ব্যবস্থাকেও কার্যকর করতে হবে। আমরা এ অঞ্চলে যা দেখে অভ্যস্ত ছিলাম অনেকটা সে জায়গায় ফিরে যেতে হবে।
প্রশ্ন: আপনারা কী তাদের (বার্মা সরকার) কাছ থেকে এমন কোনও আশ্বাস পেয়েছেন যে তারা উত্তর রাখাইন রাজ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুমতি দেবে? ওখানে উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে সরকার। বা তারা কী বলেছে যে, সামরিক বাহিনীকে অর্থনীতি থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করবে? আপনি কীভাবে এই ধরনের বিষয়কে সহায়তা বা উন্নয়নের সঙ্গে শর্তযুক্ত করতে পারবেন?
প্রশ্ন: এই অর্থ যে যেজন্য বরাদ্দ তাতেই ব্যবহার করা হচ্ছে সে বিষয়ে আপনার ভরসা কতোটা?
পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: বিনিয়োগ সম্পর্কে ভালো বিষয়টি হলো এটি সরকারের পকেটে যায় না। ভবন নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতির পেছনে যায়। এর মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়। সুতরাং মনে হয় সরকারের কাছে সরাসরি অর্থ দেওয়ার পরিবর্তে মিয়ানমারে ব্যবসা ও শিল্প খাতে বিনিয়োগ করা একটা ভালো উপায়। আর প্রাকৃতিক সম্পদে মিয়ানমার খুবই সমৃদ্ধ। তারা সেখানে অনেক কিছু করতে পারে। তবে স্পষ্টতই এর জন্য একটি সুরক্ষিত ভিত্তি প্রয়োজন। আর এটি একটি উদ্বেগের বিষয়। তবে আবারও বলবো, সেখানে প্রচুর সুযোগ আছে। আমরা তাদের সাথে এ নিয়ে কাজ করার অপেক্ষা করছি। এ ব্যাপারে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যেমনটি বরাবরই বলা হয়েছে।
সঞ্চালক: আপনার নাম?
প্রশ্ন: সারা অ্যামপোলস্ক, কিয়োডো নিউজ। আমি আপনাকে জিএসওএমআইএ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে চাই। আপনি আগে কোরিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করেছিলেন। কোরীয়রা এখনও বলছে যে তারা চুক্তির বর্তমান মেয়াদ শেষে বেরিয়ে আসারই কথা ভাবছে। আমি জানি টোকিও আর সিওলে থাকাকালীন আপনি এ বিষয়ে অনেক কথা বলেছেন। তখন বা এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আর কোরীয়দের তরফে কোনো পরিবর্তন দেখেছেন? বিশেষত আজ সকালের সভায় এ নিয়ে কিছু হয়েছে? তারা কি আদৌ প্রভাবিত হয়েছে না কি, সত্যিই আপনাকে বলছে যে, ২২ তারিখের পর চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথাই ঠিক রয়েছে?
পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: আমি অবশ্যই এই প্রশ্নটি কোরীয় এবং জাপানিদের দিকে ঠেলে দেব। যেমনটি আমি আগেই বলেছি, এটি একটি দ্বিপক্ষীয় ইস্যু যা শুরু হয়েছিল কোরিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে। তারপরে এর বেশ কয়েকটি প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সাম্প্রতিকতম প্রতিক্রিয়াটি (এবং যাতে যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত) হচ্ছে জিএসওএমআইএ।
আমরা যা করছি তা হচ্ছে তাদের একসঙ্গে কাজ করতে উৎসাহিত করা। এ বিষয়ে মাঝখানে থেকে দূতিয়ালি করা… আপনারা জানেন, যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলে এসেছে এতে আমাদের কোনো লাভ নেই। এতে তাদেরও উপকার হবে না। তাদের একত্রে বসে আরও আলাপ-আলোচনা করা দরকার। তাদের নিজেদেরই এই বিষয়গুলোর সমাধান করতে হবে। এটাকে উৎসাহিত করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি- এসব আলোচনা এবং…
প্রশ্ন: কিন্তু আপনারা যে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকে উৎসাহিত করার জন্য কাজ করছেন, আপনার উদ্যোগের কোনো প্রতিফলন কী এ পর্যন্ত দেখতে পেয়েছেন?
পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: হ্যাঁ, দেখতে পাচ্ছি। মানে, বিষয়টি তুলে ধরতে আমি নৌ বাহিনীর একটি রূপক ব্যবহার করতে চাই: দীর্ঘ সময় ধরে জাহাজের সামনের দিকটি ডুবছিল। কিন্তু এখন সম্মুখভাগ আবার ওপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। জাপানের সম্রাটের সিংহাসনে বসার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কোরীয় প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফরের মধ্য দিয়ে এর সূচনা। তারপরে অতিসম্প্রতি, পূর্ব এশীয় শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছিল। ওই সাক্ষাতের যেসব ছবি দেখেছি তাতে নেতাদের ইতিবাচক ও হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে। তো এই হচ্ছে অবস্থা। কাজেই এখন যেটা দরকার তা হচ্ছে কেবল একটা সূচনা, ঠিক আছে? তাদের এখন এমন কিছু দরকার যা সম্পর্ককে আবার সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। তাই আমরা এই বিষয়ে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আমি আশাবাদী। তবে আমি যেমনটি বলেছিলাম, আমি সম্ভবত বিষয়টির সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ। তাই আমি তাদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব।