ইউএসএআইডি বাংলাদেশে নতুন ক্লিন এনার্জি প্রকল্প চালু করেছে: বাংলাদেশ অ্যাডভান্সিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গ্রোথ থ্রু এনার্জি (ব্যাজ)

পাঁচ বছর মেয়াদী ১৭ মিলিয়ন ডলারের এই ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার বাড়াতে এবং স্বচ্ছ ও দক্ষ জ্বালানি বাজার জোরদার করতে অবদান রাখবে।

ঢাকা, জুন ২১, ২০২১: আজ, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-এর মিশন পরিচালক ডেরিক এস. ব্রাউন বাংলাদেশ সরকারের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সাথে বাংলাদেশের জন্য “বাংলাদেশ অ্যাডভান্সিং ডেভেলপমেন্ট গ্রোথ থ্রু এনার্জি (ব্যাজ)” নামে নতুন একটি ক্লিন এনার্জি প্রকল্প উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন । এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত “ইউএস-বাংলাদেশ ক্লাইমেট মিটিগেশন অ্যান্ড এনার্জি কো-অপারেশন — লঞ্চ অফ ইউএসএআইডি ব্যাজ প্রোগ্রাম” অনুষ্ঠানে জ্বালানি খাতের মূল অংশীদারদের কাছে ইউএসএআইডি-র অর্থায়নে পরিচালিত ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাঁচ বছর মেয়াদী ব্যাজ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশে সফরকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতকালে এই প্রকল্পের উল্লেখ্যযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেছিলেন।

ব্যাজ প্রকল্প সাশ্রয়ী মূল্যের জ্বালানিতে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার সম্প্রসারিত করার পাশাপাশি ক্লিন এনার্জি উদ্যোগ, স্বচ্ছ ও কার্যকর জ্বালানি বাজার ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। এই কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো উন্নত জ্বালানি প্রযুক্তির উন্নয়ন, উচ্চ কর্মসম্পাদন ক্ষমতাসম্পন্ন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, আঞ্চলিক জ্বালানি বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও সর্বোত্তম জ্বালানি সংগ্রহের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা।

ব্যাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউএসএআইডি-র বাংলাদেশ মিশন পরিচালক ডেরিক এস ব্রাউন বলেছেন, “আমরা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে ক্লিন এনার্জি ব্যবহারের মাধ্যমে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে অসাধারণ সুযোগ দেখতে পাই। ব্যাজ প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাতে প্রবেশাধিকার উন্নত করা এবং স্বচ্ছ ও কার্যকর জ্বালানি বাজার গড়ে তোলা।”

ব্যাজ হলো বাংলাদেশে ক্লিন অ্যানার্জি কার্যক্রম জোরদার করা ও নেট জিরো কৌশল বাস্তবায়ন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলজুড়ে এশিয়ার এজ লক্ষ্য অর্জনে ইউএসএআইডি-র প্রধান কার্যক্রমগুলোর অন্যতম। এছাড়াও এটি সম্প্রতি চালু করা ইউএসএআইডি-র “অ্যানার্জাইজিং নেট-জিরো এশিয়া” উদ্যোগের অংশ যার লক্ষ্য হলো এশিয়াতে নেট-জিরো জ্বালানি গ্রিড প্রতিষ্ঠার ভিত্তি গড়ে তোলা। এতে ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয়ে সাতটি নতুন পরবর্তী-প্রজন্মের ক্লিন এনার্জি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, গবেষক, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিবৃন্দ ও দাতারা অংশ নিয়েছেন।

বাংলাদেশে ইউএসএআইডি: যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ইউএসএআইডি-র মাধ্যমে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে ৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিয়েছে। শুধু ২০২০ সালে ইউএসএআইডি একাই বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ২০০ মিলিয়নের বেশি সহায়তা করেছে যার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সুযোগের সম্প্রসারণ ঘটানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নত করা হয়েছে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চা বেড়েছে, পরিবেশকে সুরক্ষা দেয়া হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সহিষ্ণুতা বাড়িয়েছে।