পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশীদের মধ্যে রয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, রোজিনা ইসলাম, মোহাম্মদ নূর খান “লিটন” এবং মিনহাজ চৌধুরী।
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩ — বর্তমান সময়ের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধানের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশীদের আজ সংবর্ধনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, “ঠিক কাজটি করার জন্য সাহস ও নিষ্ঠার সাথে লড়াই করেছেন এমন ব্যক্তিদের সাথে একত্রিতভাবে এই বিজয় উদযাপন করতে পারা আমার জন্য সম্মানের।”
সম্মানিত পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন:
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তিনি পরিবেশ ও মানবাধিকারের সুরক্ষায় তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ও আন্দোলনের জন্য ২০২২ সালের ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অফ কারেজ এওয়ার্ড বিজয়ী হয়েছেন। রিজওয়ানা হাসান একজন পরিবেশ আইনজীবী যিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিবেশ সুরক্ষায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে বন উজাড়, দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত জাহাজ ভাঙ্গা এবং অবৈধ ভূমি উন্নয়নের বিরুদ্ধে মামলা জিতেছেন।
মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, তিনি ২০২২ সালের ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট হিরো স্বীকৃতি পেয়েছেন। জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে তরিকুল ইসলাম মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের পক্ষে কথা বলেন এবং তিনি মানব পাচারের ঘটনা তদন্ত করা ও পাচারকারীদের বিচার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সামর্থ্য বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রোজিনা ইসলাম, তিনি ২০২২ সালের অ্যান্টি-করাপশন চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হয়েছেন। একজন সাংবাদিক হিসেবে রোজিনা ইসলাম বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতে মানবাধিকার লংঘন ও দুর্নীতি বিষয়ে সংবাদপত্রে তার অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সাহস ও দৃঢ়তা দেখিয়েছেন।
মোহাম্মদ নূর খান (ওরফে লিটন), তিনি ২০২৩ সালের হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার অ্যাওয়ার্ড জয়ী হয়েছেন। লিটন বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা নথিভুক্ত করা ও জবাবদিহিতা তৈরিতে তার দশকব্যাপী লড়াইয়ে অতুলনীয় সাহসিকতা ও একাগ্রতা দেখিয়েছেন।
মিনহাজ চৌধুরী, ড্রিংকওয়েল নামের একটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে কোম্পানিটি ২০২২ সালে জলবায়ু সহিষ্ণুতা বা অভিঘাতসহনশীলতা বিভাগে ইউএস সেক্রেটারি অফ স্টেটের করপোরেট অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কার জিতেছে। ড্রিংকওয়েল একটি আমেরিকান কোম্পানি যারা ভারত ও বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ খাবার পানি তৈরির প্রযুক্তি সরবরাহ করে থাকে।