শেয়ার আমেরিকা
লেই হার্টম্যান – ২৬ মে, ২০২০
নাসা এমন এক হালকা ওজনের রোবোটিক যন্ত্রযান (উপরে) বানানোর কথা ভাবছে, যেটি শুক্র গ্রহের চরম পরিবেশ, যেখানে ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৪৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছতে পারে, সেখানে অনুসন্ধান চালানোর জন্য চাকার বদলে পরস্পর সংযুক্ত দণ্ড ব্যবহার করবে।
নাসা ইনোভেটিভ অ্যাডভান্সড কনসেপ্টস (এনআইএসি) কর্মসূচির মাধ্যমে এই মহাকাশ সংস্থা শুরুর দিককার যে কয়েকটি ভাবনাকে অর্থায়ন করছে টিএএনডিইএম (টেনশন অ্যাডজাস্টেবল নেটওয়ার্ক ফর ডিপ্লয়িং এন্ট্রি মেমব্রেন) রোবট হলো সেগুলোর একটি।
নাসা বলে থাকে, এনআইএসিস হলো এমন এক কর্মসূচি যা “এমন সব দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ভাবনা লালন-পালন করে যেগুলো যুগান্তকারী সাফল্য সৃষ্টির মাধ্যমে নাসার ভবিষ্যতের অভিযানগুলোকে পাল্টে দেবে – সেগুলো হবে বৈপ্লবিকভাবে উৎকৃষ্ট অথবা পুরোপুরি নতুন মহাকাশবিদ্যার ধারণা – আবার একই সঙ্গে সেগুলো এই অভিযাত্রায় আমেরিকার উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের অংশীদার হিসেবে যুক্ত করবে।“
নাসা পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে এমন আরো কয়েকটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ভাবনা দেখে নিন।
কয়েকটি প্রকল্পের বিষয়বস্তু অন্য গ্রহগুলোর পৃষ্ঠে অনুসন্ধান পরিচালনা। এগুলোর মধ্যে আছে স্থির-পাখার উড়োজাহাজ (বাঁয়ে), যা শুক্রগ্রহের আবহাওয়া থেকে তাপ নিয়ে নিজেই নিজের জ্বালানী তৈরি করে নেবে, এবং একটি অতিস্বল্প ওজনের পারমাণবিক শক্তিচালিত মহাকাশযান (ডানে) যা বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায় উপগ্রহ বয়ে নিয়ে যাবে।
এ বছর গৃহিত অন্যান্য প্রাথমিক পর্যায়ের প্রকল্প হলো:
- সমুদ্রসর্বস্ব গ্রহের তলদেশে অভিযান পরিচালনাকারী রোবটের পৃথিবীর সঙ্গে যোগযোগের পদ্ধতি।
- নক্ষত্রের আলোয় মহাকাশে চলাচলের নতুন পদ্ধতি।
- জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে তৈরি একটি জীব যা রকেটের জ্বালানী তৈরি করে।
নাসার স্পেস টেকনোলজি মিশন ডিরেক্টরেটের প্রশাসক ওয়াল্ট এনজেলুন্ড বলেন, “নতুন ধারণাগুলো নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। আমরা অপেক্ষায় আছি বাড়তি সময় ও সম্পদ এ সংক্রান্ত গবেষণাগুলোকে কিভাবে এগিয়ে নেয় তা দেখতে।“
আরেকটি প্রস্তাবে চাঁদের অন্ধকার অংশে গহ্বরের মধ্যে এমন এক দূরবীন বানানোর কথা কল্পনা করা হয়েছে, যা বিজ্ঞানীদের পৃথিবীর প্রভাবহীনভাবে মহাবিশ্ব নিয়ে গবেষণার সুযোগ করে দেবে।
সপ্তর্ষী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এ প্রকল্পের বিবরণে বলেছেন, “এই লুনার ক্রেটার রেডিও টেলিস্কোপ (এলসিআরটি) …হবে সৌরজগতে সর্ববৃহৎ ফিল্ড অ্যাপারচার রেডিও টেলিস্কোপ! এটি “আদি মহাবিশ্ব পর্যবেক্ষণ করার মধ্য দিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান অধ্যয়নের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পথ খুলে দিতে পারে…যা মানুষ এখনও অনুসন্ধান করেনি।“