মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ২৭
শুভ অপরাহ্ন এবং এই অনুষ্ঠান আয়োজন ও আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ।
আমি আজকে আপনাদের সাথে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতি তৈরির লক্ষ্যে সকল পর্যায়ের সিদ্ধান্তকে আরো বেশি স্বচ্ছতার সাথে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপনাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তরাষ্ট্রও সেই একই দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
এছাড়াও আমরা দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিকতা কমানো, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং অর্থনৈতিক শাসনকে শক্তিশালী করার আইবিএফবি-এর লক্ষ্যগুলোকে জোরালোভাবে সমর্থন করি।
যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করার এই সময়ে আমরা দূতাবাসের পক্ষ থেকে পাঁচটি মূল উদ্দেশ্যের প্রতি দৃষ্টিপাত করছি:
- প্রথমত, একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ।
- দ্বিতীয়ত, এমন একটি বাংলাদেশ যা গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, বহুত্ববাদ, সহনশীলতা, সুশাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
- তৃতীয়ত, সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে সহনশীল বাংলাদেশ।
- চতুর্থত, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা, যতক্ষণ পর্যন্ত বার্মায় তাদের নিরাপদ, ঐচ্ছিক এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন সম্ভব না হয়।
- প্রথম চারটি লক্ষ্যের প্রতিটি লক্ষ্য আমাদের পঞ্চম লক্ষ্যের ভিত্তি: টেকসই এবং বিস্তৃত পরিসরে পারস্পরিক সমৃদ্ধি অর্জন, শ্রম মানের উন্নয়ন, অর্থনীতির সম্প্রসারণ এবং বৈচিত্রময়করণের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করা, এবং এটিকে বৃহত্তর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সংযোগের জন্য উন্মুক্ত করা।
আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সকল ক্ষেত্রে আমি নিশ্চিত যে, আমরা অর্থনৈতিক বিষয়গুলোতে আরো দ্রুততার সাথে বহুদূর যেতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগকারী দেশ। আর আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ব্যবসায়ী এই অঞ্চলে তাদের ব্যবসার সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী এবং আমরা বাংলাদেশকে এমন একটি ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করতে চাই যা বিদেশী বিনিয়োগ যথাসম্ভব স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হবে। আমরা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে কতোটা গুরুত্ব দিচ্ছি তার প্রমাণ হিসেবে বাংলাদেশস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ
থেকে প্রথমবারের মতো একজন পূর্ণকালীন অ্যাটাশে-কে অচিরেই স্বাগত জানাবে।
এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি প্রত্যক্ষ যোগাযোগ গড়ে উঠবে, সত্যি বলতে যা আরো আগেই হওয়া দরকার ছিল।
ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগগুলো খুঁজে দেখার জন্য গত মে মাসে ঢাকায় একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি দল নিয়ে এসেছিল।
এছাড়াও, আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমানের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে গত জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত উচ্চ-স্তরের অর্থনৈতিক ফোরামে স্বাগত জানিয়েছিলাম।
এবং আমরা এই বছরের শেষের দিকে একটি ইউএস বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরামের বৈঠকের অপেক্ষায় আছি।
এক কথায় বলতে পারি, আমরা একত্রিতভাবে যে ভিত্তি গড়ে তুলেছি সেখানে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।
তবে সম্পর্কের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার ক্ষেত্রে দু’টি বিষয় অবশ্যই ঘটতে হবে।
- প্রথমত, আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই আরো ভালভাবে জানতে হবে যে তাদের জন্য বাংলাদেশে কী ধরনের সুযোগ রয়েছে।
- দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশকে অবশ্যই আমেরিকান ব্যবসাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমি মনে করি না যে একথা জেনে আপনারা অবাক হবেন, কারণ, এটা তো ঠিক যে, বেশিরভাগ আমেরিকান কোম্পানির প্রধানরা সকালে একথা ভেবে ঘুম থেকে উঠেন না যে, “হুম — আমার বোধহয় বাংলাদেশে ব্যবসা করা উচিত্।”
তারা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করার মাধ্যমে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখে।
এবং তারা যদি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে চায় তাহলে বলা যায় তারা সেখানেই ব্যবসা করতে যাবে যেখানকার বাজার তারা বোঝে।
তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে একদমই সচেতন নয়।
তবে এই গ্রুপের সদস্যগণ জানেন যে, বাজার খুঁজে পাওয়ার সুযোগ নিতে বাংলাদেশের দিকে তাকানোর জোরালো কারণ রয়েছে।
এবং বাংলাদেশ তাদের মনোযোগ আকর্ষণের যোগ্য।
কেন?
প্রথমত, এই চ্যালেঞ্জিং সময়েও বাংলাদেশে সামষ্টিক অর্থনীতির অগ্রগতির গল্পটা দারুণ।
গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
এই দেশের জিডিপি এমনকি কোভিড-১৯ লকডাউনের সময়েও বেড়েছে এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মতে অর্থনীতি আগামী বছর ৬.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
দেশের অর্থ খাতের নেতৃবৃন্দ ভালভাবে ঋণ ব্যবস্থাপনা করতে পারছেন এবং তারা ইউক্রেনে রাশিয়ার বিনা প্ররোচনায় আক্রমণের ফলে সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতির চাপ সামলানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
হ্যা, এটি একটি কঠিন সময়। এবং সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক যেমনটা উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরো সংস্কারের দরকার রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে একটি বিশাল এবং ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত -শ্রেণির জনসংখ্যা রয়েছে।
১৯৭১ সালে পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশগুলোর কাতারে থাকা বাংলাদেশের এখন জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ সময় ২০২৬ সাল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবং ১৬ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে দেশটি এখন বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ, যা যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি এবং কানাডার চেয়ে চারগুণ বেশি।
যা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় ও ক্রমবর্ধমান বাজার।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে কর্মে আগ্রহী ও ইচ্ছুক জনবল রয়েছে।
বাংলাদেশ এখন তাদের জনমিতিক সুবিধা নেওয়ার অবস্থানে রয়েছে।
এই দেশের জনবল বয়সে তরুণ এবং এখানে সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।
আইবিএফবি এর সদস্যরা জানেন যে ঢাকার রাস্তার অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর।
এই প্রাণচাঞ্চল্য কারখানার উত্পাদনে ও অফিসের করিডোর পর্যন্ত প্রসারিত।
কোন কোম্পানি যদি তাদের জনশক্তি তথা কর্মীবাহিনীর উপর বিনিয়োগে ইচ্ছুক হয়, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয় ও কাজের জন্য পুরস্কৃত করে তাহলে দক্ষ ও উত্সাহী কর্মীরা তাদের জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করে।
চতুর্থত, যুক্তরাষ্ট্রের ও আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানির জন্য বাংলাদেশ একটি অজানা জায়গা।
এটি এ কারণে যে তারা জানে না বাংলাদেশে তাদের জন্য কী ধরনের সুবিধা রয়েছে।
তার মানে এটা এভাবেও দেখা যেতে পারে, বাংলাদেশের এই বাজারে শুরুর দিকে প্রবেশ করা কোম্পানিগুলো পরিপক্ক বিনিয়োগ গন্তব্যগুলোর তুলনায় কম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবে।
এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের দেয়ার মতো অনেক কিছু আছে।
এবং আমি আনন্দিত যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের বিনিয়োগের চিত্র তুলে ধরার জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাঙ্করলেস বাংলাদেশের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
কিন্তু অন্য যে প্রশ্নটি থেকে যায়: বাংলাদেশ কী বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে, (বাংলাদেশের) বাজারে তাদেরকে প্রবেশের সুবিধা দিতে এবং যারা ইতোমধ্যে বিনিয়োগ করেছেন তাদের জীবনকে যতোটা বেশি সম্ভব সহজ করতে প্রস্তুত?
অন্য কথায়, এই অঞ্চলের বা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ কী আমেরিকান ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের সময় ও সম্পদের বিনিয়োগের জন্য তুলনামূলকভাবে ভাল জায়গা?
বাংলাদেশ যেহেতু মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করেছে, তাই ভবিষ্যতে দেশটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা পেতে আগ্রহী অনেক দেশের প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে।
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা একটি বিষয়, তবে সেরা বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য শুধু এটিই যথেষ্ট নয়।
বিদেশে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক একটি স্মার্ট কোম্পানি যে দেশে বিনিয়োগ করবে সেই দেশে অবশ্যই একটি উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, বিদ্যুত্ ও পানির সহজ ও অবিরত প্রাপ্যতা এবং সু-প্রশিক্ষিত জনবলসহ সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় দেখতে চায়।
এই চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে।
- কিন্তু একটি কোম্পানি নিশ্চয়তাও পেতে চায়।
- একটি কোম্পানি নিরাপত্তা চায়। রাজনৈতিক সহিংসতা ও নির্বাচনী অস্থিতিশীলতা তাদেরকে ভীত করে।
- একটি কোম্পানি সহজবোধ্য নীতি কাঠামো দেখতে চায় এবং তারা আইনের সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োগ দেখতে চায়।
- একটি কোম্পানি জানতে চায় যে যদি কোন ধরনের বিরোধ তৈরি হয় তাহলে তারা আদালতের শরনাপন্ন হতে পারবে এবং আদালত কালবিলম্ব না করে দ্রুততা ও ন্যায্যতার সাথে বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবে।
- একটি কোম্পানি তার স্থানীয় প্রতিযোগীদের তুলনায় কঠোরভাবে কর দিতে কিংবা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বেশি তদন্তের মুখোমুখি হতে চায় না।
- এবং একটি কোম্পানি জানতে চায় যে তারা সহজেই ও অবিলম্বে তাদের লাভ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
এই প্রশ্নগুলোর ভিত্তিতে বাংলাদেশ তার প্রতিযোগীদের তুলনায় কেমন (অবস্থানে রয়েছে)?
বাংলাদেশ কী বিনিয়োগকারীদের এই নিশ্চয়তা দিতে পারে যে দুর্নীতির ভয়াল প্রভাব এখানে অন্যান্য বাজারের তুলনায় কম?
বাংলাদেশ কি একথা বলতে পারে যে, ব্যবসার উপর প্রস্তাবিত বিধানগুলোর প্রভাব বাংলাদেশ পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারে এবং বিধানগুলো কার্যকর করার আগে বাংলাদেশ কী সক্রিয়ভাবে স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে মতামত চেয়ে নেয়?
উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কী বুঝতে পারে তাদের ডাটা প্রাইভেসি ও অনলাইন বিষয়বস্তু পরিচালনা সংক্রান্ত প্রস্তাবিত আইন ডিজিটাল ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার বিষয়টিকে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করবে?
বাংলাদেশ কী একথা বলতে পারে যে এখানে পর্যাপ্ত আইনী কাঠামো রয়েছে যার অধীনে ব্যবসাগুলো পরিচালিত হবে? যখন (আমরা দেখি যে) মামলার শুনানির সময় পেতেই এখানে কয়েক বছর সময় লেগে যায়।
আমেরিকান ও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ব্যবসা শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজেদের মতো করে খুঁজবে।
সৌভাগ্যবশত, বাংলাদেশ এই ধরনের সমস্যাগুলো সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আপনারা জানেন যে, (বাংলাদেশের) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলে ভাষণ দেন।
তিনি তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশ বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার জন্য দেশের ভৌত, আইনি ও আর্থিক কাঠামোর উন্নতির লক্ষ্যে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশী ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায় (মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর) এই প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানিয়েছে।
এবং যুক্তরাষ্ট্র এই প্রচেষ্টাকে সর্বতোভাবে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।