বিশ্বব্যাপী নারী-সমকামী, পুরুষ-সমকামী, উভকামী, রুপান্তরকামী  (ট্রান্সজেন্ডার),  কুইয়ার ও আন্তলিঙ্গ ব্যক্তিদের মানবাধিকার উন্নয়ন বিষয়ক স্মারক

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপ

নির্বাহী বিভাগ ও সংস্থা প্রধানদের জন্য স্মারক

গত ৬ ডিসেম্বর ২০১১ প্রেসিডেন্ট নির্দেশিত স্মারকে (সমকামী নারী, সমকামী পুরুষ, উভকামী ও রুপান্তরকামী (ট্রান্সজেন্ডার)-দের মানবাধিকার উন্নয়নে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রতিষ্ঠিত মূলনীতিগুলো পুনর্ব্যক্ত করতে এবং তারই পরিপূরক হিসেবে এই স্মারকটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এই স্মারকে প্রথমবারের মতো বিদেশে নিয়োজিত নির্বাহী বিভাগ ও সংস্থা (এজেন্সি)গুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি ও বৈদেশিক সহায়তার আওতায় সর্বত্র সমকামী নারী, সমকামী পুরুষ, উভকামী ও ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের মানবাধিকার উৎসাহিতকরণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২০১১ সালের সেই ঐতিহাসিক উত্তরাধিকারের ভিত্তিতে সেটিকে হালনাগাদ করার মাধ্যমে এই স্মারকটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রতিটি মানুষই যথাযথ সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণ পেয়ে নির্ভয়ে বাঁচতে পারবে, সেটাই কাম্য- তা সে যেই হোক না কেন বা যাকেই ভালবাসুক না কেন। এখানে এই দেশেসহ সারা বিশ্বে সাহসী সমকামী নারী, সমকামী পুরুষ, উভকামী, রুপান্তরকামী (ট্রান্সজেন্ডার), কুইয়ার ও আন্তলিঙ্গ (এলজিবিটিকিউআই+) কর্মীরা আইনের আওতায় সমান সুরক্ষা পাওয়া, সহিংসতা থেকে সুরক্ষা পাওয়া এবং মৌলিক মানবাধিকারের স্বীকৃতির জন্য লড়াই করে চলেছেন। এই লড়াইয়ের সম্মুখভাগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং আমরা আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মূল্যবোধগুলো সমুন্নত রাখতে সোচ্চার ও শক্ত অবস্থান নিয়েছি। যৌনতা অথবা লৈঙ্গিক পরিচয়, প্রকাশভঙ্গী, বা  লৈঙ্গিক বৈশিষ্ট্যের কারণে সংঘটিত সহিংসতা ও বৈষম্যের অবসান ঘটানো এবং এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের মানবাধিকার অগ্রসরকরণে আমাদের সাফল্যের দৃষ্টান্তের দ্বারা বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেয়াই হবে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি।

এই স্মারকের মাধ্যমে আমি বিদেশে নিয়োজিত সকল সংস্থাকে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি ও বৈদেশিক সহায়তার আওতায় সর্বত্র সমকামী নারী, সমকামী পুরুষ, উভকামী ও ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের মানবাধিকার উৎসাহিত করা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রদান করছি। প্রযোজ্য আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে আমি নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিচ্ছি:

অনুচ্ছেদ ১: বিদেশে এলজিবিটিকিউআই+ পরিচয় বা আচরণকে অপরাধ সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে লড়াই। এলজিবিটিকিউআই+ পরিচয় বা আচরণকে বিদেশের সরকার কর্তৃক অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত না করতে এবং এই পরিচয় বা আচরণের কারণে সংঘটিত বৈষম্য, সমকাম-বিদ্বেষ (হোমোফোবিয়া), রুপান্তরকামী বিদ্বেষ (ট্রান্সফোবিয়া) ও অসহিষ্ণুতা মোকাবেলায় বিদেশে নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে তাদের বিদ্যমান প্রচেষ্টাগুলোকে আরো জোরদার করার জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। ১৯৬১ সালের বৈদেশিক সহায়তা আইন (২২ ইউএসসি ২১৫১এন(ডি) এবং ২৩০৪(বি))-এর ১১৬(ডি) এবং ৫০২বি(বি) ধারা অনুযায়ী কংগ্রেসে পেশকৃত বার্ষিক প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট বিশ্বব্যাপী এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে বার্ষিক ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। এই প্রতিবেদনে এলজিবিটিকিউআই+ বিরোধী আইন এবং সেইসাথে এসকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সংঘটিত সহিংসতা ও বৈষম্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

অনুচ্ছেদ ২: নাজুক এলজিবিটিকিউআই+ শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষা প্রদান। সহিংসতা ও নির্যাতনের হাত থেকে সুরক্ষাপ্রার্থী এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিরা কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে থাকে। বাস্তুচ্যুতির সকল পর্যায়ে, বিশেষত প্রথম আশ্রয় নেয়া দেশগুলোতে এলজিবিটিকিউআই+ শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষা বাড়াতে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ তাদের চলমান প্রচেষ্টাগুলোকে আরো শক্তিশালী করবে যাতে এসকল ব্যক্তি সুরক্ষা ও সহায়তা নেবার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পায়। তাছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রধান অংশীদাররা যাতে এলজিবিটিকিউআই+ শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বিশেষ চাহিদাগুলোকে কার্যকরভাবে সনাক্ত করতে ও সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারেন সেজন্য ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট, জাস্টিস ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ কর্তৃক যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে দূতাবাসের অগ্রাধিকার-১’র (Embassy Priority-1) ভিত্তিতে যথাস্থানে প্রেরণ বা রেফারেল সেবার সম্ভাব্য ব্যবহার বাড়িয়ে সুরক্ষা দেয়া জরুরী এমন অতি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সনাক্ত করে তাদের দ্রুততম পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে সেটা তারা নিশ্চিত করবে।

অনুচ্ছেদ ৩: মানবাধিকার সুরক্ষা ও বৈষম্য নিরসনে বৈদেশিক সহায়তা। এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও বৈষম্য নিরসনে সরকার, জনগণ, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাতের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়মিত সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে বৈদেশিক ত্রাণ, সহায়তা ও উন্নয়ন কর্মসূচীর সাথে সম্পৃক্ত সংস্থাগুলো তাদের চলমান প্রচেষ্টাগুলো সম্প্রসারিত করবে। তহবিল প্রদান বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রশ্নে বৈদেশিক ত্রাণ, সহায়তা ও উন্নয়ন কর্মসূচীর সাথে সম্পৃক্ত সংস্থাগুলোকে যথাযথ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের অধিকারসহ মানবাধিকার বিষয়ক কার্যক্রমের প্রভাব বিবেচনায় নিতে হবে।

অনুচ্ছেদ ৪: বিদেশে এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক দ্রুত ও অর্থবহ প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন। বিদেশে এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের মানবাধিকারের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হয়, এমন গুরুতর ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক দ্রুত ও অর্থবহ প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন নিশ্চিত করতে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট বিভিন্ন সংস্থার যথাযথ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্থায়ী দল পরিচালনা করবে। বিদেশী সরকার এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করার প্রয়াস নিলে বা বিদ্যমান আইনের আওতায় তাদেরকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হলে অর্থাৎ অসহিষ্ণু পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখলে বিদেশে নিয়োজিত সংস্থাগুলো যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার বিষয় বিবেচনা করবে, যার মধ্যে থাকবে কূটনৈতিক ও সহায়তা উপকরণগুলোর পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার, যথাযথ প্রয্যোজ্য,  আর্থিক নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ।

অনুচ্ছেদ ৫: এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের প্রতি বৈষম্য বিরোধী লড়াইয়ে সমমনা দেশগুলোর সমন্বয়ে জোট গঠন ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্তকরণ। এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং এই লক্ষ্যগুলোর প্রতি বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে মিত্রদেশ, অংশীদার ও সেইসাথে বহুপাক্ষিক জোটের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপন। বিদেশে নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে তাদের আগেকার কাজগুলোকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তাদেরকে অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং বহুপাক্ষিক জোট ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সাথে নিয়ে যেসব কাজ করতে হবে সেগুলো হলো: এলজিবিটিকিউআই+ পরিচয় বা আচরণের কারণে সৃষ্ট বৈষম্য প্রতিরোধ করা; এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের মানবাধিকার সমর্থন ও এর সুরক্ষা দিতে আগ্রহী দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা; বহুপাক্ষিক জোটগুলোতে এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের মানবাধিকারের পক্ষে সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের ভূমিকা জোরদার করা; এবং নাজুক এলজিবিটিকিউআই+ শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষাসহ বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিমালা ও কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা।

অনুচ্ছেদ ৬: অসঙ্গতিপূর্ণ নীতি বাতিল ও অগ্রগতি বিষয়ে প্রতিবেদন পেশ। এই স্মারকের তারিখের ১০০ দিনের মধ্যে অথবা যত দ্রুত সম্ভব এই স্মারকের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং গত ২০ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে ২০ জানুয়ারি ২০২১ সময়ের মধ্যে প্রদত্ত নির্দেশনাগুলো অসঙ্গতিপূর্ণ হলে বিদেশে নিয়োজিত সকল সংস্থা সেসব নির্দেশনা, আদেশ, বিধি, নীতিমালা বা নির্দেশিকা পর্যালোচনা করবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যথাযথ আইনানুসারে সেগুলো বাতিল করার পদক্ষেপ নেবে। এসকল সংস্থার প্রধানগণ এই স্মারকের তারিখের ১০০ দিনের মধ্যে স্মারক বাস্তবায়নে তাদের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্টের কাছে প্রতিবেদন পেশ করবেন এবং বিশ্বব্যাপী এলজিবিটিকিউআই+ ব্যক্তিদের মানবাধিকারকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সম্ভাব্য নতুন সুযোগ ও কর্মকাণ্ড সুপারিশ করবেন। বিদেশে নিয়োজিত প্রত্যেক সংস্থাই এই স্মারকের তারিখের ১৮০ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে এবং পরবর্তীতে এসব উদ্যোগের অগ্রগতি বিষয়ে প্রতি বছর বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করবে। এসকল সংস্থা তাদের প্রতিবেদন পেশের পর স্টেট ডিপার্টমেন্ট এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্রগতি বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে পাঠানোর জন্য একটি সংকলিত প্রতিবেদন তৈরি করবে। ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট সংকলিত বার্ষিক প্রতিবেদনের আরেকটি সংস্করণ কংগ্রেস ও জনগণের জন্য প্রকাশ করবে।

অনুচ্ছেদ ৭: সংজ্ঞা। (ক) এই স্মারকের উদ্দেশ্য পূরণে বিদেশে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট, ট্রেজারি, ডিফেন্স, জাস্টিস, এগ্রিকালচার, কমার্স, লেবার, হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি), ইউনাইটেড স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (ডিএফসি), মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ কর্পোরেশন, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস, অফিস অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত সম্ভাব্য অন্যান্য সংস্থা।

(খ) এই স্মারকের উদ্দেশ্য পূরণে, বৈদেশিক ত্রাণ, সহায়তা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট, ট্রেজারি, ডিফেন্স, জাস্টিস, এগ্রিকালচার, কমার্স, লেবার, হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিসেস, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ইউএসএআইডি, ডিএফসি, মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ কর্পোরেশন, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস, অফিস অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত সম্ভাব্য অনুরূপ সংস্থা।

অনুচ্ছেদ ৮: সাধারণ বিধানসমূহ। (ক) এই স্মারকের কোন কিছু দ্বারাই নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করা বা অন্য কোনভাবে খর্ব করা হবে না:

(১) কোন নির্বাহী বিভাগ, সংস্থা বা এর প্রধানদের আইনসিদ্ধ ক্ষমতা; অথবা

(২) বাজেট, প্রশাসন বা আইনি প্রস্তাব বিষয়ে ব্যবস্থাপনা ও বাজেট দপ্তরের পরিচালকের কার্যাবলী।

(খ) প্রযোজ্য আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে এবং তহবিল সংস্থান সাপেক্ষে এই স্মারকটি বাস্তবায়ন করা হবে।

(গ) এই স্মারকটিতে কোন পক্ষের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, এর অধীনস্থ বিভাগ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান, এর কর্মকর্তা, কর্মচারী বা এজেন্ট অথবা অন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইন ও বিচারিকভাবে প্রয়োগযোগ্য কোন বাস্তবিক বা প্রক্রিয়াগত অধিকার বা সুবিধা তৈরি করার অভিপ্রায় নেই এবং তা করাও হয়নি।

(ঘ) সেক্রেটারি অফ স্টেটকে স্মারকটি কেন্দ্রীয় রেজিস্টারে প্রকাশের জন্য অনুমোদন ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জোসেফ আর. বাইডেন জুনিয়র