পহেলা বৈশাখ ও রমজান উদযাপনে রাষ্ট্রদূত মিলারের মন্তব্য

আসসালামু আলাইকুম।

শুভ নববর্ষ!

সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি আর্ল মিলার, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।

তৃতীয়বারের মত বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে পেরে এবং এই সমৃদ্ধ, রঙিন, বার্ষিক ঐতিহ্য সম্পর্কে আরো জানতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।

এ বছর, অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ একসাথে এসে মিলেছে – বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীর ঐতিহাসিক উদযাপন, পবিত্র রমজান মাসের শুরু, এবং নতুন বাংলা বছরের আগমন, পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হচ্ছে কাছাকাছি সময়ে।

এই কঠিন সময়ে রমজান আমাদের জন্য এক অসাধারণ সুযোগ এনে দিয়েছে। রমজান আমাদের পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয় সার্বজনীন মূল্যবোধের – সহানুভূতির চর্চা, একে অন্যের প্রতি উদারতা প্রদর্শন, নৈতিকতা ও সততার সাথে কাজ করা এবং আধ্যাত্মিক উপলব্ধি ও আত্মশুদ্ধি। গুরুত্ব

ঠিক বাংলাদেশের মতই, যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানেরাও রমজান মাসে অভাবী মানুষের সেবায় এগিয়ে আসেন। সমাজে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়িয়ে তুলতে তাঁরা আন্তঃধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করেন, যদিও আজকাল অধিকাংশ আয়োজনই ভার্চুয়াল।

রমজান ও আমাদের সার্বজনীন মানবিক চেতনায় আসুন, আমরা অভাবী মানুষদের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিই। এই মুহূর্তে অন্যকে সহায়তা দেয়ার অন্যতম সেরা উপায় হলো কোভিড-১৯’র বিস্তার রোধে নিজ ভূমিকা পালন করা। বাড়ির বাইরে মাস্ক পরা , বিশেষত অসুস্থবোধ করলে যথাসম্ভব বাড়িতেই থাকা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং ভ্যাকসিন নেওয়া ।

এই সহজ কাজগুলোই আমাদের পরিবার, সমাজ, প্রতিবেশী, দেশ এবং আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ পৃথিবীকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে, পৃথিবীর সুরক্ষার দায়ভার

ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সংশ্লিষ্ট সকলের পক্ষ থেকে আমি সর্বত্র বসবাসরত বাংলাদেশীদের জন্য নববর্ষ ও রমজান কামনা করছি। এই বিশেষ সময়ে আসুন, সবার প্রতি সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণের অঙ্গীকার করি এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুঃখ ও বিরোধের বদলে বন্ধুত্ব, বিশ্বাস আর আশাবাদ প্রতিষ্ঠা করি।

রমজান করিম।