ফাইভ জি নেটওয়ার্কের ঝুঁকি চিহ্নিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
মর্গান অর্টাগাস, পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র
৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কাউন্সিল অবিশ্বস্ত বিক্রেতাদের মাধ্যমে তৈরি করা  ফাইভ জি টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুতর ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে। ইইউ এর ৩ ডিসেম্বর দেওয়া এই ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। একইসঙ্গে আমরা আমাদের সহযোগী ও মিত্রদের আহ্বান জানাই ভবিষ্যতে তাদের কোনো ফাইভ জি নেটওয়ার্ক তৈরির সময় যেন শুধু বিশ্বস্ত  বিক্রেতাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন ।

৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত ইইউ এর সিদ্ধান্তগুলোতে বলা হয়, ‘সরবরাহকারীরা তৃতীয় কোনো দেশে কোনো অকারিগরি নিয়ামক যেমন আইনি ও নীতিগত কাঠামো মানতে বাধ্য হয়ে থাকলে তা বিবেচনায় নিতে হবে।’ আমরা এ মাসেই শেষের দিকে ইইউ-এর ফাইভ জি ঝুঁকি হ্রাস টুলবক্স এর প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছি। আমাদের প্রত্যাশা, জোটটির সুপারিশের মধ্যে আজকের বিবৃতিতে চিহ্নিত এবং অক্টোবর ২০১৯-এ প্রকাশিত ‘ঝুঁকি পর্যালোচনা’য় চিহ্নিত ঝুঁকিগুলোর ব্যবস্থাপনার জোরদার ব্যবস্থা থাকবে।

ফাইভ জি টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলো হবে আগামীর অর্থনীতি ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ভিত্তি। এর সঙ্গে এত বড় বিষয় যুক্ত যে, কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর হাতে ব্যবহৃত হতে পারে এমন কোনো সরবরাহকারীর কাছে এ সংক্রান্ত জরুরি নেটওয়ার্কগুলো স্থাপন করা ও দেখাশোনার দায়িত্ব ছাড়া যাবে না।

হুয়াওয়ে ও জেডটিই’র মতো টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের সব নির্দেশ মানতে বাধ্য। সেখানে উপাত্তের অপব্যবহার প্রতিরোধ করা যায় এমন কোনো কার্যকর যাচাই ও ভারসাম্যের ব্যবস্থা নেই। কোনো একটি দেশের ফাইভ জি নেটওয়ার্কের কোনো অংশে এ ধরনের সরবরাহকারীদের যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিলে তা দেশটির নাগরিকদের গোপনীয়তা, মানবাধিকার ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর ঝুঁকির সৃষ্টি করবে।

যুক্তরাষ্ট্র এর সহযোগী ও মিত্রসহ সব দেশের প্রতি এমন জাতীয় নিরাপত্তা নীতি গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে যা অবিশ্বস্ত সরবরাহকারীদের তাদের ভবিষ্যত ফাইভ জি নেটওয়ার্কের কোনো অংশে প্রবেশ করা ঠেকাবে।