ফাইজার টিকা হস্তান্তর উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের বক্তব্য

ঢাকা,১সেপ্টেম্বর,২০২১

আসসালামু আলাইকুম, নমস্কার ও শুভ সন্ধ্যা!

যুক্তরাষ্ট্র ও আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের জন্য উপহার হিসেবে জীবন রক্ষাকারী কোভিড-১৯’র আরো ১০ লক্ষ ডোজ টিকা অনুদানকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি।

ফাইজারের তৈরি টিকার এই চালানটি পাঠানো হয়েছে বিনামূল্যে এবং এর লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়ার চলমান প্রচেষ্টাকে জোরদার করা।

আমরা আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের জন্য উপহার হিসেবে আরো ১০ লক্ষ টিকা অনুদান দিতে পেরে আনন্দিত এবং এই চালান ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা কোভ্যাক্স’র প্রতি কৃতজ্ঞ।

সর্বশেষ এই চালানের মাধ্যমে এ যাবৎ যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো কোভিড-১৯’র টিকা উপহারের পরিমাণ দাঁড়ালো ৬৫ লক্ষ (৬.৫ মিলিয়ন) ডোজ। এ রকম উপহার এটাই শেষ নয়। আমরা আশা করি, শীঘ্রই আরো টিকা আসবে।

এই অনুদানটি প্রেসিডেন্ট বাইডেন ঘোষিত ফাইজারের তৈরি ৫০ কোটি ডোজ টিকা ক্রয় ও সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিতরণের প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ। বাংলাদেশ এই উদ্যোগের প্রথম সুফলভোগী দেশগুলোর অন্যতম।

বাংলাদেশের সাথে আমাদের বৃহত্তর অংশীদারিত্বের শুধু একটি বিষয় হলো টিকা অনুদান আর এদেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বৃহত্তম দাতাদেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র যারা এ যাবৎ শুধু ৬৫ লক্ষ টিকাই অনুদান দেয়নি, সেইসাথে মহামারী মোকাবেলায় ৯ কোটি ৬০ লক্ষ (৯৬ লক্ষ) ডলার সহায়তাও প্রদান করেছে।

আমাদের দু’দেশের মধ্যে এই অংশীদারিত্ব সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, ভেন্টিলেটর ও পিপিইসহ জরুরী চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ, রোগ পরীক্ষার সক্ষমতা ও পরিবীক্ষণ জোরদারকরণ, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের পরিচর্যা ও চিকিৎসার মানোন্নয়ন এবং মানুষকে মহামারীর ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে।

জাতীয় পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম সম্প্রসারণের চলমান উদ্যোগ জোরদারকরণের এক সংকটময় কালে ফাইজারের তৈরি এই টিকা এসেছে। যত বেশি সম্ভব মানুষের বাহুতে এই টিকা প্রদানের এই প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকারের সাথে অংশীদারিত্ব স্থাপন করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত।

কাজটা সহজ নয়। এ ধরনের বড় পরিসরে টিকা কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজটি একটি অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ – আর কাজটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশের জন্য।

এই কথা মনে রেখে বাংলাদেশে সফল টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালনরত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী, ক্লিনিক ব্যবস্থাপক ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিষ্ঠা ও সাহসের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

ভরসা রাখুন, আমরা আপনাদের সাথে আছি – এই মহামারী যতই জটিল হোক না কেন, আমরা অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবো।

নিবিড় সহযোগী হিসেবে গত পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ পুরনো ও বর্তমান প্রজন্মকে তাদের নিজেদের ও পরিবারের জন্য আরো স্বাস্থ্যকর ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে।

এখন আমাদের অংশীদারিত্ব আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী কেননা আমরা সকল বাংলাদেশী ও আমেরিকান এবং সারা বিশ্বের মানুষ এখন একসাথে কোভিড-১৯’র চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি।

ধন্যবাদ!

.