আসসালামু আলাইকুম। আমার নাম জুলিয়েটা ভলস নয়েস এবং আমি যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী এবং অভিবাসন বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। এ সপ্তাহে বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাদের জীবনে বার্মা কর্তৃক সংঘটিত সহিংসতার প্রভাব অনুধাবনের জন্য আমি বাংলাদেশী কর্মকর্তা, অন্যান্য বাংলাদেশী, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের অংশীদারদের সাথে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছি।
আমার সফরকালে আমাদের প্রতিনিধি দল কক্সবাজার ও ভাসান চরে বিভিন্ন শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখেছে। আমরা বিভিন্ন দেশ, এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সাথে নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর জন্য আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। আমেরিকার জনগণ ২০১৭ সাল থেকে বার্মা, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের অন্যত্র রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠী তথা ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ১.৯ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে।
মানবাধিকার দিবস আমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা পাঁচ বছর ধরে যে সংকট সহ্য করেছে এর ফলে তাদের মৌলিক স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা বার্মার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি যাতে তাদের আচরণে পরিবর্তন আসে এবং তারা সহিংসতা বন্ধ করে এবং রোহিঙ্গাদেরকে তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়। আমরা রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যায় জড়িত অপরাধীদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করি।
বাংলাদেশ সরকারের সাথে অংশীদারিত্ব এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আমাদের ব্যাপক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ও পুনর্বাসন সহায়তাদানকারী অন্যান্য দেশের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সবচেয়ে নাজুক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি পুনর্বাসন কার্যক্রম হাতে নিতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।
নিজ জনসমাজে শরণার্থীদেরকে উদারভাবে স্বাগত জানানোর জন্য এবং আমাদের কাছে যেটা স্পষ্ট – অর্থাৎ এই শরণার্থীদের জন্য দেশে ফিরে যাওয়া এখনও নিরাপদ নয় – সেটা অনুধাবনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণকে সাধুবাদ জানায়। শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশীদের চাহিদা পূরণে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি, কারণ সব মানুষেরই নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। ধন্যবাদ