যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ৭ মিলিয়ন ডলারের কার্যক্রমের আওতায় কল্যাণপুরের পরিবারগুলি খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে

রাষ্ট্রদূত মিলার ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম ঢাকার কল্যাণপুর বস্তির পরিবারগুলোর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। ঢাকার দুটি এলাকার ৫০,০০০ মানুষের সহায়তাকল্পে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে নতুন কার্যক্রমের আওতায় পরিবারগুলো খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলা প্রচেষ্টায় এপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রদত্ত ৫৬.৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তার অংশ এই কার্যক্রমটি।

ঢাকা, ২৩ জুলাই ২০২০ – আজ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)’র অর্থায়নে নতুন এক কার্যক্রমের আওতায় কল্যাণপুর বস্তির খাদ্য সহায়তা গ্রহণকারী পরিবারগুলোর সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে রাষ্ট্রদূত মিলার বিতরণের জন্য খাদ্যঝুড়ি প্রস্তুত কাজ পরিদর্শন করেন এবং সহায়তার নগদ অর্থ দিয়ে স্থানীয় দোকান থেকে তাজা শাক-সবজী ক্রয়রত মানুষদের সাথে আলাপ করেন।

কল্যাণপুর ও সাততলা বস্তি (মহাখালী) এলাকায় কার্যক্রম বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রিচার্ড রেইগ্যান এবং ব্র্যাক’র নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এই পরিদর্শনে যোগ দেন।

এ কার্যক্রমের আওতায় নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে এসব এলাকার ৫০,০০০ মানুষকে খাদ্য ও মৌলিক চাহিদা পূরণে সহায়তা দেয়াসহ কোভিড-১৯’এ অসুস্থ সদস্যের কারণে পরিবার নিয়ে সঙ্গনিরোধে থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্যঝুড়ি বিতরণ করা হবে। তাছাড়া ন্যায্য দামে তাজা খাবার ক্রয়েও সহায়তা দেয়া হবে।

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, “কল্যাণপুর এলাকায় হাঁটতে হাঁটতে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে আমি দেখেছি এই খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ, ঢাকার ক্ষুদ্র ব্যবসা উদ্যোগগুলো, বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী ও ব্র্যাক’র মতো সংস্থাগুলোর সাথে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অসাধারণ অংশীদারিত্বের একটি দৃষ্টান্ত হলো এই কার্যক্রমটি। একসাথে কাজের মাধ্যমে আমরা আরো শক্তিশালী হয়েছি এবং এভাবেই এই মহামারী কাটিয়ে উঠতে আমরা একে অপরকে সহায়তা করতে পারি।”

বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯’র প্রভাব মোকাবেলায় সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে নতুন এই উদ্যোগটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সামগ্রিক  প্রচেষ্টার অংশ। এই প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১.৫ বিলিয়ন ডলারের (১,২৬০ কোটি টাকা ) বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই তহবিলের বিশেষ লক্ষ্য হলো জরুরী স্বাস্থ্য এবং মানবিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনজিও) এই মহামারী মোকাবেলায় সহায়তা দেয়া। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলা প্রচেষ্টায় এযাবৎ ৫৬.৫ মিলিয়ন ডলারের বেশী সহায়তা প্রদান করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে ১৯৭১ সাল থেকে বালাদেশে উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশী অর্থ প্রদান করেছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা  উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চা উৎসাহিতকরণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে ২০১৯ সালে ইউএসএআইডি ২০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক অর্থ প্রদান করেছে।