উন্মুক্ত বিনিয়োগের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিবৃতি

৮ জুন, ২০২১ – যুক্তরাষ্ট্রের উন্মুক্ত বিনিয়োগ নীতি হলো আইনের অধীনে সকল বিনিয়োগকারীকে ন্যায্য ও সমানভাবে বিবেচনা করার অঙ্গীকার। এ সপ্তাহে ‘২০২১ সিলেক্টইউএসএ সামিট’-এ যেহেতু সকল গভর্নর, সিইও এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতের অন্যান্য নেতারা একত্র হচ্ছেন, এ উপলক্ষে আমি এটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমার প্রশাসনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতে চাই যে, ব্যবসায় বিনিয়োগ করে প্রবৃদ্ধি লাভ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানের মর্যাদা অটুট রাখবে এবং তার ফলে এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, দেশজুড়ে সরবরাহ ব্যবস্থা জোরদার হবে, এবং মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর হবে। 

আমেরিকায় আছে বিশ্বের সবচেয়ে উৎপাদনশীল কর্মীবাহিনী। আমাদের ব্যবসার পরিবেশ অতুলনীয়, যাকে জোরাদার করে তুলেছে আমাদের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাসুলভ মনোভাবের সংস্কৃতি, অসামান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নমনীয় ও দক্ষ পুঁজি বাজার এবং আইনের শাসন। আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের কারণে আমাদের দেশ – এবং আমাদের বিশ্ব –আরো নিরাপদ, আরো সহিষ্ণু এবং আরো সমৃদ্ধ। 

আমেরিকার শিল্পোৎপাদনে আবার প্রাণসঞ্চার, একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক একুশ শতকের কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা এবং আমাদের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার লক্ষ্য পূরনে আমরা যেহেতু অবিচল, তাই যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। এখন যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি মালিকাধীন কোম্পানিগুলোর এদেশীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যক্ষভাবে ৮০ লাখ  আমেরিকানকে নিয়োগ করেছে এবং গবেষণা ও উন্নয়নে ৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে এটি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনী শক্তিকে আরো জোরালো করছে। এরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির সকল খাতে অবদান রাখছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক পণ্য রপ্তানির প্রায় ২৪ শতাংশই এদের অবদান। 

আমরা সর্বদা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত করব এবং এ উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বৈদেশিক বিনিয়োগ বিষয়ক কমিটি কতিপয় বিদেশি বিনিয়োগ পর্যালোচনা করবে। তবে, আমরা সকলের জন্য সমান সুযোগ অব্যাহত রাখব। যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু ভবিষ্যতের চাকরি ও শিল্পের জন্য ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতাকে মোকাবেলা করছে, তাই এটি বিশ্বজুড়ে অব্যাহতভাবে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের গন্তব্য হয়ে থাকবে।