ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি শুরু করা বা রপ্তানি বাড়ানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই অধ্যায়ে আপনারা রপ্তানির বাজার হিসেবে বাংলাদেশের একটি তাৎক্ষণিক বিবরণ পাবেন এবং কিভাবে শুরু করবেন সে বিষয়ে থাকবে কিছু পরামর্শ। আমাদের বিভিন্ন বাণিজ্য মেলা ও ব্যবসা সংক্রান্ত অনুষ্ঠান বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য পেতে আসন্ন বাণিজ্য অনুষ্ঠানসমুহ পেইজ ভিজিট করুন।
শুরু করা
ব্যবসার পরিবেশ বিষয়ক তথ্য: আপনি নিম্নলিখিত লিংকগুলোতে বাংলাদেশের ব্যবসা/বিনিয়োগ পরিবেশ বিষয়ে তথ্য পেতে পারেন:
- দেশ বাণিজ্য নির্দেশিকা (বাংলাদেশ) : বাংলাদেশে বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ বিষয়ে একটি বিশদ প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটিতে বিস্তারিতভাবে বাজার বিশ্লেষণ এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত বিধিবিধান, বাণিজ্য ভ্রমণ এবং দেশের সার্বিক বিনিয়োগ পরিবেশ বিষয়ে একটি মূল্যায়ন আছে।
- বিনিয়োগ পরিবেশ বিবৃতি: বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশের একটি বিশদ নিরীক্ষণ, যার মধ্যে আছে আইনি কাঠামো, নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত বিষয়, মেধা সম্পদ অধিকার, বিরোধ নিষ্পত্তির উপায়সমুহ এবং আর্থিক বাজার বিষয়ে তথ্য।
বাংলাদেশে রপ্তানি ও বিনিয়োগ করার সুযোগ পেতে চায় যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন ধরনের মাশুলভিত্তিক বাণিজ্য সেবা দিতে ইউএস ফরেইন কমার্শিয়াল সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করছে ইউএস ট্রেড সেন্টার (ইউএসটিসি)।
- গোল্ড কী ম্যাচিং সার্ভিস: যুক্তরাষ্ট্রের সফরকারী বাণিজ্য নির্বাহীদের জন্য বৈঠক, ব্রিফিং এবং উপকরণগত সহায়তা সেবা, যাতে তাদের বাংলাদেশ সফর সর্বোচ্চ পরিমাণে ফলদায়ক হয়।
- আন্তর্জাতিক কোম্পানি প্রোফাইল (আইসিপি): বাংলাদেশের একক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে পশ্চাৎপট তথ্য সংক্রান্ত গোপন বাণিজ্য প্রতিবেদন। প্রত্যেক প্রতিবেদনে আছে কোম্পানির কর্মকাণ্ড, পণ্য সারি, কর্মকাণ্ডের পরিমাণ, বাণিজ্য সুনাম এবং বাণিজ্য রেফারেন্স বিষয়ক তথ্য।
- আন্তর্জাতিক অংশিদারত্ব অনুসন্ধান (আইপিএস): বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করতে আগ্রহী এমন যোগ্য বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান সনাক্তকরণ ও তাদের ব্যাপারে নেপথ্য তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির আগ্রহ অনুযায়ী ইউএসটিসি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্যের তথ্যসহ বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর তালিকা তৈরি করে দিতে পারে।
- বিজ্ঞাপন ও প্রচারনা সংক্রান্ত ইভেন্ট: সম্ভাব্য ক্রেতারা যাতে আপনার কোম্পানির পণ্য/সেরা অস্তিত্ব, প্রাপ্যতা ও ভালো দিকগুলো সম্পর্কে জানতে পারে, তা নিশ্চিত করতে ইউএস ট্রেড সেন্টার যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশে আমেরিকান চেম্বার অব কর্মাসের (অ্যামচ্যাম) সঙ্গে যৌথভাবে বার্ষিক ইউএস ট্রেড শো-এর আয়োজন করে থাকে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে তাদের সরবরাহকৃত পণ্য ও সেবা তুলে ধরে থাকে। ইউএস ট্রেড শো-তে তাদের পণ্য ও সেবা তুলে ধরার জন্য বুথ কিনতে আগ্রহী আমেরিকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অথবা তাদের স্থানীয় এজেন্টরা যোগাযোগ করবেন আমেরিকান চেম্বারে (ফোন ৮৮০-২-৮৩৩-০০০১ অথবা ৮৮০-২-৮৩৫-৮০৬০ নাম্বারে, ফ্যাক্স ৮৮০-২-৯৩৪-৯২১৭ অথবা ৮৮০-২-৮৩১-২৯৭৫; ইমেইল amcham@amchambd.org)
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো এসব বাণিজ্যিক সেবা চাইতে ইউএসটিসির সঙ্গে অথবা যুক্তরাষ্ট্রে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স এক্সপোর্ট অ্যাসিসটেন্ট সেন্টার-এ যোগাযোগ করতে পারেন।
- বাণিজ্য তথ্য ডেটাবেজ ব্যবস্থা (বিআইডিএস): এটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক সরকার এবং বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক ক্রয় বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে হালনাগাদ তথ্য দিয়ে থাকে। একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ মানচিত্র ইন্টারফেসের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন রপ্তানি সুযোগ খুঁজে পেতে পারেন, যা বিদেশে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা মূল্যায়নকৃত। সরকারি ও বেসরকারি অংশিদারেরা উপযুক্ত অংশিদার প্রাপ্তি, বিশ্লেষণ অথবা অন্যান্য উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা বিআইডিএস ডেটা ডাউনলোড করতে পারেন।
- যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অ্যাডভোকেসি: বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক ব্যবসা-চুক্তির ক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য একটি সমতল ক্ষেত্র পেতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অ্যাডভোকেসি সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো একটি অ্যাডভোকেসি প্রশ্নপত্র দাখিল করতে পারে। অ্যাডভোকেসি সহায়তা পেতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো ইউএস ট্রেড সেন্টার অথবা ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স অ্যাডভোকেসি সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন ২০২-৪৮২-৩৮৯৬ নাম্বারে। আরো তথ্য পাওয়া যাবে অ্যাডভোকেসি সেন্টারের ওয়েবসাইটে: export.gov/advocacy।
- দেশের ভেতরে ব্যবসা সহায়তা সংগঠনসমুহের সঙ্গে যোগাযোগ করুন:
বাংলাদেশে বিনিয়োগ
এই অংশটি বাংলাদেশে বর্তমান ও সম্ভাবনাময় বিনিয়োগকারী সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করে।
সম্ভাবনাময় বিনিয়োগকারী: শুরু করা
আপনি যদি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার কথা ভেবে থাকেন, শুরুর করার ক্ষেত্রে আপনি নিচের এইসব পদক্ষেপ বিবেচনায় নিতে ইচ্ছুক হতে পারেন:
- যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে নিবন্ধন করুন – বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের পরিকল্পনা যদি করে থাকেন, আমাদেরকে তা জানান USTC-Dhaka@state.gov এই ঠিকানায় একটি ইমেইল করে।
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিবন্ধন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে ভ্রমণ করুন বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের ওয়েবসাইট: bida.gov.bd।
- যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা সহায়তার জন্য স্থানীয় সংগঠন, যেমন বাংলাদেশে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের (http://www.amchambd.org/) যোগাযোগ করুন।
- দূতাবাসের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে অবহিত থাকতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস-ঢাকা ফেসবুক পেইজ –এ সাবসক্রাইব করুন।
বর্তমান বিনিয়োগকারীরা: সংযুক্ত থাকা
আপনি যদি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান বিনিয়োগকারী হয়ে থাকেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আপনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে চায়। যোগাযোগের পথগুলো খোলা রাখতে আপনি নিচের পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন:
- যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে নিবন্ধিত হোন – আপনি বাংলাদেশে সক্রিয় থাকলে USTC-Dhaka@state.gov এই ঠিকানায় ইমেইল করে আমাদেরকে অবহিত করুন।
- আপনার ইমেইল তালিকায় আমাদের যুক্ত করুন – আমরা সর্বদা অবহিত থাকতে চাই।
- দূতাবাসের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে অবহিত থাকতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস-ঢাকা ফেসবুক পেইজ –এ সাবসক্রাইব করুন।
বাংলাদেশে কিভাবে কাজ করবেন
এই বিভাগে আপনি বাণিজ্য ভিসা, সফর সংক্রান্ত পরামর্শ এবং দুর্নীতিবিরোধী উপকরণ সংক্রান্ত তথ্য পাবেন।
বাণিজ্য ভিসা
বাংলাদেশ সফর করতে ভিসা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন http://www.immi.gov.bd/। যুক্তরাষ্ট্রের সফরকারীরা ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইট দেখে নিতে পারেন http://www.bdembassyusa.org/ এই ঠিকানায়।
ভ্রমণ পরামর্শ
বর্তমান বাংলাদেশ ভ্রমণ পরামর্শ (ইংরেজীতে) দেখে নিতে ভুলবেন না।
এফসিপিএ
ফরেইন করাপ্ট প্র্যাকটিসেস অ্যাক্ট (এফসিপিএ) এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ, যা মুক্ত ও ন্যায্য বাজারের অনুকূলে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড অপসারণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এফসিপিএ ব্যবসা পেতে বা ধরে রাখতে মূল্যবান কোনোকিছুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া, দেওয়ার প্রস্তাব করা অথবা দেওয়া অনুমোদন করাকে নিষিদ্ধ করে। এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তি, একক অথবা কোম্পানি উভয় ক্ষেত্রে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সচেঞ্জে তালিকাভূক্ত কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশ্যে বাণিজ্য সম্পাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য নির্ভুল হিসাব-নিকাশ ও নথিপত্র সংরক্ষণ করা এবং যথাযথ অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করা বাধ্যতামূলক করে।
এফসিপিএ সম্পর্কে আরো তথ্য পাওয়া যাবে http://www.fcpa.us/. এই ঠিকানায়।
একটি লেনদেনের পক্ষ যদি জানতে চায় একটি প্রস্তাবিত কর্মকাণ্ড এফসিপিএ লঙ্ঘন করবে কিনা, তারা এই আইনে প্রতিষ্ঠিত মতামত প্রক্রিয়ার সুবিধা নিতে পারেন। একটি প্রস্তাবিত কর্মকাণ্ডের লিখিত বিবরণ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল ওই পক্ষকে লিখিত মতামত দেবেন প্রস্তাবিত কর্মকাণ্ডটি এফসিপিএ লঙ্ঘন করবে কিনা। এই মতামতে শুধু যে অনুরোধকারী পক্ষের কাছে এই খণ্ডনযোগ্য অনুমান তুলে ধরা হতো যে, কর্মকাণ্ডটি এফসিপিএ লঙ্ঘন করবে না, একই সঙ্গে ডিওজে অতীত মতামতগুলোও প্রকাশ করে, যা একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া অন্যান্য কোম্পানির জন্যেও নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করতে পারে।