জলবায়ু স্মার্ট কৃষি এবং উদ্ভাবনী জৈবপ্রযুক্তির যোগসূত্র বিষয়ক সংলাপে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স,নেথান ফ্লুক ও বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। বাংলাদেশে খাদ্য সরবরাহের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করতে এবং এর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কৃষকদের সহায়তা করার জন্য কৃষি জৈবপ্রযুক্তির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ঢাকা ,১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩– ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এ, বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার জলবায়ু স্মার্ট কৃষি এবং উদ্ভাবনী জৈবপ্রযুক্তির যোগসূত্র বিষয়ক সংলাপের আয়োজন করে। সংলাপে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া ও তা প্রশমিত করার জন্য উদ্ভাবনী জৈবপ্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তিনটি কারিগরি সেশনে বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, নিয়ন্ত্রক এবং নীতিনির্ধারকরা জৈবপ্রযুক্তি সম্পর্কিত নতুন নীতি এবং গবেষণা ভাগ করে নেন।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স,নেথান ফ্লুক এবং বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার উদ্বোধনী অধিবেশনে কৃষি খাতে জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলার জন্য নির্ভুল জৈবপ্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন। লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, খরা এবং নতুন কীটপতঙ্গের আক্রমণ কৃষকদের জন্য লাভজনকভাবে খাদ্য উৎপাদন কঠিন করে তুলেছে।
চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স ফ্লুক, কৃষিতে সহনশীলতা তৈরি এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা বাড়ানোর নিরাপদ হাতিয়ার হিসেবে কৃষিতে জৈবপ্রযুক্তি গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “বাইডেন প্রশাসন জৈবপ্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে সুরক্ষা এবং সমর্থনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।” বিভিন্ন সরঞ্জাম কৃষকদের কাছে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে, যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা বৈজ্ঞানিক ঝুঁকিভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করে।
কীভাবে জিন-সম্পাদনা কৃষকদের স্বল্প সম্পদে অধিক খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করতে পারে এবং অন্যান্য প্রযুক্তি কীভাবে বাংলাদেশকে তার জলবায়ু পরিবর্তন লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে, তা চিহ্নিত করার একটি সুযোগ ছিল এই সংলাপ। জলবায়ুর জন্য কৃষি উদ্ভাবন মিশন (Agricultural Innovation Mission for Climate) এবং গ্লোবাল মিথেন প্রতিশ্রুতির (Global Methane Pledge) সদস্য হিসেবে, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কৃষকদের সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের একটি যৌথ মিশন রয়েছে। কৃষি উৎপাদন জলবায়ুতে যে প্রভাব ফেলে তা প্রশমিত করতে এবং ফলন
বাড়াতে জৈবপ্রযুক্তির ভূমিকা রয়েছে। চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স ফ্লুক জোর দিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ। বিজ্ঞানীরা জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে, পরিবর্তনশীল পরিবেশে সাড়া দিতে সক্ষম নতুন উদ্ভিদের জাত প্রবর্তনের হারকে ত্বরান্বিত করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এই নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।