- যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সম্পর্ক
- দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। দেশদুটি দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পাশাপাশি দ্বৈত কর এড়ানোর জন্যও চুক্তি করেছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ছিল ৪৬ কোটি ডলার, যা ২০১৬ সালের তুলনায় ০.৪ শতাংশ বেশি। দুই সরকারের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বার্ষিক ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্ট (টিকফা) বৈঠক বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর সহযোগিতার সম্ভাবনাকে তুলে ধরে। টিকফা বৈঠকের আলোচনায় বিশেষ করে বাংলাদেশের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের তুলার প্রবেশের সুযোগ, ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা এবং বাংলাদেশে শ্রম সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া হয়।
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে প্রায় দেড়শ’ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। এসময়ে দেশটি বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে প্রায় ৫শ’ ৭০ কোটি ডলারের পণ্য। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পণ্য রপ্তানি হয় তার মধ্যে রয়েছে কৃষিপণ্য (খাদ্যশস্য, বীজ, সয়াবিন, তুলা, গম এবং ভুট্টা), যন্ত্রপাতি এবং লোহা ও ইস্পাত পণ্য। আর যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের মধ্যে আছে তৈরি পোশাক, জুতা, টেক্সটাইল সামগ্রী ও কৃষিপণ্য। (সূত্র: ইউএসটিআর)
বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকার এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তাজনিত ইস্যুর কারণে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৩ সালের জুন মাসে দেশটির জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) বাণিজ্য সুবিধা স্থগিত করে। ওই স্থগিতাদেশের সময় যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি বাণিজ্য সুবিধা পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনার জন্য ভিত্তি হিসাবে বাংলাদেশ সরকারকে শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি অ্যাকশন প্ল্যান দেয়। তখন থেকে এই পরিকল্পনার কয়েকটি লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে – বিশেষ করে পরিদর্শন, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদের অধিকার বিষয়ে আরও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। জিএসপির ওপর স্থগিতাদেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ওপর সামান্যই তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলেছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য বস্ত্র ও তৈরি পোশাক জিএসপি সুবিধার আওতাভুক্ত নয়।