আন্তর্জাতিক বর্ণ বৈষম্য বিলোপ দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রদত্ত রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এর বক্তৃতা

রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড

জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি

নিউইয়র্ক, নিউইয়র্ক

মার্চ ১৯, ২০২১

প্রদত্ত বক্তৃতার বিবরণ

আপনাকে ধন্যবাদ, মি. প্রেসিডেন্ট। গুরুত্বপূর্ণ এই দিনের স্মরণে আমাদেরকে সমবেত করে এই আয়োজনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এবং আমি ধন্যবাদ জানাই মহাসচিব, ম্যাডাম হাই কমিশনার, এবং ড. আইওয়েলাকে, বর্ণ বৈষম্য যেখানেই হোক এবং যার দ্বারাই হোক তার নির্মূলে আপনাদের নেতৃত্ব আমাদের সকলকে আরো অব্যাহতভাবে কাজ করতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

এই সভাটি — এই স্মরণ — আমার কাছে ব্যক্তিগতও বটে। আমি একজন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষ। তবে আরো বড় কথা হলো, আমি দাসদের বংশধর। আমার প্র-মাতামহী মেরি থমাস ১৮৬৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন দাসের সন্তান ছিলেন। এটি আমার থেকে মাত্র তিন প্রজন্ম আগের কথা।

আমি বড় হয়েছি পৃথক করে রাখা দক্ষিণে। আমি আলাদা স্কুলে পড়তে গিয়েছি, এবং কু ক্লাক্স ক্ল্যান আমাদের এলাকার বাড়ির আঙ্গিনার ক্রুশ পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি যখন হাইস্কুলে পড়ি সেসময়ে একটি ছোট মেয়ে, যাকে আমি দেখাশোনা করতাম, একবার আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আমার পরিচয় কি “ন” দিয়ে শুরু অবমাননাকর শব্দটিই কিনা , কারণ তার বাবা আমার জন্য নিগার (কৃষ্ণাঙ্গ) শব্দটা ব্যবহার করেছিল।

আমি বর্ণবাদের কুত্‌সিত চেহারাটা চিনি। আমি বর্ণবাদের মধ্যে বড় হয়েছি। আমি বর্ণবাদের অভিজ্ঞতা পেয়েছি। এবং আমি বর্ণবাদ মোকাবেলা করতে পেরেছি।

এবং এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমি একটি সহজ সত্য শিখেছি: বর্ণবাদ বর্ণবাদের শিকার ব্যক্তির সমস্যা নয়। আমাদের যাদের বর্ণবাদের অভিজ্ঞতা হয় তাদের দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব থাকা সত্বেও এটি আমাদের মনের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারে না এবং আমাদের দিক থেকে একে আত্মস্থ করা উচিত্‌ নয়।

আমরা অবশ্যই একে দমন করব, এবং এটি সবসময়, সেটা যার প্রতিই করা হোক না কেন।

বর্ণবাদ বর্নবাদীদের সমস্যা।  এবং যেই সমাজ বর্ণবাদী তৈরী করে সেই সমাজের সমস্যা । এবং আজকের বিশ্বে, এমনটা সব সমাজেই হচ্ছে। এবং আমাদের অনেক সমাজ ও দেশে বর্ণবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। এটি মিশে গেছে, অনেকটা কাঠামোতে ঘুণে ধরার মতো। এবং এটি রয়ে গেছে, এবং এটি দুষিত ক্ষত, এবং (তারপরও) এটি ছড়াচ্ছে কারণ দায়িত্বে থাকা অনেকে এমনটা হতে দিচ্ছেন। অন্যরা এর থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিচ্ছেন এবং এমন ভাব করছেন যেন সেখানে এটা নেই। কিন্তু (বাস্তবতা হলো) এটি ক্যান্সারের মতো, যদি উপেক্ষা করা হয়, বেড়ে যায়।

আজ, আমরা সকল ধরনের বর্ণ বৈষম্যের অবসানে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করছি। এবং আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষের দশক-এর মধ্যবর্তী পর্যালোচনা চলাকালীন সময়ে আমরা আমাদের প্রচেষ্টাগুলো খতিয়ে দেখেছি। আমেরিকাতে এই পর্যালোচনার জন্য আমাদের ব্যক্তিগত দাসত্বের অন্ধকার ইতিহাস উপলব্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন ।

চারশত-দুই বছর আগে, আফ্রিকান দাসদের ভার্জিনিয়ার সমুদ্র উপকূলবর্তী উপনিবেশে জোর করে ধরে আনা হয়েছিল। দুই বছর আগে ‘১৬১৯ প্রকল্প’-এর মাধ্যমে এই বার্ষিকীর স্মরণে সেই সময়কার ঘটনার বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছিল, এবং (এই প্রকল্প আমাদেরকে) দাসত্বের পরিণতি, এবং কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের অবদান, আমাদের ইতিহাস ও আমাদের জাতীয় আখ্যানের কেন্দ্রে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। এই প্রকল্পের বিশদ (বর্ণনা থেকে বোঝা যায়) দাসত্ব আসলে আমেরিকার পাপ। এটি আমাদের প্রতিষ্ঠাকালীন নথি ও নীতিমালায় শেতাঙ্গদের শ্রেষ্ঠত্ব ও কৃষ্ণাঙ্গদের হীনমন্যতার বুনন।

আলাবামার লিগ্যাসি মিউজিয়াম এই ইতিহাসকে শনাক্ত করেছে, এবং আপনি যদি সেখানে না গিয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সবাইকে সেখানে একবার ভ্রমণে যেতে উত্‌সাহিত করব। এখানে প্রদর্শিত (ইতিহাসের মাধ্যমে) দাসত্ব থেকে লিঞ্চিং (বিনা বিচারে ফাঁসিতে লটকানো) থেকে পৃথকীকরণ থেকে গণ-আটকের মধ্যে একটি প্রত্যক্ষ যোগসূত্র দেখানো হয়েছে এবং (এটি) ভয়ানক এই ইতিহাস এখনও আমাদের জনগণের উপর  কীভাবে প্রভাব বিস্তার করছে তার সাক্ষ্য দেয়।

তবে দাসত্ব আমাদের আদি পাপ হলেও আমেরিকা দাসত্বের মূল উত্‌স নয়। অন্যরা আমাদের সাথে এই লজ্জার ভাগিদার। বিশ্বের প্রতিটি কোণে দাসত্বের অস্তিত্ব রয়েছে। আমেরিকান উপনিবেশবাদীদের অস্তিত্বের অনেক আগে থেকেই আফ্রিকানরা স্বদেশী আফ্রিকানদের দাস বানিয়ে রেখেছিল। এবং দুঃখের বিষয় হলো আজো বিশ্বজুড়ে অনেক স্থানে দাসত্বের অস্তিত্ব রয়েছে।

শিক্ষাবিদ ইসাবেল উইলকারসন যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন, সকল কিছুর প্রেক্ষাপটে মানুষ মানবিক মূল্যবোধের স্থান নির্ধারণ করে, একদলের অনুমিত শ্রেষ্ঠত্বকে অন্যদলের অনুমিত হীনমন্যতার উপরে স্থান দেয়। আমেরিকায় সেটা অনেকভাবে ঘটে। একটি অন্যতম ধরন হলো: আমাদের শেতাঙ্গ আধিপত্যের উত্তরাধিকার।

এবছর জর্জ ফ্লয়েড, ব্রেওনা টেইলরসহ আরো অনেক কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান অনর্থক হত্যার শিকার হয়েছেন যা বিশ্বজুড়ে জাতিগত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছে: ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার ।

এবং যেহেতু ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’, তাই আমাদেরকে প্রতিটি ক্ষেত্রে শেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব-এর ধারণাকে ভেঙ্গে দিতে হবে। এর মানে হলো আমাদেরকে অন্যান্য ধরনের ঘৃণা (হেইট ক্রাইম)-র বিষয়গুলোকেও মোকাবেলা করতে হবে।

এফবিআই গত তিন বছরে ‘হেইট ক্রাইম’ (ঘৃণা  সংক্রান্ত অপরাধ) বাড়ার কথা জানিয়েছে — বিশেষ করে লাতিনো আমেরিকান, শিখ, মুসলিম আমেরিকান, ইহুদি আমেরিকান ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক এক উপাত্ত থেকে দেখা যায় যে, হেইট ক্রাইম এতোটাই বেড়েছে যা গত এক দশকের বেশি সময় ধরে দেখা যায়নি। এবং এই পরিসংখ্যানে কোভিড-১৯ প্রার্দুভাবের পর থেকে এশিয়ান আমেরিকানরা যে বুলিং, বৈষম্য, নৃশংসতা এবং সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে তা ধরা হয়নি।

আটলান্টার জনসাধারণের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনা এই ভয়াবহতার সর্বশেষ উদাহরণ। ভয়াবহ ও কান্ডজ্ঞানহীন এই হৃদয়বিদারক ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের সম্মানে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশনায় আমরা জাতিসংঘে  যুক্তরাষ্ট্রের মিশনের পতাকা অর্ধনমিত রেখেছি।

এটি এতো গুরুত্বপূর্ণ যে, এই ধরনের নির্মমতার বিরুদ্ধে আমরা একসাথে দাঁড়িয়েছি — আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। ঐক্যবদ্ধতায় আমরা শক্তিশালী হই। কিন্তু একে অপরের মধ্যে বিভাজন ও ভুল ধারণা আমাদের সকলের বিরুদ্ধে কাজ করে।

আমাদেরকে একথাও স্বীকার করতে হবে যে, বর্ণবাদ আমেরিকাতে অনন্য সাধারণ কোন ঘটনা নয়। আমার চার দশক ধরে ফরেন সার্ভিসে চার মহাদেশব্যাপী কাজের অভিজ্ঞতায় আমি অসংখ্য আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বর্ণবাদের ঘটনা ঘটতে দেখেছি, সেটা বিমানবন্দরে অতি উত্‌সাহ নিয়ে তল্লাশি করা থেকে শুরু করে আমার ছেলের প্রতি পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ, রেস্টুরেন্টে টেবিল পেতে শেতাঙ্গ অতিথিদের পেছনে অপেক্ষা করাসহ আরো অনেক কিছুতেই। আমরা যেখানেই থাকি না কেন বর্ণবাদ প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ ছিল এবং এটি অবিরাম চলছে।

এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য এটা চ্যালেঞ্জের চেয়েও বেশি কিছু। এটা মরণঘাতি। যেমন বার্মাতে, যেখানে রোহিঙ্গা ও অন্যান্যরা অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত ও বিপুল সংখ্যায় হত্যার শিকার হয়েছেন। কিংবা চীনে, যেখানে সরকার উইঘুর ও জিনজিয়াংয়ের অন্যান্য জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে।

বর্ণ বৈষম্যের প্রকোপ ও ব্যাপকতা পরিস্থিতিকে আশাহীন করে তুলেছে। তবে একটা বিষয় আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই: আমি আশাবাদী। আমি আশাবাদী কারণ সমাজ ও রাষ্ট্র কীভাবে পরিবর্তন আনতে পারে তা আমি দেখেছি। এবং আমি আমার নিজের জীবনে সেই অগ্রগতির অভিজ্ঞতা লাভ করেছি।

ব্যক্তিগতভাবে, আমি আশা ও শক্তি কী করতে পারে তার একটি উদাহরণ। এটাই সত্যি যে, ক্রীতদাসদের বংশধর আজ জাতিসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত। আমার জীবন কাহিনীর প্রথম অধ্যায় — দরিদ্র শিক্ষাবিহীন মা-বাবার ঘরে জন্ম — যেখান থেকে (আজকের এই অবস্থার) পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, আমি জিজ্ঞাসা করি, পরিবর্তনের জন্য এবং বর্ণবাদের শিকার মানুষদের মনে আশা জাগিয়ে রাখতে আমরা কী করতে পারি?

আমরা মানুষের হৃদয়ে যে ঘৃণা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। কিন্তু আমরা সেই নিয়মগুলোতে পরিবর্তন করতে পারব যা তাদেরকে ঘৃণা থেকে উদ্ভুত সহিংসতা করার অনুমোদন দেয়। আর সে কারণেই আমি আজ এখানে এসেছি। সে কারণেই আমরা এই সপ্তাহে জাতিসংঘে ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে স্বাগত জানাতে পেরেছি। সে কারণেই প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মন্ত্রীসভা ইতিহাসের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় এবং মন্ত্রী পরিষদের পদে প্রথম নেটিভ আমেরিকানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আমরা আমাদের কমিউনিটি, এবং আমাদের সরকারকে প্রস্তুত করছি যাতে করে আমাদের সর্বোচ্চ আকাঙ্খাগুলোর প্রতিফলন দেখা যায় — এমনকি অল্প কিছু ব্যক্তি এখনোও এই বিষয়ে পিছিয়ে থাকার পরেও। আমরা করতে পারছি। এবং বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনে, ঠিক এই কাজটিই আমরা করছি ।

প্রথম ৬০ দিনে প্রেসিডেন্ট কতগুলো বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছেন: আবাসনের ক্ষেত্রে বর্ণ বৈষম্য দূর করা থেকে শুরু করে কৃষ্ণাঙ্গ ও বাদামী যুববয়সীদের ব্যক্তিগতভাবে কারাবন্দী রাখার অবসান, এশিয়ান, এশিয়ান আমেরিকান ও প্যাসিফিক আইল্যান্ডারদের বিরুদ্ধে ভীতি ও বৈষম্য মোকাবেলা করা।

বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন এটাও বুঝতে পারে  কীভাবে কোভিড-১৯ মহামারি এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট জাতিগত ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যালঘু সদস্যদের অস্বাভাবিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সুতরাং, আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছি, যেমন জরুরি ত্রাণ তহবিলের ব্যবস্থা করেছি, পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ বাড়িয়েছি, এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ফেডারেল ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি যা আমরা জানি বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ ও বাদামী কমিউিনিটির সদস্যদের সহায়তা করবে।

এটা সুস্পষ্ট করে বলা দরকার, এটা শুরু মাত্র। বর্ণ বৈষম্যের অবসান, বিশেষ করে আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায়, প্রেসিডেন্ট ও পুরো বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের জন্য একটি চলমান শীর্ষস্থানীয় অগ্রাধিকার। এবং আমরা অন্যান্য দেশকে আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করব।

আমরা (বিশ্বের) সকল দেশকে সকল ধরনের বর্ণ বৈষম্য নির্মূল সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ অনুমোদন ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। কারণ, সর্বোপরি এটি ভবিষ্যত গড়ে তোলা সম্পর্কিত বিষয়। এটি এমনভাবে ভবিষ্যতকে গড়ে তুলবে যেমনটা আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য, এবং আমাদের নাতি-নাতনি ও তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য চাই।

ইতোমধ্যে, তারা আমাদের কাছে আরো ভালো করার দাবী তুলেছে। তারা নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসছে এবং তারা প্রগতিশীল পদক্ষেপের জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা তাদের রাজনীতিবিদ ও সরকারের কাছ থেকে আরো বেশি দাবী করছে। এবং তারা তাদের দাবীর সমর্থনে রাস্তায় নেমে এসেছে, মিছিল করছে।

তারা বলছে , “ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার (কৃষ্ণাঙ্গদের জীবন গুরুত্ববহ)।” কারণ তারা সেটা বিশ্বাস করে ।

তারা শ্লোগান দিচ্ছে: “গণতন্ত্র এমনটাই হওয়া উচিত্‌।” কারণ এটাই (গণতন্ত্র)।

এটাই আমেরিকান পদ্ধতি (গণতন্ত্র)।

আমাদের ত্রুটি আছে। গভীর, মারাত্মক ত্রুটি। তবে আমরা সেই সব ত্রুটি নিয়ে কথা বলি। আমরা সেগুলোর মোকাবেলা ও সমাধানে কাজ করি। এবং আমরা দৃঢ়তার সাথে এই কাজে এগিয়ে যাচ্ছি, এই আশা নিয়ে যে যেমনটা আমরা পেয়েছিলাম তারচেয়ে একটি ভালো দেশ আমরা রেখে যেতে পারব।

আমরা এই একই কাজ বহুপাক্ষিক মাত্রায় বিস্তৃত পরিসরে করতে পারি। আসুন আমরা বিশ্বব্যাপী প্রতিটি সমাজের মধ্যে গেড়ে বসা বর্ণবাদ ও বর্ণ বৈষম্যকে প্রকাশ করি। আসুন আমরা এই বৈষম্যের গোড়া উপড়ে ফেলতে এবং আমাদের ভিত্তির নষ্ট-পচা সরিয়ে দিতে দৃঢ়তার সাথে সামনে এগিয়ে চলি। এবং বর্ণ বৈষম্যের অবসানে উত্‌সর্গীকৃত এই দিনে, আমরা আমাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছি, আসুন আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য ঘৃণাহীন ,আশাবাদী বিশ্বে রেখে যাই।

আসুন আমরা তাদেরকে ভবিষ্যত্‌ দেই। নির্ভয়ের ভবিষ্যত্‌। সহিংসতাবিহীন ভবিষ্যত্‌। আমি আশা করি তারা এমন এক ভবিষ্যতের উত্তরাধিকারী হতে পারে।

আপনাদের (সবাইকে) ধন্যবাদ।

###