ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে ২০০ নতুন শিক্ষার্থী ঢাকাস্থ আমেরিকান দূতাবাসের ইংলিশ অ্যাক্সেস মাইক্রোস্কলারশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত দুই বছরব্যাপী অ্যাক্সেস প্রোগ্রামের নতুন কোহর্টে অংশ নেওয়া ২০০ শিক্ষার্থী তাদের ইংরেজি ভাষা, বিশ্লেষণী-চিন্তা ও নেতৃত্বের দক্ষতা জোরদার করার সুযোগ পাবে।

ঢাকা, ৩১ আগস্ট, ২০২১ — আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) অর্থায়নে পরিচালিত ইংলিশ অ্যাক্সেস মাইক্রোস্কলারশিপ প্রোগ্রামের নতুন কোর্সের জন্য নির্বাচিত হওয়া ২০০ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত মিলার জীবন বদলে দেওয়ার এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামের স্থানীয় মাদ্রাসা, সরকারি ও কারিগরি স্কুলের ১০০ জন তরুণী ও ১০০ জন তরুণ শিক্ষার্থীর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “অ্যাক্সেস প্রোগ্রামে আপনাদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আমাদের আস্থা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার দীর্ঘ বন্ধুত্ব গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি আপনারা আপনাদের তারুণ্য দিয়ে আগামী ৫০ বছরের জন্য এগিয়ে যাওয়ার যে পথ রচনা করবেন অন্যরা সেটা অনুসরণ করবে, এবং এছাড়াও আপনারা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে কাজ করবেন।”

ইংলিশ অ্যাক্সেস মাইক্রোস্কলারশিপ কর্মসূচি হলো একটি দুই বছরের কঠোর অনুশীলনের ইন্টারঅ্যাকটিভ (অংশগ্রহণমূলক) কোর্স যেখানে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী থেকে আসা ১৩-১৭ বছরের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে ইংরেজি ভাষা শেখে, আমেরিকান সংস্কৃতি সম্পর্কে জানে, বিশ্লেষণী চিন্তা করার সামর্থ্য ও নেতৃত্বদানের দক্ষতা অর্জন করে। এবং এসব কিছুই তাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য উচ্চতর শিক্ষা অর্জন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেয়। ২০০৪ সালে এই কর্মসূচি চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১,৩৩৬ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী সফলভাবে এই কোর্স সম্পন্ন করেছে; বিশ্বের ৮৫টি দেশে ১০০,০০০ এরও বেশি এই কোর্স সম্পন্নকারী প্রাক্তন শিক্ষার্থী রয়েছে।

অ্যাক্সেস কর্মসূচি ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অনেক উদ্যোগের অন্যতম, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জনগণের সাথে জনগণের এবং শিক্ষা বিষয়ক সম্পর্কগুলো জোরদার ও সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনী শিক্ষার সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে বাংলাদেশী তরুণ-তরুণীদের ক্ষমতায়ন করা হচ্ছে।

ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ইংরেজি ভাষা কার্যক্রম সম্পর্কে আরো জানতে দেখুন: https://bd.usembassy.gov/education-culture/english-language-programs/.

শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত শিক্ষা বিষয়ক অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে দেখুন:  https://bd.usembassy.gov/education-culture/student-exchange-programs/.

ইংরেজি ভাষা শেখার সুযোগ ও শিখন সংক্রান্ত উপকরণ পেতে দেখুন: https://americanenglish.state.gov/ এবং ফেসবুকে এই বিষয় সংক্রান্ত তথ্য পেতে দেখুন: https://www.facebook.com/AmericanEnglishatState.

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থায়নে পরিচালিত বিনামূল্যের ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্স (মক) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন: https://www.openenglishprograms.org/MOOC.

শুরুতে পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাসে প্রতিষ্ঠিত ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি সেন্টার (এলপিসি)-এর লক্ষ্য ছিল প্রান্তিক পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগ করার দক্ষতা ও কমপিউটার ব্যবহারের প্রাথমিক জ্ঞান গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা। এলপিসি ২০০৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাংলাদেশব্যাপী বাস্তবায়ন করছে; যার মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং চাপাই নওয়াবগঞ্জ অন্তর্ভুক্ত যেখানে এলপিসি শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।

জিস্ট — গ্লোবাল এডুকেটরস ইনিশিয়েটিভ ফর সাসটেইনেবল ট্রান্সফরমেশন — প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি অলাভজনক আন্তর্জাতিক ফাউন্ডেশন, যারা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে কাজ করে। জিস্ট ২০১৯ সাল থেকে অ্যাক্সেস প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করছে। জিস্টের সদস্যদের মধ্যে ১০০০ শিক্ষার্থী, ৪০০ শিক্ষক এবং শিক্ষা ও উন্নয়ন খাতের ৫৮০ জন পেশাজীবী রয়েছেন। বর্তমানে জিস্ট ভারত, নেপাল, ভিয়েতনাম, কলম্বিয়া, কম্বোডিয়া, গুয়েতেমালা, ইরাক, ইউক্রেন, তুরস্ক, রাশিয়া, লিথুয়ানিয়া, নাইজেরিয়া, জার্মানী, শ্রীলংকা, ভূটান ও ফ্রান্সের ১৪৩টি অংশীদার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে কাজ করে।