বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড-১৯ টিকা অনুদান ১০ কোটির মাইলফলক ছাড়িয়েছে

রাষ্ট্রদূত হাস নারায়ণগঞ্জের মেয়রের সাথে কভিড মহামারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের মাইলফলক স্বরূপ স্কুলের টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ দিলেন

নারায়ণগঞ্জ, নভেম্বর ০৯, ২০২২ – মহামারি শুরুর পর থেকে, বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ কোটির (১০০ মিলিয়ন) বেশি কোভিড-১৯ টিকা প্রদান উপলক্ষ্যে, আজ নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি এবং নারায়ণগঞ্জ কালেক্টরেট প্রিপারেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

এসপ্তাহের শুরুতে, আরও ৬০ লাখ শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা অনুদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে মোট আমেরিকান টিকা অনুদানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ কোটির বেশি, যা যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের প্রাপ্ত সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দাতা দেশে উন্নীত করেছে । বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যত আন্তর্জাতিক কোভিড-১৯ টিকা অনুদান পেয়েছে তার ৭০ শতাংশের বেশি আমেরিকার অনুদান।

রাষ্ট্রদূত হাস বলেছেন, “এই মাইলফলক আমাদের দুই দেশের মধ্যকার শক্তিশালী অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে এবং বাংলাদেশ তার প্রায় ৭৫ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে দুর্দান্ত অগ্রগতি দেখিয়েছে, এটি তার একটি অংশ মাত্র। এটি এক অসাধারণ অর্জন এবং বাংলাদেশের শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মহামারি থেকে রক্ষায় যাঁরা জড়িত ছিলেন তাদের সবাইকে আমি অভিনন্দন জানাই।”

মহামরি শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা — ৬৪টি জেলায় নিরাপদে টিকাদানের লক্ষ্যে ৫০,০০০ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও অন্যান্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৭ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের জন্য ১৮টি ফ্রিজার ভ্যান, ৭৫০টি ফ্রিজার ইউনিট ও ৮,০০০ ভ্যাকসিন ক্যারিয়ার প্রদান করেছে, এবং সরাসরি ৮ কোটি ৪০ লাখ টিকা প্রয়োগ করেছে।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের অবদান ১৪ কোটি ডলারের বেশি। বৈশ্বিকভাবে, কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে ৪০০ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যার মধ্যে আল্ট্রা-কোল্ড চেইন স্টোরেজ, পরিবহন এবং নিরাপদে কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সহায়তাও রয়েছে। এটি বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ টিকার সমতাভিত্তিক প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বড় দাতা দেশে পরিণত করেছে।