আপনি কি একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক? আপনি কি অসাম্যের কারণ ও প্রভাবগুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী?

আপনি কি একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক?

আপনি কি অসাম্যের কারণ প্রভাবগুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী?

 

২০২০ জেফারসন ফেলোশিপের জন্য আবেদনপত্র নেওয়া হচ্ছে যা ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। নির্বাচিত সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্রের হনুলুলু, টোকিও, হংকং জাকার্তায় নিবিড় সংলাপ, ভ্রমণ প্রতিবেদন তৈরিতে যুক্ত হবেন। এর বিষয়বস্তু হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়ায় অসাম্যের কারণ প্রভাব এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত নীতিগত ব্যবস্থাসমূহ।

ঢাকা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯ – ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আনন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের মুদ্রণ, সম্প্রচার ও অনলাইন মাধ্যমের সাংবাদিকদের ২০২০ সালের জেফারসন ফেলোশিপের জন্য আবেদন করার আহ্বান জানাচ্ছে। ফেলোশিপের বিষয়বস্তু হচ্ছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ায় অসাম্য: কারণ, প্রভাব এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত নীতিগত ব্যবস্থা’। ফেলোশিপটি সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, বিশ্বায়ন ও বাজার সংস্কারের বিতরণগত প্রভাবকে আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে সহায়তা করবে। এ বিষয়টি সাধারণত অদক্ষ শ্রমিকের চেয়ে দক্ষ শ্রমিক, শ্রমের চেয়ে পুঁিজ এবং গ্রামীণ এলাকার চেয়ে নগর ও উপকূলীয় এলাকাকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়। ফেলোশিপ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্রের হনলুলু, টোকিও, হংকং ও জাকার্তায় নিবিড় সংলাপ, ভ্রমণ ও প্রতিবেদন তৈরিতে অংশ নেবেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং এশিয়ায় উপার্জন, সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধার ক্রমবর্ধমান অসমতার তুলনা ও এর পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরবেন। ২০২০ জেফারসন ফেলোশিপের জন্য আবেদন করার শেষদিন হচ্ছে মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২০।

আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি পেশাদার ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রপূর্ণ পরিবেশে ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচবছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে তাদের। নিজের কাজের ক্ষেত্রে এ ফেলোশিপের বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা এবং এ থেকে অর্জিত জ্ঞান কীভাবে পাঠক বা দর্শক-শ্রোতাদের দৃষ্টিভঙ্গির উন্নতি ঘটাতে কাজে লাগাতে চানÑ এ বিষয়দুটি যেসব সাংবাদিক স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারবেন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আর এটি জোরালোভাবে প্রত্যাশিত যে, অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা কর্মসূচি চলাকালে ও পরে আনুষ্ঠানিক মুদ্রণ ও সম্প্রচার মাধ্যম এবং ব্লগ, টুইট, পোস্ট ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মিডিয়া কনটেন্ট তৈরি করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষায়তন ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টার (ইডব্লিউসি) জেফারসন ফেলোশিপের আয়োজন করে থাকে। এ ফেলোশিপটি ইডব্লিউসি-র সবচেয়ে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া কর্মসূচি। যুক্তরাষ্ট্র ও এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে রয়েছে এর ৭শ’র বেশি কৃতী সাবেক অংশগ্রহণকারী। জেফারসন ফেলোশিপের সার্বিক লক্ষ্য হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের মধ্য দিয়ে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সংস্কৃতি, ইস্যু ও হালচালের বিষয়ে জনগণের ধারণার পরিধি বৃদ্ধি করা। এতে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন নগর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও চলমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে প্রতিবেদন করার সুযোগ পান। পাঠক এবং শ্রোতাদর্শকদেরকে প্রত্যক্ষ আর নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও অন্তর্দৃষ্টি যোগান তারা।

২০২০ জেফারসন ফেলোশিপের জন্য মনোনীত আবেদনকারীরা বিমানভাড়া, থাকা, সড়ক পরিবহন, খাবার ও কর্মসূচি সংক্রান্ত অন্যান্য ব্যয়বাবদ পূর্ণাঙ্গ বা আংশিক বরাদ্দ পেতে পারেন। ভিসা ফি, স্বাস্থ্যবীমা ও ব্যাগেজ চার্জ এবং ৮০০ ডলার প্রোগ্রাম ফি’র দায়িত্ব আবেদনকারীর নিজের।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি এবং একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করার জন্য শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্র ও এর সহযোগীদের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের অন্যতম হচ্ছে এই জেফারসন ফেলোশিপ।

আবেদন করতে ভিজিট করুন:  https://www.eastwestcenter.org/jefferson