যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সম্পর্ক

  1. যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সম্পর্ক
  2. দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের ব্যাপারে অভিন্ন  মতামত পোষণ করে। আমাদের বার্ষিক ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব সংলাপ’ অভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক লক্ষ্যসমূহকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে এবং চলমান ও আগামীর সহযোগিতামূলক কার্যক্রমকে কৌশলগত নির্দেশনা দেয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব সংলাপ’ সম্মেলনে নানা ধরনের বিষয় আলোচিত হয়। এর মধ্যে ছিল: গণতন্ত্র ও সুশাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা। প্রতিনিধিদলগুলো টেকসই উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অগ্রাধিকারগুলোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে কাজ করে। পঞ্চম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালে, ওয়াশিংটন ডিসিতে।

১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ একটি অধিকতর সমৃদ্ধ ও বহুত্ববাদী সমাজ হয়ে ওঠার পথে উল্লেখযোগ্যরকম উন্নতি করেছে। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে এ দেশে ৬ শতাংশের বেশি হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৩ সালে তৈরি পোশাক কারখানা রানা প্লাজার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ তার গার্মেন্টস খাতে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে উন্নতি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এ দেশে শ্রমিকের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন জোরদার এবং কর্মপরিবেশের নিরাপত্তার উন্নতি করার প্রচেষ্টায় এখনো সক্রিয়ভাবে যুক্ত। উন্নয়নের ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় অর্জন থাকা সত্ত্বেও দারিদ্র্য , অবকাঠামোগত ঘাটতি, সুশাসন কাঠামোর দুর্বলতা এবং মানবসম্পদে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তাএখনো বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের উচ্চ জনঘনত্ব এসব চ্যালেঞ্জকে জটিলতর করেছে। উগ্রপন্থীদের সহিংস কার্যকলাপও একটি চ্যালেঞ্জ। উগ্রপন্থাকে পরাজিত করার প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।