বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে রাষ্ট্রদূত মিলারের বক্তব্য

আসসালামু আলাইকুম।

রমজান মোবারক।

যারা রোজা পালন করছেন, আমি আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য পবিত্র মাসের সকল কল্যাণ কামনা করছি। বৈরি এই সময়ে রমজান ও ইসলামের মূল মূল্যবোধ — সমবেদনা, কৃতজ্ঞতা ও উদারতার গুরুত্ব অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি।

রমজানের মূল্যবোধ আমাদেরকে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় সম্মুখসারিতে থেকে লড়াইকারীদের প্রতি আমাদের ঋণের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যারা প্রতিদিন নিজেদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকে সুরক্ষিত করছেন।

আমার কাছে সাংবাদিকরা সেই বীরদের তালিকায় আছেন। জনগণকে মহামারির খবর জানাতে সাংবাদিকরা প্রায়শ বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কাজ করে থাকেন। তারা একটি মুক্ত সমাজের চাহিদা মেটান, বিশেষ করে সঙ্কটকালীন সময়ের চাহিদা — বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, প্রকৃত ঘটনা ও সত্য। আমরা শ্রদ্ধার সাথে মহামারিতে আমাদেরকে ছেড়ে চলে যাওয়া সাংবাদিকদের স্মরণ করছি, যারা জনগণের সেবায় নিঃস্বার্থভাবে নিবেদিত ছিলেন। আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সেই সকল সাংবাদিকদের যারা সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জীবন উত্‌সর্গ করেছেন ও স্বাধীনতাকে বিসর্জন দিয়েছেন।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে এবং জনগণকে অবহিত ও নিরাপদ রাখতে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সার্বজনীন অধিকার ও মুক্ত গণমাধ্যমের অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা পালনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করতে বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর সাথে যোগ দিয়েছে।

সাংবাদিক এবং অবাধ গণমাধ্যম আমাদেরকে আমাদের দেশ, আমাদের সরকার ও আমাদের নিজেদের সম্পর্কে সত্য জানতে সহায়তা করে, যা কখনো কখনো অপ্রীতিকর ও ভিন্নমতেরও হয়।

আর এসব কিছুই আমাদের সমাজকে আরো উন্নত করে। এটি আমাদেরকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। একটি মুক্ত ও অবাধ গণমাধ্যম নির্বাকের কণ্ঠে আওয়াজ তুলে দেয়, অবিচার ও অন্যায়কে

প্রকাশ করে এবং নেতাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করে।

অবাধ ও স্বাধীন সমাজে মুক্ত গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সাংবাদিকদের কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা, হয়রানি কিংবা গ্রেফতারের ভয় ছাড়াই সত্যানুসন্ধানের মাধ্যমে এই অত্যাবশ্যকীয় জনসেবা করতে পারা উচিত্‌।

তাদের কাজ একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য।

নাগরিকদের দেয়া তাদের সুরক্ষা ও সেবার জন্য আমরা সবাই তাদের (সাংবাদিকদের) কাছে ঋণী।