২০২২-২০২৩ হিউবার্ট এইচ. হামফ্রে ফেলোশিপ আবেদনপত্র আহ্বান

2018-2019 Humphrey Fellows in front of the US Capitol during the Global Leadership Forum.

ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স সেকশন আনন্দের সাথে জানাচ্ছে যে, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য হিউবার্ট এইচ. হামফ্রে ফেলোশিপ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণেচ্ছুদের বার্ষিক প্রতিযোগিতার আবেদনপত্র নেওয়া শুরু হয়েছে। অদ্বিতীয় এই ফেলোশিপ এক বছর মেয়াদী এবং এটি সরকারি, বেসরকারি ও এনজিও সংস্থায় কর্মরত পেশাজীবীদের জন্য উম্মুক্ত।

হিউবার্ট এইচ. হামফ্রে ফেলোশিপ কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম ফুলব্রাইট কার্যক্রম; যার মাধ্যমে মেধাবী তরুণ ও মধ্য পর্যায়ের পেশাজীবীগণ যুক্তরাষ্ট্রে ডিগ্রীবিহীন এক বছরের স্নাতক-স্তরের শিক্ষা গ্রহণ, নেতৃত্বের উন্নয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পান। এই কর্মসূচি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব ও নীতি-নির্ধারকদের যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ, সংস্কৃতি ও পেশাগত ক্ষেত্রগুলোর সাথে পরিচিত করার মাধ্যমে আমেরিকানদের সাথে বিদেশী পেশাজীবীদের একটি স্থায়ী ও ফলপ্রসূ সম্পর্ক গড়ে তোলার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। হামফ্রে কর্মসূচিটি প্রয়াত সিনেটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিউবা‍র্ট এইচ. হামফ্রের স্মৃতি ও কৃতিত্বের প্রতি সম্মান জানাতে ১৯৭৮ সাল থেকে চালু করা হয়েছে।

এই ফেলোশিপের জন্য জনসেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারি কিংবা বেসরকারি খাতে কর্মরত পেশাজীবী প্রার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে বাছাই করা হয়।

ফেলোশিপের জন্য নির্ধারিত বিষয়/খাতসমূহ:

মানব ও প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্য:

  • অর্থনৈতিক উন্নয়ন
  • জননীতি বিশ্লেষণ ও জনপ্রশাসন
  • মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা

অধিকার ও স্বাধীনতা:

  • যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
  • আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা
  • আইন ও মানবাধিকার
  • মানবপাচার নীতি ও প্রতিরোধ

টেকসই ভূমি:

  • কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন
  • প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশগত নীতি ও জলবায়ু পরিবর্তন
  • নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা

সমৃদ্ধশালী সম্প্রদায়:

  • ছোঁয়াচে ও সংক্রামক রোগ
  • জনস্বাস্থ্য নীতি ও ব্যবস্থাপনা
  • এইচআইভি/এইডস, নীতি ও প্রতিরোধ
  • মাদকের অপব্যবহার বিষয়ক শিক্ষা, চিকিত্‌সা ও প্রতিরোধ
  • শিক্ষা প্রশাসন, পরিকল্পনা ও নীতি
  • উচ্চ শিক্ষা প্রশাসন
  • বিদেশী ভাষা হিসাবে ইংরেজি শেখানো

এই ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে হলে একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত মানদণ্ডগুলো পূরণ করতে হবে:

  1.  বাংলাদেশী নাগরিক এবং আবেদন করা ও আবেদনপত্র বাছাই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশে অবস্থান করতে হবে।
  2. দ্বৈত নাগরিক (বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র) কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া যাবে না।
  3. আবেদনকারীকে অবশ্যই তরুণ ও মধ্য-পর্যায়ের নেতৃত্বশীল পদে থাকা পেশাজীবী হতে হবে, যার জনসেবায় দৃষ্টান্তমূলক কাজ ও পেশাগত জীবনে অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে।
  4. সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন এমন কেউ হতে পারবেন না।
  5. পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে চার বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার সনদ থাকতে হবে।
  6. বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী অর্জনের পর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছরের পূর্ণকালীন কাজ করার পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (২০২২ সালের আগস্টের আগে) এবং তাদের শিক্ষা ও কাজ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নীতিগত দিকগুলোতে আগ্রহ থাকতে হবে।
  7. শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা অ্যাকাডেমিক গবেষক এই ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না, তাদের অবশ্যই ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচিত হবেন যদি কেউ মাদকের অপব্যবহার বিষয়ক শিক্ষা, প্রতিরোধ ও চিকিত্‌সা এবং বিদেশী ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানোর দায়িত্ব পালন করেন)।
  8. ২০২২ সালের আগস্ট মাসের পূর্ববর্তী সাত বছরের মধ্যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের কোন স্নাতক স্কুলে এক শিক্ষাবর্ষ বা তার বেশি সময়ের জন্য লেখাপড়ায় অংশ নিয়ে থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য অযোগ্য হবেন।
  9. ২০২২ সালের আগস্টের পূর্ববর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য যোগ্য হবেন না।
  10. ইংরেজি লেখা ও কথা বলা উভয়ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে এবং টোফেল স্কোর কমপক্ষে ৫২৫ (পেপার-ভিত্তিক) কিংবা ৭১ (ইন্টারনেট-ভিত্তিক) হতে হবে। প্রার্থীদের যাদের টোফেল স্কোরের বৈধ মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে তাদেরকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে টোফেল পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। (আমেরিকান সেন্টার কেবলমাত্র নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য টোফেল পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে। অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল প্রার্থীরা যদি টোফেলে কম স্কোর পান তাহলে তাদেরকে দীর্ঘ-মেয়াদী ইংরেজি প্রশিক্ষণ (এলটিই)-এর জন্য মনোনীত করা হতে পারে।)
  11. আবেদনকারীকে অবশ্যই ফেলোশিপের জন্য নির্ধারিত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও প্রতিশ্রুতি দেখানোর পাশাপাাশি একথাও জানাতে হবে যে, তিনি কীভাবে এই ফেলোশিপ থেকে উপকৃত হবেন যা তিনি আগে কখনো হননি এবং হামফ্রে কর্মসূচিতে অংশ নেয়া ছাড়া এমন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তার নেই।
  12. সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। সফল প্রার্থীদের মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হবে।
  13. ফেলোশিপ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে।

ফেলোশিপ কর্মসূচির জন্য একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে যে ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে: https://apply.iie.org/huberthhumphrey.  এই কর্মসূচি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন:  https://www.humphreyfellowship.org/.

হিউবা‍র্ট এইচ. হামফ্রে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম এর আবেদনপত্র ব্যবহারের অনুমতি পেতে (অ্যাক্সেস পেতে) একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রথমে একটি আইআইই (IIE) অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। একজন আবেদনকারী একবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর হামফ্রে ফেলোশিপের আবেদন প্রক্রিয়ায় যতোবার দরকার হবে এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারবেন। তিনি আবেদনপত্রের যতোটুকু পূরণ করবেন, সেটা সেইভ করে লগ আউট করতে পারবেন। আবার লগ ইন করে বাকি আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন। আবেদনকারীকে আবেদনপত্র পূরণের সকল নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় মোট শব্দ-সীমার দিকে খেয়াল রেখে যতোটা সম্ভব পূর্ণাঙ্গ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।

আবেদনপত্রের যাবতীয় কাজ শেষ করার পর এবং আবেদনপত্র জমা দেয়ার আগে আবেদনকারী আরেকবার সবকিছু পড়ে নিশ্চিত হবেন যে, তিনি সঠিকভাবে আবেদনপত্র পূরণ করেছেন, সকল প্রশ্নের উত্তর লিখেছেন এবং যে সকল কাগজপত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে সংযুক্ত করেছেন। একবার আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর আবেদনকারী তার জমা দেয়া সব কাগজপত্র অনলাইনে দেখতে পারবেন ঠিকই, কিন্তু তিনি সেগুলো আর সম্পাদনা করতে পারবেন না। শুধুমাত্র নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ পূরণকৃত আবেদনপত্রগুলো পরবর্তী প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিবেচিত হবে।

পূর্ণাঙ্গ আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৩ জুলাই, ২০২১।

ফেলোশিপ সম্পর্কে আরও তথ্যের প্রয়োজনে অনুগ্রহপূর্বক প্রফেশনাল অ্যাক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ম্যানেজার মিজ সৈয়দা কাশফি চৌধুরীর সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করুন: ChowdhuryKS@state.gov.