প্রেস সচিবের দপ্তর
অবিলম্বে প্রকাশের জন্য
ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ব্যাকগ্রাউন্ড প্রেস কল
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস এবং নতুন পদক্ষেপের বিষয়ে
মাধ্যম প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ
টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে
সময় ১০:০৪ এ.এম- ইএসটি
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: শুভ সকাল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস এবং এ সংক্রান্ত নতুন পদক্ষেপের বিষয়ে এই ব্যাকগ্রাউন্ড ব্রিফিংয়ে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এই ব্রিফিং শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। সূত্র হিসেবে প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা কথাটি উল্লেখ করতে হবে।
আজ এখানে প্রশাসনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আছেন। প্রথমে কর্মকর্তাদের সবাই বক্তব্য দেবেন, তারপর আমরা প্রশ্নোত্তরে যাব।
এখন আমি প্রথম জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে যাচ্ছি-
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: শুভ সকাল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। একটা সাধারণ ভুল ধারণা আছে যে, বড় ধরনের মানবাধিকার লংঘন শুধু বিশ্বের কিছু কিছু অংশে ঘটে। আসলে কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা আইনের শাসনকে দুর্বল করে। এর ফলে নিরীহ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি, জাতিগত নিধন, শরণার্থী সমস্যা, যৌন সহিংসতা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দ¡ন্দ্ব-সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হওয়া এবং মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লংঘন এবং এই লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে। এক্ষেত্রে বিশ্ব নেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সব মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। ঘটনা বিশ্বের যেখানেই ঘটুক না কেন, যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লংঘনকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনবে। আজ আমরা বার্মা (মিয়ানমার), পাকিস্তান, লিবিয়া, স্লোভাকিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে যুক্ত ও এতে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আমাদের আজকের পদক্ষেপের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়ানো নিরপরাধ ব্যক্তিদের হত্যাকারী কিংবা হত্যার নির্দেশ দেওয়া ব্যক্তিরা। ওই নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, বিরোধী দলের সদস্য এবং মানবাধিকার আইনজীবী। সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে:
রোহিঙ্গা গ্রামবাসী এবং অন্যান্য ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের হত্যার জন্য দায়ী বার্মার সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
পাকিস্তান পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার যিনি বারবার বিচারবহির্ভূতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছেন।
লিবিয়ার সামরিক বাহিনীর একজন কমান্ডার, যিনি নিরস্ত্র বন্দীদের গণহারে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তা কার্যকর করেছেন।
সোভাকিয়ার একজন ব্যবসায়ী, যিনি তার দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে হত্যা করেন।
দক্ষিণ সুদানের পাঁচ ব্যক্তি, যারা ২০১৭ সালে দুজন মানবাধিকার কর্মীকে অপহরণ করেন এবং সম্ভবত হত্যা করেছেন।
এবং গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের (ডিআরসি) অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস বাহিনীর সদস্যরা। এ বাহিনীটি যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন ও অপহরণকে ব্যবহার করে থাকে।
গুরুতর মানবাধিকার লংঘন ও এর মাধ্যমে লাভবান হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ও দৃশ্যমান শাস্তি আরোপ করাই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তরের গৃহীত ব্যবস্থার লক্ষ্য। আজ আমরা যে দেশগুলোকে তুলে ধরবো এই পদক্ষেপগুলো সেখানে স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে উৎসাহ ও সহায়তা যোগায়।
আজকের নিষেধাজ্ঞামূলক পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা কর্মসূচির আওতায়; যার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনকারী ও দুর্নীতিবাজরা। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর ৭০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা মানবাধিকার লংঘনের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির আওতায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে ১৯০ জনের বেশি ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি কর্মসূচি অনুসারে।
আমি এখন অর্থ দপ্তরের আজকের গৃহীত নিষেধাজ্ঞাগুলোর কয়েকটি নিয়ে আরও কিছু বলার জন্য আরেকজন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করছি।
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: আপনাকে ধন্যবাদ। সবাইকে স্বাগত।
প্রথমে আমি বার্মার ওপর পদক্ষেপগুলো তুলে ধরছি। অর্থ দপ্তর বর্মী সামরিক বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ বাহিনীটি বার্মাজুড়ে জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক, পরিকল্পিত ও নৃশংস সহিংসতা চালিয়েছে। এর শিকারদের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা গ্রামবাসী এবং কাচিন এবং শান রাজ্যের জনগোষ্ঠী। আমরা বর্মী সামরিক বাহিনীর চারজন কর্মকর্তাকে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা ও পরিকল্পিত সহিংসতাসহ নৃশংস সামরিক অভিযান চালানোর জন্য দায়ী করেছি। এ কর্মকর্তারা হলেন বার্মার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইং; নিরাপত্তা বাহিনীর উপ প্রধান সোয়ে উইন, সেনাবাহিনীর ৯৯তম এলআইডি প্রধান থান উ; এবং ৩৩তম এলআইডি প্রধান অংঅং। উভয় ডিভিশনই রাখাইন রাজ্যে মোতায়েন ছিল। সেখানে এই ডিভিশনগুলো বেসামরিক নাগরিকদের ওপর পরিকল্পিত ধর্ষণসহ চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলো বর্মী সেনা কমান্ডারদের জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়টিকে এগিয়ে নেবে এবং এসব নির্মম অভিযানে তাদের যে দায় তা প্রকাশ্যে আনবে।
পাকিস্তানের দিকে তাকানো যাক। অর্থ দপ্তর আজ দেশটির জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা পুলিশ সুপার রাও আনোয়ার খানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। আনোয়ার খান দেশটির মালির জেলায় ১৯০টি পুলিশ এনকাউন্টার সংঘটিত করেছেন, যাতে চার শর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর অনেকগুলোই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। আনোয়ার পুলিশ ও অপরাধী চক্রের নেটওয়ার্ক করে চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ও খুনের মতো কর্মকাণ্ডে নেতৃত্বও দিতেন।
অর্থ দপ্তর লিবিয়ার মাহমুদ আল-ওয়ারফালির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। আল-ওয়ারফালি আল সাইকা ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে নিরস্ত্র বন্দীদের গণহারে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আল সাইকা ব্রিগেড লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির অংশ। তারা বর্তমানে লিবিয়ার (গৃহযুদ্ধ কবলিত- বাংলা অনুবাদক) রাজধানী ত্রিপোলির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
২০১৬ সাল থেকে আল-ওয়ারফালি পৃথক আটটি ঘটনায় ৪৩ জন নিরস্ত্র বন্দীকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছেন কিংবা হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের কয়েকটির ভিডিওধারণ করা হয় এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
স্লোভাকিয়ার একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। তাঁর নাম মারিয়ান কচনার। সাংবাদিক জ্যান কুচিয়াক তাঁর ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছিলেন। কুচিয়াককে হুমকি দেওয়া এবং বাগদত্তা মার্টিনা কুসনিরোভাসহ তাকে হত্যা করতে খুনি ভাড়া করার জন্য ব্যবসায়ী কচনারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
কচনার তার বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি দুর্নীতির প্রতিবেদন করা জ্যান কুচিয়াককে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিলেন। কুচিয়াকের প্রতিবেদনে কচনারের ভুয়া আয়কর বিবরণীর মাধ্যমে স্লোভাক জনগণের কোটি কোটি ইউরো আত্মসাতের বিষয়টি উঠে আসে। তাঁর সঙ্গে স্লোভাক পুলিশ ও কৌঁসুলিদের অসাধু যোগসাজশও এতে প্রকাশিত হয়।
কচনার সাবেক স্লোভাক গোয়েন্দা সদস্যদের ভাড়া করেছিলেন সাংবাদিক কুচিয়াকের ওপর নজরদারি করার জন্য। তিনি কুচিয়াক ও তার বাগদত্তাকে খুন করার জন্য একজন খুনিও ভাড়া করেছিলেন।
ওএফএসি কচনারের মালিকানা কিংবা নিয়ন্ত্রণে থাকা ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।
এরপর দক্ষিণ সুদান। এই দেশটির পাঁচজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তারা ২০১৭ সালে দুজন মানবাধিকার কর্মীকে অপহরণ ও সম্ভবত হত্যা করার দায়ে অভিযুক্ত। আমরা এখনো দেখছি, দক্ষিণ সুদান সরকার ভিন্নমত দমন, বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা বহাল রাখতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ প্যানেল কর্তৃক চলতি বছরের এপ্রিলে প্রকাশিত ১১১ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনে আজকের অভিযুক্তদের জড়িত থাকার অভিযোগগুলো উঠে আসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা দক্ষিণ সুদান সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো পদক্ষেপ দেখছি না, যাতে মনে হয় তারা এ ঘটনায় কোনো ব্যক্তিকে জবাবদিহির আওতায় আনবে কিংবা সংশোধনমূলক কোনো ব্যবস্থা নেবে।
আরও বিশদ পরিসরে বললে, আমরা উদ্বিগ্ন যে একইভাবে দক্ষিণ সুদানের শান্তি প্রক্রিয়াতেও দায়মুক্তি বিস্তৃত হচ্ছে। দক্ষিণ সুদানের নেতারা একগুঁয়েমি দেখিয়েই যাচ্ছেন এবং জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের সময়সীমা পিছিয়ে দিচ্ছেন। অথচ দেশটির জনগণ সহিংসতা ও কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে এক হয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও দুর্নীতিগ্রস্তদের জবাবদিহির আওতায় আনবে এবং দক্ষিণ সুদানের শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সবশেষে মনোযোগ দেওয়া যাক ডিআরসির দিকে। অর্থদপ্তর ডিআরসির অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সের (এডিএফ) সদস্যদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এরা বারবার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংস্থা ওএফএসি ও জাতিসংঘ ২০১৪ সালে এডিএফ-কে অভিযুক্ত করে। বাহিনীটি সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। শিশুদের বিরুদ্ধে তাদের অপতৎপরতাগুলোর মধ্যে রয়েছে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ ও জোর করে বাস্তুচ্যুত করা। এডিএফ এই ২০১৯ সালেও ব্যাপক সহিংসতা এবং অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়ে গেছে।
আজকে ওএফএসি এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে দায়িত্বের জন্য এডিএফের নেতা মুসা বালুকুকে নিষেধাজ্ঞাভুক্ত করছে। এছাড়া আর্থিক সহায়তা, গোয়েন্দা সহায়তা, সদস্য নিয়োগ, উপকরণগত সহায়তা, প্রশংসা ও অভিযান সমন্বয়ের মতো বস্তুগত সহায়তার জন্য অন্য পাঁচজন কমান্ডারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলো।
উপসংহার হলো, আজকের উদ্যোগ মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা থেকে লাভবান হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়গুলো সবার সামনে উšে§াচিত করল এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থা থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করা হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক পদক্ষেপের ফলে যা হবে: এই নিষেধাজ্ঞাভুক্ত ব্যক্তিদের যত সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রে আছে বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তির মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণে আছে, তা আটক করা হলো। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না।
এবার আমি সঞ্চালকের কাছে ফিরে যাচ্ছি।
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: ধন্যবাদ। এবার আমরা আরেকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে যাচ্ছি।
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: ধন্যবাদ। সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। আজ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তর কর্তৃক যে পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করা হলো তা পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয়েছে। এটি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে তথা বৈশ্বিক ক্ষেত্রে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির উদ্দেশ্যের সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ।
সব সময়ই আমাদের লক্ষ্য হলো মানবাধিকার বিষয়ক চ্যালেঞ্জ খুঁজে বের করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রতিটি দেশকে উন্নততর ও স্থিতিশীল মানবাধিকার চর্চার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমাদের এই উদ্যোগের একটি অংশ হলো জবাবদিহির বিষয়টিকে এগিয়ে নেওয়া।
আমি বলতে চাই গ্লোম্যাগ Ñগ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা যা অর্থদপ্তর এইমাত্র ঘোষণা করলÑছাড়াও পররাষ্ট্র দপ্তর আরেকটি আইনের আওতায় আজ আরও দুজন ব্যক্তির ওপর আলাদা করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটি হচ্ছে ফরেন অপারেশনস অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্ট ২০১৯ এর অনুচ্ছেদ ৭০৩১ (সি)।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যদি এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকে যে কোনো বিদেশি সরকারের কোনো কর্মকর্তা গুরুতর মানবাধিকারের লংঘন বা বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তবে এই আইনের আওতায় ওই কর্মকর্তা ও তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বিবেচিত হবেন। এর আওতায় আজ যে দুই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে তাদের একজন হচ্ছেন মোহাম্মদ আল ওতাবি। তিনি তুরস্কে সৌদি আরবের সাবেক কনসাল জেনারেল। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন তথা জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
খাশোগির হত্যার ঘটনায় আজ আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি তা এ হত্যার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি পদক্ষেপ। মি. আল ওতাইবিকে এর আগেও ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের আওতায় নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে তখন তাঁকে ৭০৩১ (সি) এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমরা আজ এটি করছি।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আজ দ্বিতীয় আরেক ব্যক্তিকে আমরা চিহ্নিত করছি। তিনি রাশিয়ান ফেডারেশনের চেচেন প্রজাতন্ত্রের গ্রোজনি সিটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান মি. আসলান ইরাসখানভ। এর আগে মি. ইরাসখানভ এ.এ. কাদিরভ পুলিশ ইউনিটের প্রধান ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সেই সময় তাক্ষণিকভাবে ২৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। তাই আমরা তাকে এই কর্মকাণ্ডের জন্য ধারা ৭০৩১ (সি) তে অন্তর্ভুক্ত করছি।
আর এ দুটি বিষয় বলেই আমি থামব।
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: আপনাকে ধন্যবাদ। এখন আমরা [প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা] কাছে যাব।
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: শুভেচ্ছা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ এ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আজ আমরা অন্য দু’জন বক্তার মতোই বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের উন্নয়ন ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরতে চাই।
বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কিছু অবিচ্ছেদ্য অধিকার আছে। এই অধিকারগুলি রক্ষা করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব। আমরা এ সত্যি কথাটায় আস্থা রাখি যে, মানবাধিকার আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকলে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ ক্ষমতায়িত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিল অব রাইটস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালের ১০ ই ডিসেম্বর মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। দুর্ভাগ্যক্রমে, বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখনও অন্যায্য কারাবাস, ধর্মীয় কারণে নিপীড়ন এবং অন্যান্য বহু রকমের মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে। মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সুদীর্ঘ সময় ধরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আমরা সবসময় ব্যক্তিস¡াধীনতার পক্ষে থাকব। পাশাপাশি সকল প্রকার নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।
মানবাধিকার রক্ষায় এই প্রশাসনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জুলাই মাসে পররাষ্ট্র দপ্তর ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করে।
গত সেপ্টেম্বরে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে সভার আয়োজন করেন। সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের সব দেশকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের অবসান ঘটাতে এবং বিভিন্ন ধর্মমতে বিশ্বাসী মানুষের বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ বছরের জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এলি উইজেল গণহত্যা এবং নৃশংসতা প্রতিরোধ আইনে স্বাক্ষর করেন। বড় ধরনের নৃশংসতা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে এ প্রশাসনের অব্যাহত দৃঢ় অবস্থানেরই নমুনা এটি।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অ্যাট্রোসিটি আর্লি ওয়ার্নিং টাস্ক ফোর্স চালু করেন। হোয়াইট হাউসের নেতৃত্বাধীন এই আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্সটি ভয়াবহ গণ নৃশংসতা প্রতিরোধ, প্রশমণ এবং মোকাবেলার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমনটা বলেছেন, আমরা আর কখনও অশুভ শক্তির সামনে চুপ করে থাকব না। আমরা অঙ্গীকার করছি: আর কখনও তা হবে না।
ধন্যবাদ।
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: আপনাকে ধন্যবাদ। সঞ্চালক, আমরা এখন কয়েকটি প্রশ্ন নিতে পারি।
প্রশ্ন: হাই। আমি অ্যান্ড্রু ফাইনবার্গ, কাজ করছি ব্রেকফাস্ট মিডিয়াতে। এই ব্রিফিংয়ের জন্য ধন্যবাদ। খুব চটজলদি। আমার দুটি প্রশ্ন ছিল।
প্রথমত, সাংবাদিকদের কারাবন্দী করাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী যে দেশগুলির তালিকা আপনারা করেছেন তাতে তুরস্ক নেই কেন? তুরস্কে এখন ৬৮ জন সাংবাদিক কারাবন্দী আছেন। তুরস্ক সাংবাদিকদের কারাবন্দি করার ক্ষেত্রে বিশ্বে শীর্ষস্থানে না থাকলেও অন্যতম শীর্ষ দেশ।
আর আপনারা কি নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোথাও সাংবাদিকেরা জনগণের শত্রু নয়?
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: দেখুন এটা অর্থ দপ্তর। প্রশ্নটি আমাদের জন্য একটু সমস্যাজনকই। তবে আপনি নিশ্চয়ই বুঝবেন, আমরা অবশ্যই এ মতের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে একমত যে, সাংবাদিকরা মানুষের শত্রু নয়।
আমার মনে হয় আপনি তুরস্ক সম্পর্কে একটি প্রশ্ন দিয়ে শুরু করেছিলেন। আমরা বিষয়টি পররাষ্ট্র দপ্তরের হাতেই ছেড়ে দেব।
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: হ্যাঁ। আজকের নিষেধাজ্ঞাগুলো হচ্ছে… দেখুন, আমাদের পক্ষে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হওয়া বিশ্বের প্রতিটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। তবে সাংবাদিকদের ওপর দমনপীড়নসহ তুরস্কে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে আমরা নিয়মিতভাবে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও তা করব।
সাংবাদিকদের নিপীড়ন নিয়ে আমরা যে তুরস্কের ওপর নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা নিইনি বা সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিনি তার অর্থ এই নয় যে, আমরা এই সমস্যাটির বিষয়ে চিন্তা করি না বা এর সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছি না।
প্রশ্ন: হাই। হ্যাঁ, আপনাকে ধন্যবাদ। আমি ডেভিড নাকামুরা, ওয়াশিংটন পোস্টে কাজ করি। গতকাল এমন সংবাদ ছিল যে, আজ জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একটি আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র নাকি এ বিষয়ে আপত্তি করেছে। সেই আলোচনাটির সময় পরিবর্তন করা হয়েছে…শুনানি বাতিল করা হয়েছে। এর পরিবর্তে আগামীকাল উত্তর কোরিয়া সংক্রান্ত পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ বিষয়ে আলোচনা হবে।
আমি ভাবছিলাম, আপনারা সবাই যদি একটু ব্যাখ্যা করতে পারতেন এটা কেন হলো? তাহলে আমরা কী এটাই ভেবে নেব যে, যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু ইস্যুটিকে মানবাধিকারের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্র কী উদ্বিগ্ন ছিল যে, মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হলে কিম জং উন ক্ষুব্ধ হবেন? এ কারণেই কি আপনারা এটি বাতিল করতে চাপ দিয়েছেন?
ধন্যবাদ।
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: হাই, [জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা], ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল। আমি বলতে চাই, রাষ্ট্রদূত ক্র্যাফ্ট গত সপ্তাহে তার সংবাদ সম্মেলনের সময় বিশদে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে আন্তরিক। এই ডিসেম¡রে বিভিন্ন কর্মসূচিতে আমরা মানবাধিকারের বিষয়টি তুলে ধরেছি। নিরাপত্তা পরিষদের সমস্ত রাজনৈতিক অধিবেশন, ইউএনএএমআই অধিবেশন, সিরিয়া অধিবেশনÑইত্যাদিতে আমরা মানবাধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছি।
সুতরাং আমরা মানবাধিকারের বিষয়কে অবশ্যই গুরুত্ব দিই। আর আপনি যেটি উল্লেখ করলেন, অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকারের বিষয়টিকেও আমরা তুলে ধরব। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর তথ্য আমরা হালনাগাদ করছি। আর তাই আমরা মনে করি, এ সপ্তাহে এ বিষয়টি তুলে ধরাতেই নিরাপত্তা পরিষদের সময়ের উপযুক্ত ব্যবহার হবে।
প্রশ্ন: হাই। আমি ওয়েন চার্চিল, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে কাজ করি। এ ব্রিফিংটি করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি শুরুর দিকটা মিস করেছি, তাই ইতিমধ্যেই যদি এ বিষয়ে বলা হয়ে থাকে তাহলে দুঃখিত। আমি ভাবছিলাম, শিনজিয়াংয়ের গণ অন্তরীণ শিবিরগুলি বিষয়ে চীনা সরকারের ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞামূলক পদক্ষেপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বর্তমান চিন্তা ভাবনা বিষয়ে আপনি আমাকে হালনাগাদ কিছু জানাতে পারেন কিনা। বিশেষ করে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হচ্ছে এবং ‘প্রশিক্ষণ পাস করা’ লোকদের মুক্তি দেওয়া হয়েছেÑ এ মর্মে সেখানকার গভর্নরের কয়েকদিন আগের কথিত বক্তব্যের পর এ বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বা বিবেচনা প্রশমিত বা প্রভাবিত হয়েছে কিনা তা জানতে চাইছি। অনেক ধন্যবাদ।
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: আমি [প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা] অর্থ দপ্তরে আছি। দেখুন, আমরা শিনজিয়াংয়ে চীনের দমনমূলক অভিযানের বিষয়ে এখনো গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সম্ভাব্য বা অপেক্ষমান তদন্ত বা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্য করতে পারি না। তবে সেখানে যা চলছে তা মোকাবেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সার্বিক কৌশলের অংশ হিসাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি।
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: আমি কেবল যুক্ত করতে চাই, আমার ধারণা সবাই এগুলো জানেন, আমরা কিন্তু কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার মনে হয়, এটি অক্টোবরে ছিল। শিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত চীনা কর্মকর্তাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পাশাপাশি চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও বাণিজ্য দপ্তর পদক্ষেপ নেয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, এ ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। [প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা] যেমনটি উল্লেখ করেছেন, আমরা যথাযথ অন্যান্য পদক্ষেপের কথাও ভাবব।
প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা: আচ্ছা, আজকের কলে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে সবাইকে ধন্যবাদ। স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য বলছি, এই ব্রিফিংটিকে আপনাদের প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। ব্রিফিং এখানেই শেষ। অর্থ দপ্তর প্রকাশ অনুমোদন করা সাপেক্ষে এর ওপর নিষেধাজ্ঞা ১০:৩০ এ তুলে নেওয়া হবে।
আপনাদের দিনটি ভালো কাটুক।