যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০বছর পূর্তিতে রাষ্ট্রদূত হাসের বিবৃতি

আজ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০বছর পূর্ণ হলো।  এখানে থাকতে পেরে  এবং দিনটি আপনাদের সাথে উদযাপন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। বাংলাদেশের বিগত ৫০ বছরের অগ্রগতির দিকে তাকালে আমি দেখতে পাই বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।  অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাসের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি আপনারা অর্জন করেছেন এসব সত্যিই চমকপ্রদ এবং আমি খুশি যে বিগত ৫০ বছরের অগ্রগতিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অংশীদার হয়েছে।
সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের এই দিনে একটি জিনিসের কথা মনে আসছে যা আমাদের সম্পর্ককে সত্যিকার অর্থে প্রতীক হিসেবে প্রকাশ করে, সেটা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডির লাগানো গাছ। এটা সেই জায়গা যেখানে অনেক নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছিল ও পাকিস্তানী আর্মি এখানকার গাছটি কেটে দিয়েছিল এবং সিনেটর কেনেডি সেই জায়গাতেই আরেকটি গাছ লাগিয়েছেন এবং সেটা এখনো সেখানেই আছে। আমি যখন সেই গাছ দেখতে গিয়েছিলাম, তখন মনে হয়েছিল গাছটি আমাকে আমাদের সম্পর্কের পুরো পথ পরিক্রমাটিই যেন তুলে ধরছে, জানিয়ে দিচ্ছে আমাদের সম্পর্ক কীভাবে এই গাছের মতো দৃঢ় ও মজবুত।
এই সময়ে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে আগামী ৫০ বছরে সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশায় আমি উদ্দীপ্ত। আমাদের একসাথে কাজ করার দুর্দান্ত সব সুযোগ রয়েছে সেটা মানবাধিকার, গণতন্ত্র, দারিদ্র বিমোচন থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলা সব ক্ষেত্রেই। যুক্তরাষ্ট্রে আরো বেশি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে, সাংস্কৃতিক বিনিময় বেড়েছে। এককথায় অবিস্মরণীয় এই সময়ে এখানে থাকতে পারা দুর্দান্ত একটা বিষয়। আমাদের অংশীদারিত্ব উদযাপনের আজকের এই চমৎকার দিনে আগামী ৫০ বছরের পথচলার প্রত্যাশা করছি।