যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঢাকা, ৩০ মে ২০২৩ – আজ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দ্য আর্টস (ইএমকে সেন্টার)-এ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও দু’দেশের মানুষের মেলবন্ধনের স্মারক হিসেবে বন্ধুত্বের বীজ: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর শীর্ষক এক বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, “এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যেকার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক এবং দুদেশের মানুষের মেলবন্ধনের স্মারক যা সময়ের সাথে সাথে আরো শক্তিশালী হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীর বর্ধিত উদযাপনের অংশ হিসেবে ৫০টি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র নিয়ে আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি ছয়টি স্বতন্ত্র বিভাগে বিভক্ত। “স্বাধীনতাপূর্ব যোগাযোগ” বিভাগে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতারও আগে বাংলাদেশি ও আমেরিকানদের তথা শুরুর দিকের অভিবাসী, শিল্পী, পণ্ডিত, স্থপতি, ডাক্তার ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার আদি বীজ নিহিত আছে। “দাপ্তরিক সফর” বিভাগে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের দ্বিপাক্ষিক সফর ও বৈঠকের ছবি দেখানো হয়েছে।
“সহায়তা ও অবকাঠামো” বিভাগে বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে। “ব্যবসা-বাণিজ্য” বিভাগে গতিময় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। “শিক্ষা ও বিজ্ঞান” বিভাগটিতে দেখা যায় বাংলাদেশি ও আমেরিকান বিজ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তিগণ গত কয়েক দশক ধরে বহু ধরনের গবেষণা প্রকল্পে কীভাবে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করেছেন।
পরিশেষে, “সংস্কৃতি ও প্রবাসী সম্প্রদায়” বিভাগটিতে উভয় দেশ অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির মাধ্যমে কীভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে সে বিষয়গুলো উঠে এসেছে। ইএমকে সেন্টারে প্রদর্শনীটি চলবে ১৪ জুন ২০২৩ পর্যন্ত। ভার্চুয়াল প্রদর্শনীটি https://culture.meridian.org/50yearsusbd- লিঙ্কে দেখা যাবে।