যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর অর্থায়নে আয়োজিত দুই-দিনব্যাপী এই কংগ্রেসে অনলাইনে যোগদানের জন্য কোন অর্থ দিতে হবে না। জনস্বাস্থ্য নিয়ে কর্মরত স্বাস্থ্য পেশাজীবী ছাড়াও বাংলাদেশে রোগতত্ত্ব বা মহামারিসংক্রান্ত বিজ্ঞান ও চর্চাগুলো সম্পর্কে আরো বেশি জানতে আগ্রহী যে কেউ এই কংগ্রেসে নিবন্ধন করে যোগদান করতে পারবেন। নিবন্ধনের জন্য ৩১ মার্চের মধ্যে ভিজিট করুন: fetpbangladesh.org
ঢাকা, মার্চ ২৮, ২০২১ — যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) আগামী ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল বাংলাদেশের ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য দুই-দিনব্যাপী রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক ১ম জাতীয় কংগ্রেস বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়; রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) এবং বাংলাদেশ এপিডিমিওলোজি অ্যাসোসিয়েশন এর সাথে যৌথভাবে আয়োজনে অর্থায়ন করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার এই কংগ্রেসে অংশ নেবেন। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে বাংলাদেশ ও বিশ্বের মানুষের জীবন বাঁচাতে ও তাদেরকে সুস্থ রাখতে ‘ফিল্ড এপিডিমিওলোজি’ ও জনস্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা হবে। পরবর্তীতে এই কংগ্রেস দ্বিবার্ষিকভাবে নিয়মিত আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে।
আমন্ত্রিত অন্যান্য বিশেষ অতিথিদের মধ্যে আছেন: স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের মাননীয় সচিব জনাব মোঃ আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডাঃ এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডাঃ এএইচএম এনায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) প্রফেসর ডাঃ মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা, আইইডিসিআর-এর পরিচালক প্রফেসর ডাঃ তাহমিনা শিরিন, জর্জিয়ার আটলান্টার সিডিসি সদর দপ্তর থেকে ড. অ্যালডেন হ্যান্ডারসন, ড. বাসাম জারার ও ড. কার্ল রেড্ডি এবং সিডিসি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মাইকেল এস. ফ্রিডম্যান।
দুই-দিনব্যাপী সম্মেলনটি হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে; অর্থাৎ সশরীরে ও অনলাইনের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি। এই কংগ্রেসের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বিশ্বের রোগতত্ত্ববিদ, তরুণ গবেষক, জনস্বাস্থ্য পেশাজীবী, কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষকবৃন্দ জনস্বাস্থ্য বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন। সম্মেলনের লক্ষ্য হলো কোভিড-১৯ ও অন্যান্য রোগ যেমন ডিপথেরিয়া, ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কলেরা, হেপাটাইটিস ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য, হৃদরোগ, টক্সিকোলজি বা বিষবিজ্ঞানসহ ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক পাঠগুলো এবারের কংগ্রেসে এবং প্রতি দুই বছর অন্তর আয়োজিত কংগ্রেসের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা এবং মতবিনিময় করা।
সম্মেলনের উপস্থাপকগণ এবং নির্বাচিত সংখ্যক বিশেষভাবে আমন্ত্রিত অতিথি ঢাকার সম্মেলনস্থলে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন। নিবন্ধিত বাকি সকল অতিথি অনলাইনে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে সংযুক্ত হবেন। ভার্চুয়াল উপস্থিতি (ইউটিউব কিংবা ফেসবুক লাইভ)-র জন্য কোন মূল্য দিতে হবে না এবং জনস্বাস্থ্য খাতে নিয়োজিত স্বাস্থ্য পেশাজীবী কিংবা বাংলাদেশে রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা ও চর্চাগুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী যে কেউ এতে অংশ নিতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে যে, সরকারি সংস্থাসমূহ যেমন আর্মি মেডিকেল করপস, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ, সিটি করপোরেশনগুলো, দেশব্যাপী মেডিকেল কলেজসমূহের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগসমূহ, এনজিও এবং বেসরকারি চিকিত্সকগণ, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ এবং বিভিন্ন দাতা সম্প্রদায়ের সদস্যগণ এই কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করবেন।
কংগ্রেস সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে কিংবা বিনা খরচে কংগ্রেসে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করতে দেখুন: https://fetpbangladesh.org/about-us/
কংগ্রেসের খবর প্রকাশে আগ্রহী গণমাধ্যমকে আমাদের প্রেস টিমের সদস্য রিকি সালমিনার সাথে salminarx@state.gov ইমেইল ঠিকানায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থা। এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানব সেবা বিভাগের একটি অংশ এবং এর সদর দপ্তর জর্জিয়ার আটলান্টায় অবস্থিত। সিডিসি ১৯৪৬ সালের জুলাই মাসে আমেরিকাজুড়ে ম্যালেরিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধে কাজ করার প্রাথমিক লক্ষ্য নিয়ে কমিউনিকেবল ডিজিজ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে। রোগের উপর নজরদারি করা সিডিসির মূল দায়িত্ব হয়ে পড়ে এবং সময়ের ধারায় জনস্বাস্থ্য অনুশীলনে পরিবর্তন নিয়ে আসে। সিডিসি ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশসহ ৫০টিরও বেশি দেশে কাজ করছে। সিডিসি তাদের প্রথম মেডিকেল এপিডিমিওলজিস্ট ড. স্ট্যানলি ফস্টারকে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। তিনি চার বছর (১৯৭২-১৯৭৬) ঢাকায় ছিলেন। এই সময়ে তিনি বাংলাদেশ থেকে গুটিবসন্ত নির্মূলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে আরো অনেক সিডিসি এপিডিমিওলোজিস্ট বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে সহায়তা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পোলিও নির্মূল করা, কলেরা হ্রাস, বাংলাদেশে শক্তিশালী টিকাদান কর্মসূচি প্রতিষ্ঠা, অনুপুষ্টি ঘাটতি মোকাবেলা করা, এবং নিপাহ ভাইরাসের মতো নতুন ধরনের সম্ভাব্য মহামারি সৃষ্টিকারী জীবাণু তদন্ত করা। ২০১৫ সাল থেকে সিডিসি বিশ্বব্যাপী মহামারি ও বড় ধরনের রোগ শনাক্ত, নিয়ন্ত্রণ ও প্রাদুর্ভাব রোধ করতে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। সিডিসি বাংলাদেশ রোগের বিস্তার রোধে দেশের সামর্থ্য বাড়াতে ও বাংলাদেশীদের সুস্থ জীবনযাপনে সহায়তা করতে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং অন্যন্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকারি সংস্থা, মেডিকেল ও গবেষণা অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্যদের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সিডিসির কাজ সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে দেখুন: https://www.cdc.gov/globalhealth/index.html.
# # #